।  একটি প্রেমের গল্প।


সব উড়ানেই কেমন যেন ভয়ে ভয়ে থাকি,
মোবাইল খুলে বারে বারে মেয়েদের ছবি দেখি।
কে আর জানে কোন উড়ানে কি ঘটে যায় কবে
উড়ান দেওয়া সব পাখি কি বাসায় ফেরত যাবে?
তুমি বলবে পাগল নাকি? এসব কেন ভাবো?
সবাই জানে যে কোনোদিন যে কেউ চলে যাবো।
তাই বলে কি ভাববে সেটাই? মাথার অসুখ নাকি?
মরণ তো সেই আসবে ঠিকই, আগেই কেন ডাকি?
আমি বলবো ভুল ভেবেছো, ওসব চিন্তা নেই
গল্পের শেষ ভাগ্য লেখে,  জানি গোড়াতেই।
যদিও জানি পথের শেষে ফেরত যাবো ঘরে
যাবো কিনা সেটা ভেবেই মন কেমন করে।
তুমি বলবে মেয়েদের প্রতি বাপের স্নেহ দেখি
আরেকজনও ঘরে আছে, ভুলেই গেলে সেকি?
আমি বলবো না হে দেবী,  তোমায় কি আর ভুলি
এক ডিঙিতে তুমি আমি জীবনদোলায় দুলি।
তুমি বলবে রক্ষে করো, বাজে কথা  রাখো
আমায় ছাড়া ট্যুরে গেলে, জানি ভালোই থাকো।
আমি বলবো না হে গিন্নি, আসল কথা শোনো
মেয়েদুটো যে হচ্ছে বড়, ভাবো তা কখনো?
আর কিছুদিন পরেই ওদের নিজের জীবন হবে
মাঝে মাঝে দেখা পাবো পার্বণে উৎসবে।
যে কটা দিন কাছে আছে আদর দিয়ে রাখি
তারপরে তো বুড়ো তোমার, যে কটা দিন বাকি।
তুমি বলবে চোখ পাকিয়ে, সেয়ানা যে ভারী
যে সব এখন বলছো তুমি, কথা তো আমারই।
আমি হেসে বলবো তোমায়,  বুঝেছো তাহলে
প্রেম জমাবো আবার দুজন, আরও বুড়ো হলে।
মেয়েরা আছে ব্যস্ত এখন, একটু এসো দেখি
ভ্যালেন্টাইন না কি যেন আজ, ভুলে গেছো সেকি?


আর্যতীর্থ