। পথের ধারে।


ঘড়ির সাথে ছুটছো পথিক, ছুটতে থাকো,
সে ব্যাপারে আপত্তি নেই তেমন কোনো,
তোমার কি দোষ, যুগ বলেছে সামনে ছোটো,
স্বভাবতই, কেমন ভাবে আর না শোনো!
আর্জি আছে একটি শুধু,  শুনবে নাকি,
বলছিলাম যে ,মাঝে মাঝে একটু থামো
সামনে দিকে চোখ রেখেছো, ঠিক করেছো,
মাঝেমধ্যে দেখা ভালো ডান আর বামও।
লক্ষ্যতে যে পোঁছাবে তা ভালো কথা,
সময়মতো পৌঁছে গেলে মালাও পাবে,
হুট করে কেউ জানতে চাইলে পথের কথা,
থতমত খেয়ে তবে থমকে যাবে।
ডাইনে বাঁয়ে ছিলো কতকিছু দেখার,
সখের জিনিস,পুরোনো প্রেম, ঘুরতে যাওয়া
আড্ডাবাজি, গ্রুপ থিয়েটার, হঠাৎ চুমু
সামনে দিকে ছুটতে গিয়ে বেবাক হাওয়া।
এমন কত ছিলো পড়ে পথের ধারে,
পথিক, তুমি পরলে চোখে ঘোড়ার ঠুলি
পথের শেষে অভীষ্টকে পাবে বটে,
হীরে মানিক হারাবে যে অনেকগুলি।
তাই বলছি, ছুটছো ছোটো, ভালো কথা,
মাঝে মধ্যে নাও জিরিয়ে পথের ধারে,
রাস্তাধারের লাল হওয়া এক কৃষ্ণচূড়ায়,
হয়তো কিছু স্বপ্ন লেগে থাকতে পারে।
সে স্বপ্নটাও, ওহে পথিক, তোমার নিজের,
যদিও তাতে নাম বা যশ কিচ্ছুটি নেই,
হঠাৎ কোনো খামখেয়ালের উটকো কাজে
যে সুখ লেখা, স্বপ্নগুলো খুশী তাতেই।
তাই বলছি, উর্ধ্বশ্বাসে ছুটছো এত
দম নিয়ে নাও, একটু দেখো ডাইনে বাঁয়ে,
জয়ের মালা তোমার গলায় আসার আগেই
রঙ লেগে যাক মুহূর্তদের গায়ে গায়ে।


আর্যতীর্থ