। প্রজন্মভেদ।

        ।আগের প্রজন্মের আক্ষেপ।

‘লাল গোলাপে নাস্তানাবুদ হায় বেচারা প্রেম,
বিন-ইমোজি এখন তোকে প্রকাশ করাও মানা,
মিডিয়া জুড়ে জ্বলে নেভে কত যুগলফ্রেম
ঘুরতে বছর হচ্ছে বদল মনদেওয়া ঠিকানা।

বিরহ আজ খুব তামাদি ( soময়ই নেই গুরু!)
পুকুর বুঝে চার ফেলে দেয় হরেক রকম ছিপ,
একটি প্রেমের শেষের থেকে আরেক প্রেমের শুরু,
এক্কা দোক্কা চলছে খেলা স্ট্যাটাস রিলেশনশিপ।

ছাদের থেকে হাত ইশারা, বাসের চোখে চোখ,
চলতো সেসব সাতপুরোনো মান্ধাতা আমলে,
হোয়াটসঅ্যাপের নামে জোরে জয়ধ্বনি হোক,
সুযোগ পেলেই মুঠোফোনে চলচ্চিত্র চলে।

এতই সহজলভ্য যদি মনের চালাচালি,
প্রেম তবে আর গভীর কুয়ো কেমন করে খোঁড়ে,
রংবাহারের পাতার দিকেই ঝুঁকছে যখন মালি,
খবর কে আর রাখবে তবে কি হচ্ছে শিকড়ে?’

           ।এই প্রজন্মের উত্তর।

‘হে বৃদ্ধমন, কাজ কি বাপু এতটা বকবকে,
বলছো এযুগ মরছে নাকি প্রেমহীনতার রোগে,
মিললো না যেই প্রেমের ধরণ বস্তাপচা ছকে,
আনাপশানাপ দোষ দিয়ে দাও প্রযুক্তিপ্রয়োগে।

তোমাদের ওই চিলেকোঠার চোখাচোখির কথা,
হাতচিরকুট, শব্দসোহাগ, একসাথে ঝালমুড়ি,
এসব বলে দীর্ঘশ্বাসে করো আদিখ্যেতা,
হরেদরে আমরাও তো অমন প্রেমই করি।

তফাত শুধু শব্দরা যায় ফোনের থেকে ফোনে,
তফাত শুধু মিডিয়াময় ছড়িয়ে যায় ছবি
মনখারাপের মেঘ জমে যায় আজও ঈশানকোণে
একলা বালিশ , মনপোড়া চোখ, একই আছে সবই।

তোমাদের ওই পাশাপাশি পার্কে বসা দেখে,
সেইসময়ের পক্ককেশী খুব কি ছিলো খুশী?
প্রেম চিরকাল পাল্টে চলে যুগের গন্ধ মেখে,
নব্যযুবা চিরকালই অভব্যতায় দোষী।

প্রেমের বয়েস হয়না জেনো, প্রজন্ম বদলায়,
রাই আর কানুর সে গল্প কি এখন খুঁজলে পাবে?
গঙ্গা দিয়ে নতুন জলের ধারা বয়ে যায়,
আমাদের এই ভালোবাসাও ভাবীতে পাল্টাবে।’

আর্যতীর্থ