। প্রায়রিটি।


এত কাজের ঠোকাঠুকি, নিত্যদিনের খিটিমিটি,
রক্ষা পেতে হলে সুজন ঠিক করে নাও প্রায়রিটি।
কোন কাজে ঠিক সময় দেবে, কোনটা পড়ে থাকতে পারে,
সুখের ঘরের চাবিকাঠি জেনো থাকে সেই বিচারে।


কোনো কাজে মনের নেশা, কোনোটাতে পেটের রুটি,
অভাব খুঁজে স্বভাব বুঝে , ঠিক করে নাও প্রায়রিটি।
কখন তুরন্ত ছুটতে হবে, কখন সময় আস্তে চলে,
যেজন সেটা বুঝতে পারে আগামী যায় তার দখলে।


মুহূর্ততে কাজ জমে যায়, সবাই এখন জোরসে ছুটি,
সহজভাবে বাঁচতে গেলে ঠিক করে নাও প্রায়রিটি।
ব্যালেন্স যদি করতে পারো অফিসে আর ফুল বাগানে,
তবেই সবাই মানবে  এ লোক সময় নিয়ে খেলতে জানে।


অনেক সময় তুমুল ঝড়ে দেয় নাড়িয়ে রুটিন খুঁটি,
তা সামলাতে একটু ভেবে ঠিক করে নাও প্রায়রিটি।
ঝড় ঠেকানোর নানান উপায় শান্ত হয়ে যে ভেবেছে,
হঠাৎ আসা ধমক চমক তার কাছে ঠিক পোষ মেনেছে।


আসছে ফোনে এত মেসেজ , চাইছে সবাই জবাব চিঠি,
কাকে কখন বলবে কত, ঠিক করে নাও প্রায়রিটি।
সত্যি বলতে নতুন করে ফোন ধরাটাও শিখতে লাগে,
সামনে যিনি আছেন বসে, সময় পড়ুক তাঁরই ভাগে।


মিনিটগুলো তকতকে হোক, কাজ আর সময় বাঁধুক জুটি
একটু শুধু মন লাগিয়ে ঠিক করে নাও প্রায়রিটি।


আর্যতীর্থ