। সংসার।


কথার ঝুলি একটু ফাঁকাই আজ। আগুন কেমন নিভন্ত চারচোখে। ইতস্তত ছড়িয়ে গেছে মন, কায়ক্লেশে টুকরো করি জড়ো।স্বভাবতই উঠোনে জঞ্জাল, বিনা ঝাঁটে ময়লা এখন ঘরও। ঘড়ির কাঁটা টিকটিকিয়ে যায়, সময় কাহিল নীরবতার শোকে।
কয়েকটা দিন কাঁপানো যৌবন, তারপরে তো থোড় বড়ি আর খাড়া। চায়ের কাপে শব্দবিহীন চুমুক, শীতল কথায় ঠাণ্ডা হওয়া ভাত। বালিশগুলো গোপন কথা জানে,পাশ ফিরে শোয় অভ্যাসী মাঝরাত। মুঠোফোনে বিধিনিষেধ ঢোকে,নিজস্বতায় খুব কড়া পাহারা।
মাঝে কোনো দমকা দুপুরবেলা, আঙুলছোঁয়ায় হঠাৎই মন নদী।নিমেষগুলো চুপিসারে শোনে, হারিয়ে যাওয়া মন্থনী প্রেমকথা। বিকেলবেলা রোমন্থনে যায়, হাসি মজাক, প্রেমের আদিখ্যেতা। ঘটিবাটির ঠোকাঠুকি ছেড়ে, সবকটা দিন এমন হতো যদি!
তা হবে না, সময় সেটা জানে, খুঁড়িয়ে চলার নামই তো সংসার। এমন করেই বুড়িয়ে যায় সবাই, ফুরিয়ে যায় প্রদীপ ভরা তেল।রূপকথাদের মুড়োয় নটেগাছ, চিরকালীন ভানুমতীর খেল। ক্লান্ত হাতের রোজকার সঙ্গতে, দিনযাপনের বেসুরো ঝংকার।
তাই বলে কি প্রেম পাবে না নাকি? দুপুরবেলায় দামাল হওয়ার অপেক্ষাতে থাকি...


আর্যতীর্থ