। সন্ধি।


অথচ তোমাকে জানানোই যেতো একলা থাকতে শিখিনি এখনো
জানানোই যেতো তোমার চুমুর স্মৃতিতে কখনো মরচে পড়েনি,
সন্ধির কিছু প্রলেপ পড়লে স্তিমিত হতো এ রোজের দহনও
তবু সূচাগ্র ভূমি ছেড়ে দিতে এশর্মা দেখো একপা সরে নি।


নিয়তিকে নিয়ে ছেলেখেলা করা বোধহয় প্রেমের নিত্যকর্ম,
খুলে বললেই গোল মিটে যেতো তবুও ঠোঁটেরা মৌন থাকবে,
উহ্য কথারা আন্দাজী বাণে ফোঁড়ে ভরসার ঠুনকো বর্ম,
ঘনিষ্ঠ কিছু মুহূর্ত দিতে সময় ক্রমশ চওড়া হাঁকবে।


অথচ তোমার হাসিতে এখনো বুকে উপচায় হাজার পদ্ম,
কপালের কাছে ঝুঁকে আসা চুল সরাতে আঙুল নিশপিশ করে
শব্দরা নিজে কবিতায় সাজে স্নান করে যেই বেরোলে সদ্য,
সম্বিত ফেরে যুদ্ধের ক্ষতে বর্তমানের কামড়ে আঁচড়ে।


গোপনে সিঁদুর সিঁথিতে ছুঁইয়ে তুমিও হেসেছো জানি আয়নায়
বার্ষিকী দুলে আজও ঝিকিমিকি কানের লতির ললিত সখ্যে,
তবুও দুজনে হাতড়ে চলেছি কাছেদূরে যদি কথা পাওয়া যায়,
খামতির যত খতিয়ান নিয়ে জরিপ করছি একে অপরকে।


অথচ তোমাকে জানাতে চাইছি এসব যুগের গোপন চালাকি,
সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধু হয়না, বালুচর গড়ে  ভেঙে দেয় ফের,
যে নাম তোমার শুধু আমি জানি ভাবছি তাকেই সন্ধিতে ডাকি,
মুঠোফোন দুটো হিংসায় জ্বলে দেখুক যুগল মুহূর্তদের।


নতজানু হয়ে দুহাত বাড়িয়ে প্রতীক্ষা করি উষ্ণ ঠোঁটের...


আর্যতীর্থ