। পৃথক।


তোমার এপার ,আমার ওপার ,মাঝখানে যে স্রোত,
রীতি মানলে সেটার নামই বোধহয় ভালোবাসা।
কলার ভেলা ভাসুক কিংবা সপ্ত ডিঙার পোত,
আবেগগুলোর সে সব চড়েই নিত্য যাওয়া আসা।
আমার পারের গাছগাছালি, তোমার পারের পাখি,
তাদের মাঝে সোহাগকথায় দুলতে থাকে ঢেউ,
কুল ছাপালে সামলাবোনা আগেই বলে রাখি,
জোয়ার এলে বোকার মতন শুকনো থাকে কেউ?


তোমার আকাশ আমার আকাশ মাঝখানে যে মেঘ,
লোকের মুখে সেই বিষাদই বিরহ নাম নেয়,
বজ্র এবং বিজলি জাগায় হঠাৎই উদ্বেগ,
বৃষ্টি হলেই ঝরঝরে সব, সূর্য উঁকি দেয়।
রাতের বেলায় টিমটিমে চাঁদ, জোনাকমাফিক তারা,
অভিমানী বালিশ যখন ভিজছে চোখের জলে
ঘন তুষার প্রাচীর তোলে, খুব কড়া পাহারা,
আলতো হাতের সন্ধিছোঁয়ায় তখন বরফ গলে।


তোমার মাটি আমার মাটি ,মধ্যতে যে বাগান,
আদর করে আমরা তাকে গেরস্থালি ডাকি
ফুল আর ভ্রমর ঋতুর টানে আসেন এবং যান,
আমরা দুজন সম্বৎসর গাছের খবর রাখি।
গ্রীষ্মকালের তপ্ত ভূমি, বর্ষাকালের কাদা,
সামলে রেখে বসন্তদিন আসবে কবে গুনি
শুকনো পাতার রোজনামচার বখরা আধা আধা,
নতুন পাতায় ঝুমকোলতার পদধ্বনি শুনি।


আমরা দুজন এক মোটে নই, দুদিক ধরে রাখি,
তোমার ভাগে গাছের সবুজ, আমার ভাগে পাখি।


আর্যতীর্থ