। প্রাণের মানুষ।


প্রাণের মানুষ, আমার তোমায়  লিখতে চিঠি ইচ্ছে করে,
যেমন করে ভাবতে তুমি, যাপন ফেলে শিখতে সেসব ইচ্ছে করে।
কেমন করে দুঃখ গিলে লেখাও নি নাম শোকমিছিলে
কোন জাদুতে  পূর্ণ জাগে বিয়োগব্যথার রিক্তে ,জানার ইচ্ছে করে,
আঁধারপথের হোঁচট ছেড়ে তোমার দিকে বেঁকতে ভারী ইচ্ছে করে।


আমরা সবাই আটকে গেছি দুনিয়াদারির গোলোকধাঁধায়,
নিষেধ আছে তাসের দেশে হিসেববিহীন হাসাকাঁদায়।
ঠিক যতটা বললে পরে, রঙ বোঝা যায় গলার স্বরে,
তেমন ভাবেই মন দিয়েছি আবেগগুলোর বাধাছাঁদায়,
যুগের হুকুম কোরাস গাওয়া, বিপদ আছে উল্টোসুরে গলা সাধায়।


প্রাণের মানুষ, স্বপ্ন এখন আর দেখিনা বিশ্বজুড়ে সবাই রাজা’র ,
দিন পড়েছে তুবড়িয়ে ঢাক ‘আমরা ওরা’র বাজনা বাজার।
নাম লেখানো কোন পতাকায়, সেটাই সবাই আগে দেখায়,
আকাশ ছোটো হচ্ছে ক্রমেই, উঠছে পাঁচিল হাজার হাজার,
ঢুলছি নেশায়, বিষ মিশে যায় বিচারে আজ ভেদের গাঁজার।


হাঁপিয়ে উঠে এই যাপনে, খুঁজছি আলোর ঝর্ণাধারা,
জানলা বেয়ে নিকষ আঁধার, চোখ খুঁজে যায় সন্ধ্যাতারা।
দিনের খাঁজে বিষাদ লেখা, প্রবল ভিড়ে সবাই একা,
স্বস্তি এবং শান্তি কাড়ে সিঁদকাঠিতে কে বা কারা,
পথে যাদের হাত ধরেছি, আমার মতোই অন্ধ তারা।


প্রাণের মানুষ, বাইরে এসো, এই পৃথিবীর লাগবে তোমায়,
প্রতিটা মন বদলে গেছে আত্মঘাতী মানববোমায়।
বিস্ফোরনে ওড়ার আগে, আলোয় ফেরার ইচ্ছে জাগে,
জাগাও আমায় তোমার ছোঁয়ায়,  চাইনা যেতে ভাবনাকোমা’য়,
মানুষ বলে ভাবতে শেখাও, ঢাকুক ক্ষত আবার ক্ষমায়।


আর্যতীর্থ