। পুতুল।


( ভাগ্যিস জজসাহেব দেখেছিলেন
মেয়েটিকে পুতুল নিয়ে খেলতে! )


পুতুলের কাজ আজ কত গেলো বেড়ে
সোনামণি নিয়ে ঢোকে তাকে আদালতে
উকিলেরা নিতে চায় তার কথা কেড়ে
কড়া নুন ঢেলে দেয় দগদগে ক্ষতে।


ক্ষুদেটা এখনো কিছু বুঝতে শেখেনি
শুধু বোঝে কাকু ভালো লোক নয় মোটে
বাবা মা কখনো সেটা তলিয়ে দেখেনি
এত কেন দৈনিক চকোলেট জোটে


ছোট্ট শরীর ছোঁয় নোংরা আঙুল
বিকৃত ক্ষিদে তার অনায়াসে মেটে
অভিভাবকের যত বিশ্বাসী ভুল
ঢেকে দেয় কেন ব্যথা করে তলপেটে


অবশেষে ধরা পড়ে কাকুটি হাজতে
তথ্যের খুঁত ধরে উকিলের জেরা
তিন মাস বাকি তার ছ'বছর হতে
বিঁধে যায় শিশু মনে চোখা প্রশ্নরা।


সোনামণি পুতুলের স্কার্ট ঠিক করে
যেই ভাবে সে কাকুটা ছুঁয়েছিলো তাকে
ভাগ্যিস পড়েছিলো জজের নজরে
আদালতে বয়ে চলা ঘটনার ফাঁকে


অপরাধী সাজা পেলো বহু ভাগ্যতে
বিপদ কমেনি তবু জেনো একচুল
নেকড়েরা শান দেয় নখে আর দাঁতে
সাবধানে সামলিও তোমার পুতুল।


আর্যতীর্থ