।শিকড় খুঁজি চলো।


যেসব জাতি গেছে শিকড় ইচ্ছে করেই ভুলে,
খন্দ থেকে কে আর বলো আনবে তাদের তুলে।
খন্দ বাড়ে, ধন্দ বাড়ে, গন্ধ বাড়ে আঁশটে,
ফার্স্ট বলে যার প্রচার চলে, হয়তো ছিলেন লাস্টে।
রূপকথা আর ইতিহাসের খিচুড়ি হয় সিদ্ধ,
সিংহাসনটি যার তরফে , তিনি অপাপবিদ্ধ।


হিন্দুস্তান আর হিন্দুস্থানে ফারাক আকাশপাতাল
এসব কি আর বুঝবে নাকি ধর্মনেশায় মাতাল?
অন্যতরফ তথৈবচ , তাদের দোষও কম কি,
ধর্মশাকে হিংসা ঢেকে তারাও শোনায় ধমকি,
দুই তরফের বীর মানে সব অস্ত্রধারী যোদ্ধা,
সারা দেশে ময়দান- এ- জং কারবালা অযোধ্যা।


দাঙ্গাবাজের পাঙ্গা নেওয়ার সাহস কি পায় পুলিশ?
ফোন চলে যায় , হুমকি বেজায় ‘ থাকিস আব্বুলিস’
অস্ত্র শানায় রামনবমী মহরমের পাল্টা,
নেতারা সব আনতে কুমীর গভীর কাটেন খালটা।
ইনি হাঁকেন উনি ডাকেন , চাপড়ে বেড়ান জংঘা,
ভক্তজনের অসীম কৃপায় বইছে রক্তগঙ্গা...


ধর্ম মানে শান্তি কোথায় , ধর্ম এখন যুদ্ধ,
আল্লাহ হরি পাঞ্জা কষেন, হুংকার দেন বুদ্ধ।
প্রার্থনা আজ ‘ মারো কাটো’ , মানুষ মারার হুংকার,
খুঁজছে ধর্ম হিংসা দিয়ে আজকে কাড়বে ঘুম কার।


কানে এসে যায় সে আর্তনাদ, যত তুমি চোখ বোজো,
দোহাই, সময় হয়েছে এবার , দেশের শিকড় খোঁজো...


আর্যতীর্থ