। প্রচেষ্টা।


কবিতাকে মুক্তি দিতে ভাঙতে হবে ছন্দকে,
ফুল ভুলে যাও, শব্দ থেকে আসুক না বাস গন্ধকের,
এমন নিদেন হাঁকতে থাকেন হাকিম যত পদ্যকার
ছন্দখেকো খামখেয়ালী পদ্য নাকি অদ্যকার।


আমিও তাই ছন্দগামী শব্দপথে জল ঢালি,
পিছলে যাতে বুঝতে পারে রাস্তা ওটা চোরবালির।
তথৈবচ শব্দ তবু ঘষটে চলে ভুল দিকে,
বখা ছেলে বাপ না মেনে যেমন রাখে জুলফিকে।


শুরু যখন করি তখন বাধ্য থাকেন শব্দরা,
ভাবি এবার সাজিয়ে দিলেই ছন্দে হবে বদ্ধ দ্বার।
একটু খানি এগিয়ে বুঝি যাচ্ছে আবার ভুল দোরে
ইচ্ছে করে শব্দগুলোর মুণ্ডু নাড়াই চুল ধরে।


রসিক লোকে বলেন ওহে ছন্দমিলের বুলবুলি,
জানলা হওয়ার শখ কেন আজ এত হলো ঘুলঘুলির?
তোমার কলম ঝিমন্ত হে, শব্দগুলোও আধভিজে,
ইচ্ছেই সার, নেই হে তোমার পদ্য লেখার সাধ্যি যে।


আমি তবু দমিনি তো, নৌকাটি বাই দম ধরে,
আজ নয় কাল মিলবেই খোঁজ ছন্দবিহীন বন্দরের..


আর্যতীর্থ