। বিবেকানন্দ।


যুবক, তুমি বিবেকানন্দ পড়ো? পড়োনা যে সেটা ভালোই জানি,
মোটা মোটা কেতাব ভরা জ্ঞান, কে করে আর পড়বার হয়রানি?
ওসব পড়ুন  জ্ঞানী গুণী যাঁরা, চুলচেরা হোক  বক্তৃতা ও বাণী!
কিন্তু যুবক, তোমায় যদি দেখি, বিনিপয়সায় বস্তিশিশু পড়াও,
যদি দেখি ক্লাবের কজন মিলে, ডেঙ্গি মশার জলের জায়গা সরাও,
তবে তুমি, ও আধুনিক ছেলে, অজানিতেই বিবেক সুবাস ছড়াও।
ওই যে পাড়ার ছোটো হোটেল মালিক, বাঁচা খাবার ভিখিরিকে বাঁটে,
স্কুলড্রেসের ওই খুদে ট্রাফিক পুলিশ, স্কুলের পরে রাস্তা জুড়ে খাটে,
একটি পাতাও স্বামীজি না পড়ে, ওরা সবাই বিবেক পথে হাঁটে।
পথশিশুকে খেলনা যে মেয়ে দিলো, কেউ কি সেই কিশোরীকে চেনে?
কিংবা যে লোক মাসমাইনের টাকায়, বিলিয়ে দেবার লেপকম্বল কেনে?
এদের কি আর বিবেকানন্দ বোঝাও,এরা সবাই আগেই গেছে জেনে।
মূর্তিতে দাও গাঁদা ফুলের মালা, চেনা বাণী শোনাও বাঁধাগতে,
তারস্বরে দেবেন ভাষণ নেতা,  কান বাঁচিয়ে শুনবে কোনোমতে,
এসব ভিড়ে তাঁদের খুঁজো না হে, যাঁরা চলেন তাঁর দেখানো পথে।


আর্যতীর্থ