। সিঁড়ি।


জীবন থেকে ঠিক কি যে চাওয়ার আছে
ঝাপসা সেটা লাগছে এখন কেমন যেন
ওঠার সিঁড়ি ওই তো আছে সামনে পড়ে
ভাবছি বসে আর ওপরে উঠবো কেন।
বারেবারে লোকে দেখায় আঙুল দিয়ে
সোপানসারি আকাশপানে গেছে উঠে
আমি হাঁপাই একটি কোণে বসে এখন
অর্ধজীবন পার হয়েছে সিঁড়ি ছুটে।
সবাই বলে এসেছো হে কিছুটা পথ
শিখর পেতে অনেকগুলো সোপান বাকি
ক্লান্ত আমার পা দুখানা প্রশ্ন করে
চুড়োয় যদি না পৌঁছাই, হবেটা কি?
আমার পাশে ঠেলাঠেলি করছে লোকে
দৃষ্টি তাদের মাটিতে নয়, ওপর দিকে
পায়ের তলার জমিটুকুর কি আর কদর
সিঁড়ি চলার হরেক উপায় ফেলছে শিখে।
আমি শুধু বসে আছি পা গুটিয়ে
কাছে এসে বুঝিয়ে বলে বন্ধুজনে
এমন পড়ে থাকলে বৃহৎ গোল্লা পাবে
সিঁড়ি ওঠাই মোক্ষ জেনো এই জীবনে।
আমি বলি ছোটো থেকেই আসছি শুনে
ধাপের পরে ধাপ লাফিয়ে চলতে হবে
একটু যদি জিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করো
পিছন থেকে ভিড়ের ঠেলায় হুমড়ি খাবে।
অর্ধজীবন পেরিয়ে গেলাম সিঁড়ি উঠে
একটু এখন খটকা মনে খটখটালো
শিখর আমি ছুঁলাম কিংবা নাই বা ছুঁলাম
সত্যি বলো, খুব তাতে কি এলো গেলো?
তার চেয়ে এই দাঁড়িয়ে থেকে মাঝসিঁড়িতে
একটু নাহয়  চতুর্দিকের দেখি শোভা
সিঁড়ি ওঠার বাইরে যেটুক জীবন আছে
সেইজীবনে  নাহয় করি ভাসা ডোবা।
বন্ধুরা সব গেলেন চলে ক্ষুণ্ণ হয়ে
তাঁদেরও তো চড়তে সিঁড়ি আছে তাড়া
আমি এখন বগল বাজাই মনের সুখে
সত্যি বলছি, দিব্যি আছি সিঁড়ি ছাড়া।


আর্যতীর্থ