। সন্ধ্যাকালীন পাগলামিরা।


সোমত্থ এক সন্ধ্যাকালে সুয্যি যখন আকাশকোণায় নিজের মনে আবির মাখায়,
ঘরমুখী সব পাখির ডানায় গা ঢাকা দেয় ব্যস্ততারা সারাদিনের,
থতমত শহর যখন থমকে দাঁড়ায় অফিসফেরত রুটের বাসের ন্যুব্জ চাকায়,
তোমায় নিয়ে পাগলামিরা হঠাৎ তখন বেরিয়ে আসে পিঁজরা ভেঙে সব রুটিনের।
এমনি যদি আমায় দেখো , থোড় আর বড়ির বাইরে যাবার নই সাহসী,
ঝাঁকের মধ্যে মিলেমিশে নিয়মমাফিক কানকো নাড়াই দিনযাপনের বুড়বুড়িতে,
পর্দানশীন উচ্চাশাদের বুকের ভেতর নিরুচ্চারের গর্তে পুষি,
লাইন ভেঙে এগিয়ে গেছি, এমন কোনো দুর্ঘটনা হয়নি লেখা স্মৃতির খাতে।
কিন্তু যখন শহর জুড়ে সন্ধ্যা নামে, দিনের ব্যাটন ঠিক যেখানে রাতের সাথে হচ্ছে বদল
তখন আমার দুধুভাতু খোলস ছুঁড়ে তোমার সাথে বন্য হওয়ার ইচ্ছে জাগে,
কল্পনাতে তোমার খোঁপায় পলাশ গুঁজি, দূরে কোথাও দ্রিমি দ্রিমি বাজছে মাদল,
চুমুর পরে তোমার গালের লালচে আভা সঙ্গোপনে মিশ খেয়ে যায় অস্তরাগে।
তোমায় এসব বলতে পারি, হাজার হলেও ফিরবো বাড়ি তোমার কাছেই,
এক দুখানা এস এম এসে মাঝে মাঝে পাগলামিদের বুঝেও ফেলো সম্ভাষণে,
তবুও জানো , বাড়ি ফিরে রাতখাবারে চুপকথাদের লুকিয়ে ফেলি চেনা ধাঁচেই,
পাই না বুঝে সন্ধ্যাকালীন পাগলামিদের কোনো ছোঁয়াচ লাগলো কিনা তোমার মনে।


আর্যতীর্থ