। মাঝরাত্তিরে।


মাঝরাত্তিরে ভেতরের থেকে উঁকি মারে কিছু দৈত্য
মুখোশের থেকে ছিড়েখুঁড়ে আসে আসল মুখের চেহারা
চেনা সভ্যতা টান দিয়ে ফেলে আদিম রিপুর নৃত্য
দিনের বেলায় ভদ্রতা বসে দিতো যাকে কড়া  পাহারা।
শোবার ঘরের চেনা ম্যাপটাতে উথাল পাথাল চলছে
বিস্ফোরণের সাক্ষী রয়েছে নেটস্রোতে ভাসা ল্যাপটপ
নানান সাইটে ব্যস্ত আঙুল রিপুর জ্বলনে জ্বলছে
নীল থাবা দিয়ে পোকাদের ধরে আগুন খাচ্ছে কপকপ
শোবার ঘরের বিছানা বালিশে হানা দেয় মগ দস্যু
আঙুলেরা ধেয়ে শুধু লিখে যায় লালাঝরা চ্যাট গল্প
আজকেই সব খাবলাতে হবে কে দেখেছে কাল পরশু
একবিংশতে তৃপ্তি হয়না সুখ চেটে খেলে অল্প।
হাল্কা আলোতে তলপেট ছোটে নেটের আলেয়া ধরতে
ভদ্রতা ভেক ছুঁড়ে ফেলে জাগে নিষিদ্ধ সব বাসনা
স্বল্পবসনা সুন্দরী ডাকে, চলে এসো ভুল করতে
স্কাইপে লাইভ অপ্সরা বলে স্বপ্ন সাগরে ভাসো না।
চ্যাটফাঁদ পেতে প্রজাপতি ধরে কিছু বদলোক বসে
সহজে পয়সা বানানো চক্র নিপাট মুর্গী খোঁজে
চেনা দেওয়ালেরা কামের জোয়ারে হুড়মুড় পড়ে ধসে
কোন চাবি দিয়ে সিন্দুক খোলে ঠগবাজ সেটা বোঝে।
সুখপাখিদের মাংস চাখতে প্রতি রাতে নেটে উৎপাত
রাত্তির হলে ইন্টারনেট পাটায়াতে যায় পাল্টে,
সুখের অন্য উপায়ের দিকে কে আর করবে দৃকপাত
মাঝরাত্তিরে কুমীররা এসে খুঁজে নেয় কাটাখালকে।


আর্যতীর্থ