। সান্টা।


সান্টা কেমন দেখতে কেউ জানো নাকি সত্যি?
লাল পোশাক আর সাদা দাড়ি, একটু গায়ে গত্তি,
হাতে সাদা দস্তানা আর পিঠের ওপর ঝোলা,
এমন একটা ছবি সবার মনের ভেতর তোলা।
কিন্তু সেটা সত্যি যে নয় , সব বড়রাই জানে,
তার মানে কি সান্টাবুড়ো নেই কো কোনোখানে?
আছে আছে , সান্টা আছে, চুপিচুপি বলি,
অবশ্য নেই সাদা দাড়ি, কিংবা বড় থলি।
মনে আছে , সেই যে সেবার  নেমে বাসের থেকে,
থমকে গেলে ভিক্ষা করা পথের শিশু দেখে?
কাছেই ছিলো পাইস হোটেল কিংবা রোলের দোকান ,
সেদিন তুমি করলে না আর এড়িয়ে যাওয়ার ভান,
ভরপেট্টা খাবার কিনে দিলে সে বাচ্চাকে,
সে কি মিষ্টি হাসি ছিলো কচি দাঁতের ফাঁকে!
পাড়ার চায়ের দোকানটাতে  কাজ করে যে ছোটু,
গেলাস মাজা, চা ঢালা আর হিসেব করতে পটু,
খুব বেশিদিন আগেও তো নয়, গত পুজোর দিনে,
ওরই জন্য নতুন জামা এনেছিলে কিনে।
এসব স্মৃতি যদি তোমার মগজঝোলায় থাকে,
যেন তবে কেউ তোমাকেই সান্টা বলে ডাকে।
না থাকলেও নেই পরোয়া, আজ তো বড়দিন,
যীশুর কাছে আছে সবার রক্তপাতের ঋণ।
আজকে থেকেই হোক না শুরু, কিছু দেওয়ার পালা,
ধুঁকতে ধুঁকতে বেঁচে থাকা শিশু আছে মেলা।
তাদেরই একজনকে খুঁজে যে কোনোদিন নিয়ে
খাবার পোশাক কিংবা অন্য অভাব দাও মিটিয়ে।
শর্ত একটা আছে বটে , খুব বেশি তা নয় হে চাওয়া
দান যেন হয় ভালোবেসে, চাইছে না কেউ তোমার দয়া।
একটা কচি মুখে যদি তোমার জন্য হাসি ফোটে,
আয়না দেখো, সান্টা ক্লজ তোমার মাঝেই ঝলসে ওঠে।


আর্যতীর্থ