।সেলাম।


সত্যি কথা, শঙ্খ তোমার শঙ্খ নামটা রাখলো কে,
রাখলো যদি, দাও নি কেন রাজার পুজোয় বন্ধকে?
নিরীহ সব রাজার শাঁখে,
প্রশস্তিগীত লিখতে থাকে,
তা না করে কইছো কথা চোখ রেখে সেই রাজচোখে,
কেন তোমার ধ্বনি শুনে ভরসা ফিরে পায় লোকে?


সবাই জানে রাজার চেলা ফালতু কথার ঝাড়বাতি,
বিরোধী হোক কচুকাটা আটকে তাতেই ভাবনাটি
সোজা আঙুল বেঁকিয়ে নিয়ে,
ঘিয়ের শিশি যান কাঁচিয়ে,
বিরুদ্ধেতে বলতে গেলে বংশে জ্বালান লালবাতি,
ধরতে গেলে এরাজ্যতে শমন তিনি সাক্ষাৎ-ই।


সবাই ভারী সমঝে চলে লাল সে চোখের ঘূর্ণয়ণ,
হেথায় হোথায় ব্যথায় জাগে রাস্তা জুড়ে উন্নয়ন।
এমনিতে বেশ মিষ্টি স্বভাব
কিসের নাকি হলে অভাব
শব্দরা আর বাঁধ মানেনা, গালিই শুধু হয় চয়ন,
কথায় ব’কার ম’কার দেখে লজ্জা পাবেন বাৎস্যায়ন।


শঙ্খ তোমার মন্দ্রধ্বনি পড়লো কিনা তার কানেই,
যার  কাছে হায় কোনোকালেই সরস্বতীর পাত্তা নেই।
বোঝেন ভারী কষ্ট করে,
কাজের সময় নষ্ট করে,
রহস্যময় অভাব ঘটে তৎক্ষণাৎ-ই তার ব্রেনেই,
চেঁচিয়ে ওঠেন ‘ শঙ্খটা কে?’ আগুপিছু না জেনেই।


রাজার কাছে খবর গেলে উল্টে তিনি ফেলেন ঠোঁট,
( জনশ্রুতি , কান্ড দেখে হেসেও নাকি নেন একচোট)
যদিও তিনি জানেন সবই
( শঙ্খ সবার প্রিয় কবি)
তবুও বলেন কেমন করে , সামনে যখন আসছে ভোট,
চেলার হাতেই গচ্ছিত যে সমর্থনের সব ব্যালট।


সত্যি কথা, শঙ্খ তোমার রাখলো গো কে শঙ্খ নাম?
কিসের সুখে সত্যি বলো , তুচ্ছ করে সব ইনাম?
সবাই যখন রাজার দলে,
পারিতোষিক খুড়োর কলে,
তখন তোমার শব্দে লেখো আপোষবিহীন এ সংগ্রাম,
শব্দে বারুদ এমন ভরো রাজার সভার ছুটছে ঘাম।


যেজন তোমার নাম রেখেছেন করছি তাঁকে লাখ সেলাম!


আর্যতীর্থ