। বাণী বন্দনা।


কবিতা তো কেবল ছুতো কথাগুলো মারছে গুঁতো
প্রশ্নগুলো ছিটকে আসে ঠোঁটে
সরস্বতী মহাভাগে, বলতে তোমায় লজ্জা লাগে
সত্যিকারের মান কি তোমার জোটে?
টোকাটুকির এই দুনিয়ায় পড়াশোনায় কি আসে যায়
ডিগ্রিখানা হাসিল করাই মুখ্য
জ্ঞানের কথা চাপো গুরু মস্তি করার এই তো শুরু
পড়তে বলে দিচ্ছো কেন দুঃখ।
লক্ষ্মীলাভই জীবনমটো মানিব্যাগে গণেশফটো
তোমার পুজো একটা দিনই শুধু
সকালবেলায় পুজোয় বসে দিন বদলায় প্রেমদিবসে
চাখতে ছোটে নতুন প্রেমের মধু।
বক্তৃতা দেয় এখন যারা মোটেও তো নয় বাগ্মী তারা
তোমার জন্য সময় কোথায় তাদের?
বাগদেবী হে বীণাপাণি তোমার পুজোয় গাঁজা টানি
সন্ধেবেলা বসাই আসর মদের।
কি আর বলি হে সুভগে ছাত্ররা যায় মায়ের ভোগে
পড়ার থেকে ঘেরাও বেশী চলে
অধ্যাপকের ফাঁকা আসন কলেজ জুড়ে দাদার শাসন
সময় পেষাই ফাঁকির জাঁতাকলে।
তবু হে মা একটু শোনো প্রমাদ টমাদ পরে গোনো
এখনো তো ভক্ত তোমার আছে
আজও দেখি চাষীর ছেলে দিনের কাজের জোয়াল ঠেলে
নিত্য ফেরে পড়ার বইয়ের কাছে।
আজও তো কেউ রেওয়াজ করে পদ্য লিখে খাতা ভরে
বইয়ের খিদে আজও কারো পায়
জ্ঞানপিপাসুর মনে মা গো আলো হয়ে আজও জাগো
আকুল মনে তোমার কৃপা চায়।
তোমার পুজো যুগে যুগে তোমার পুজো নয় হুজুগে
তোমার আসন ভক্ত হৃদয় জুড়ে
মগ্ন তোমার স্তবগাঁথায় তোমার পুজো বইয়ের পাতায়
তোমার পুজো প্রতি গানের সুরে।


আর্যতীর্থ