। রাধার প্রেম।

রাইকিশোরীর গাল ধুয়েছে কাজলধোয়া জল
রাখালরাজার মন ভেজাতে ওইটুকু সম্বল।
চোখের জলে ঝাপসা দেখায় বৃন্দাবনের ঘাট
একলা পড়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে হোরিখেলার মাঠ।
কদমগাছে ফুল ধরেনি পাতাও ধুসর হোলো
শিখির পালক কোনায় পড়ে চক্ষু ছলোছলো।
প্রেমের রাজার রাধার থেকে উঠে গেছে মন
অন্য দেশের রাজা হবেন, বিদায় বৃন্দাবন।
রাইকিশোরীর কিশোরী মন রাজনীতি কি বোঝে
ধুরন্ধরের শুকনো চোখে পুরোনো প্রেম খোঁজে।
কানাই এখন শ্রীবাসুদেব মথুরাপুরের রাজা
আর হবেনা তাঁর দ্বারা ওই কিশোর প্রেমিক সাজা।
প্রেম ছিলো তার খেলার মতন খেলার সাথী রাধা
রাজনীতিতে এখন সে প্রেম মস্ত বড় বাধা।
মনচুরানো কদমতলায়  রাই থেকে যায় একা
ক্ষমতা নেয় প্রেমের বলি, এখান থেকেই শেখা।
কিমাশ্চর্যম, কেউ যখনই প্রেমের কাব্য ভাবে
রাধাকৃষ্ণ প্রেমের যুগল ঠিকই এসে যাবে।
রাই যে ছিলেন প্রেমের স্বরূপ সন্দেহ নেই তাতে
সে প্রেম ছিল  কৃষ্ণমনেও ? সন্দেহ সেটাতে।
মথুরাধীশ একলা কই, ছিলেন সাথে রুক্মিণী,
সত্যভামা ইত্যাদিতেও নারীসঙ্গ পান তিনি।
রাইকিশোরীর কান্ড দেখো, কৃষ্ণপ্রেমে দেন জীবন
জগতপতি প্রেমিক হলেও তার ভাগে সেই বৃন্দাবন।
রাধা বিলীন কানুর প্রেমে, সম্মানে তার তাই বোধহয়
রাধার পরে কৃষ্ণ বসেন, কানুর পরে রাধা নয়।

আর্যতীর্থ