। শঙ্খ।


কিছু কিছু শিরদাঁড়া আজও স্বস্থানে আছে।
ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য, হাঁটুর ব্যথা প্রত্যহ জানান দিচ্ছে,
তবু দৃষ্টি  লক্ষ্যে আজও সুস্থির চশমার কাঁচে,
শব্দের ফুলকিতে মশাল জ্বালাবে বলে পলতেরা ভিজছে...


তিনি রঙহীন, দাসখৎ নেই লেখা কোনো পতাকায়,
তিনি রামধনু, সাতরঙ এঁকে দেন ছন্দের টানে,
তিনি কবি, কখনো যাননি যিনি রাজার সভায়,
তিনি ব্যতিক্রম, বিপরীত স্রোত ঠেলে চলেন উজানে।


বেশি লোক হামাগুড়ি প্র্যাকটিস করে আজকাল,
সর্বদা নতজানু হয়ে থাকা বরাবর দারুণ সুবিধে,
সাবধানী কবিতাতে শব্দেরা হয় শুধু ভাষাজঞ্জাল,
খেতাব তকমা ওঠে তেলচুকচুকে নানা বঁড়শিতে বিঁধে।


বেড়ার ওপরে কাকেশ্বরের মতো হাতে পেন্সিল নিয়ে,
কিছু লোক রাখছে হিসাব জল কতটা গড়ালো,
ধর্ম ও জিরাফের দুতরফে সাঁকো কিছু রাখে বানিয়ে,
যেদিকে থাকবে ঢালু সেই দিকে বেঁকে যাওয়া ভালো..


শুধু তিনি হেঁটে যান ব্যথাতুর হাঁটু নিয়ে কড়া রাজপথে
দুপুরের সূর্য তাঁর আলোয় লজ্জা পেয়ে মেঘে মুখ ঢাকে,
মানুষ ডেকেছে তাঁকে, প্রতিরোধ সবখানে হবে পৌঁছাতে,
তিনি হেঁটে যান, সিধে রেখে বরাবর না নোয়ানো শিরদাঁড়াকে।


বাতাস তৈরী হয়, বারুদ ভরতে হবে এইবারে কালবৈশাখে...


আর্যতীর্থ