। পাঠক।
( সমস্ত কবিদের উদ্দেশ্যে এই অকবি পাঠকের নিবেদন...)


কে তুমি কবি রক্ত উথলে লেখো,
প্রতি শব্দতে চোখের জলের ফোঁটা,
কে তুমি মনকে অনায়াসে করো নদী
আকাশে লিখছো জীবনের গল্পটা।
কে তুমি কবি শব্দচয়নে রত,
মালির আদরে তুলে আনো তাজা ফুল,
কাঁটাদের ব্যথা আঙুলরা চেনে শুধু
ফুলেরা আলোর ব্রত জানে নির্ভুল।
কে তুমি নিত্য মন্থন করো দুঃখ,
পান করে যাও জীবনের কালকূটও
ভেসে যাও স্রোতে ইচ্ছেবিহীন পথে
পারতে, কিন্তু জাপটে ধরোনা কুটো।
চোখ তুলে আনো পদ্মে অভাব দেখে,
অকালবোধনে কমল পুজোতে লাগে,
ঋত্বিক হও নিজেকে আহুতি দিয়ে
মন্ত্রেরা তবু অমৃত নিয়ে জাগে।
কে তুমি বাজাও অর্ফিয়াসের বাঁশি,
সন্ধান রাখো কোথায় সোনার কাঠি,
কে তুমি লাভাকে কবিতা বানাতে জানো
বুকে চেপে রাখো বোমাবারুদের ঘাঁটি।
কে তুমি ভাঙছো সমাজকালের বেড়া
নিষিদ্ধ প্রেম কলমকে ছুঁয়ে সোনা
কে  তুমি  বলছো সবাইকে ডেকে ডেকে
নিয়মের ফাঁস কোনোদিনই মানবো না
কে তুমি  করছো কবিতায় পাগলামি
ব্যাকরণে দিয়ে যাবজ্জীবন কয়েদ
কলমে লিখছো নির্ভীক ইতিকথা
ঋজু শব্দরা মোহহীন নির্মেদ
কে তুমি পদ্যে শব্দ  মশাল জ্বেলে
পুড়িয়ে দিচ্ছো জঞ্জাল যাবতীয়
আমি অকবি কথার পিয়াসী শুধু
গণ্ডুষ ভরে তোমার কবিতা দিয়ো


আর্যতীর্থ