। বোটানি।


পদ্যকে কাঁটাছেঁড়া কোরোনা অমন করে,
ওতে কলমের ভারী ব্যথা লাগে,
পাপড়ি আলাদা করে সুন্দর হয় কি সে,
ফোটা ফুলে জেনো সব পাপড়িরা জাগে।
পাতারা জুটিয়ে আনে আলোকের কণা
সূর্যের কাছে রোজ মাধুকরী করে,
শিকড়েরা আনে জল, মাটি খুঁড়ে খুঁজে,
একটু একটু করে তবে ফুল ওঠে গড়ে
কবিরও বৃত্তি জেনো মাধুকরী শুধু,
শব্দযাচনা করা ভাষাদের কাছে,
টুকরো টাকরা কিছু ছন্দের কুঁড়ো,
সব কবি আধপেটা খেয়ে বেঁচে আছে।
কবিতাকে দেখো তাই ফুলেদের মতো
ঘ্রাণ নিও দূর থেকে, নাক যদি থাকে,
রঙের বাহার তার দেখো পাপড়িতে,
ছন্দ কেমন করে সাজায় কথাকে।
দোহাই কবিতাটাকে হাতে তুলে নিয়ে
কাঁটাছেঁড়া কোরো না হে বোটানির মতো
অণুবীক্ষণে ফেলে বিষাদে বোলো না,
কিঞ্চিৎ হরমোনে আরো ভালো হতো।
সব ফুল ফুলদানি সাজাতে জানে না
কিছু ফুল টবে ভালো, কিছু ঝোপঝাড়ে
কিছু কিছু কবিতারা ভবঘুরে থাকে,
খাপছাড়া লোক থাকে সব সংসারে।
তাই বলে তাদেরকে ভিখারী ভেবো না
কবিতারা কবিদের নাড়ি ছেঁড়া ধন,
স্রষ্টার চোখ দিয়ে কবিতাকে দেখো
সুরভি আপনি নাকে আসবে তখন।


আর্যতীর্থ