। শরণার্থী।


উনপাঁজুরে  হাড়ে বয়ে যায় হিমবাহ,
কোথা থেকে এসে যাচ্ছে আবার কোথায় ও?
ঠাঁই নেই তার, জোর নেই আর তার ভিতে,
কবেই স্মৃতিতে ফিকে হয়ে গেছে তার ভিটে,
স্বদেশে বেঘর ,বিদেশে বেঘোরে মারা পড়ে,
ওকে দেখলেই গাছের শিকড়ে ভয় ধরে।
কিছু নেই ওর, বেঁচে আছে শুধু প্রাণ জিদে,
কিছু ছিলো নাম, কিন্তু আজকে নাম খিদে।
নাম খিদে, আর কামের বেলায় শূন্যতা,
শিবির পেয়েছে, অনেক জন্ম পূণ্য তা।
ওর মেয়েটাকে খুবলে খেয়েছে নেকড়েরা,
( স্বদেশে বিদেশে সহজ শিকার ভিক্ষারা)
ছেলেটা ভুগেই চলেছে শুনেছি কালজ্বরে
( আহা গৃহহীন হলে মৃত্যুরও জিভে লাল ঝরে)
নিজের নারীকে হারিয়ে ফেলেছে কোন কালে,
( গণকবরেও দুব্বো গজায় কংকালে)
তবু দেখো ওকে, ধুঁকে ধুঁকে বলে বাঁচবো সে,
ভূত ভাবী নয়, ওর বুক জুড়ে আজ বসে।
আকুল দুহাতে সাঁতরে চলেছে সভ্যতা,
করেনা হিসেব ঘূর্ণির স্রোতে নাব্যতা,
থিতুহীন দিন, হ্যাট বললেই ঠাঁইনাড়া,
( শরণার্থীর কষা চলেনা হে পাঁয়তাড়া!)
সিরিয়ার থেকে সারাজেভো হয়ে মায়ানমার,
খিদেরা লিখেছে গোটা অক্ষরে গল্প তার,
ওহে গৃহস্থ! পাস কি শুনতে ওর কথা?
ভূতে বা ভাবীতে আসলে ও বলে তোর কথা...


আর্যতীর্থ