। নিখোঁজ বসন্ত।


এখন বসন্ত নেই, আবহাওয়া আপিস দিলো সেই সংবাদ।
আমরা তো বুঝে গেছি, কোকিলকে বোঝাবে কে তা বলো?
বুঝেছে কি অশোক, পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ার গাছ,
ঋতুরাজ ফাঁকি দিয়ে রাজ্যপাট ছেড়ে চলে গেলো?


আবিরের রঙ মেখে তিথি মেনে হোরিখেলা আসবে আবার,
কেমন সে ফাগুয়া, যে ফাগুনে নেই কোনো বসন্ত আগুন?
পথভোলা সে পথিকের পথ চেয়ে বসে আছে  চামেলী মল্লিকা,
জানেনা এখনো তারা, মানষের হাতে পথে হলো গুমখুন।


' বাতাসে বহিবে প্রেম’,  সে দাবীর হক ছিলো যে ঝতুর কাছে,
উষ্ণায়ণের কাছে গোহারান হেরে গিয়ে সে ঋতু উধাও,
শীত আর গ্রীষ্মে  স্থাবর ও অস্থাবর সব ভাগ করে নিলো,
পলাশের লাল আর কোকিলের ডাক, রুঢ় সময় এসে কেড়ে নিলো তাও।


তবু কেন মনে হয়  স্থায়ী নয় এ যাওয়া, আসবে সে ফিরে,
কৃষ্ণচূড়ার ফুল আর্জি ভাসিয়ে দেয় ছুঁয়ে যাওয়া হালকা বাতাসে,
ডাকছে ফুলেরা সব, ডাক দিয়ে যায় তাকে ফাগুনের রঙ,
প্রেমিক আর কবি জানে, মৃত্যঞ্জয়ী সে, বসন্ত ফিরে ফিরে আসে...


আর্যতীর্থ