। প্রয়াণ।


শেষ দাঁড়ি টানতে এসে,
কখনো কখনো সময় থমকে দাঁড়িয়ে চোখ মুছে নেয়।
পাপের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে পরিশিষ্টতে অনন্তকাল লিখে দেয়,
নশ্বর আয়ু অজর স্মৃতিতে গিয়ে মেশে।
বেঁচে থাকে কীর্তিরা, ছবি গান কবিতার অবয়বে,
কাহিনীও লোকমুখে বদলায় ক্রমশ  প্রবাদে,
আগামী প্রজন্মরা বুঁদ হয়ে যেতে থাকে অতীতের স্বাদে,
এভাবেই প্রতি যুগ সিঁড়িধাপে উঠে,পুরোনো নতুনে ধরা দেবে।
তাই , জন্মদিনের মতো সমান গুরুত্বে প্রয়াণে সে পায়ে প্রণাম রাখি
স্রষ্টার চেয়ে বড় সৃষ্টি যে তাঁর।
শ্রাবণের ঝরঝর সৃজনী বৃষ্টিপাত মনে করায় আবার,
কবিতার কাছে যেন নত হয়ে থাকি।


আঁধার ঘিরেছে পথ, কোথাও পৌঁছাবো কিনা সন্দেহ কুরে খায় মনকে যখন,
কালো মেঘ ধুয়ে দিয়ে ভরসার রবি আলো জীবনে ফিরিয়ে দেয় বাইশে শ্রাবণ।


আর্যতীর্থ