। ইচ্ছেঘুড়ি।


মাঞ্জা দেওয়া শেষ হয়েছে, বন্ধু বাতাস বলছে ডেকে চলনা উড়ি,
কোন আকাশে বলনা তোকে আজকে ওড়াই ইচ্ছেঘুড়ি?
এক বিকেলে  আকাশ যখন বৃষ্টি দিয়ে গা ধুলো খুব,
দুই চোখে দেয় মেঘের কাজল, পশ্চিমের ওই সিঁথি জুড়ে হাল্কা লালে সিঁদুর আভাস,
ও ঘুড়ি তুই লাটাই ছেড়ে ছটফটিয়ে উড়তে পারিস, খুঁজতে পারিস অমন আকাশ।
কিংবা সে এক সকালবেলা, আলো সবে ছাড়াচ্ছে জট আঁধার ধাঁধার, সুয্যি যখন আড়মোড়া দেয়, ভাবটা এমন বাব্বা, আবার উঠতে হবে,
উড়তে যদি চাস সেখানে, দে বুঝিয়ে আঙুলগুলোয় মাঞ্জাসুতোর অনুভবে।
তোকে আমি দিতেই পারি ঝকঝকে দিন, ফুটফুটে রোদ বাতাস ঠেলে হামলে পড়ে ফুলের ওপর, একজীবনের গল্প  যেন রোদ আর ফুলের, ওপর থেকে নজর রাখে অসীম নভোঃ,
কল্পনাটার লেজুড় জুড়ে তুই যদি যাস রোদের সাথে, উড়িয়ে দেবো।
এসব নেহাত নিপাট আকাশ, ওড়ার সময় দেখলে নিচে দেখবি সবুজ ভরসাবিতান,
এতে যদি মন না ওঠে,  তবে যা না গিয়ে অলপ্পেয়ে ঝড় খুঁজে আন।
খুঁজে নে ত্রস্ত  আকাশ,  মেঘ যেখানে হুমকি শোনায় মুহুর্মুহু বাজের ডাকে,
পাখিরাও কাঁপছে ভয়ে, স্বপ্নেরা ডানা মুড়ে মরার ভয়ে খাচ্ছে খাবি,
তোর যদি  মন করে তো, লাটাই ছিঁড়ে যা না ঘুড়ি কোথায় যাবি!


আর্যতীর্থ