। সোনা।


‘জড়োয়া গয়না সাতনরী হার লকারেই পড়ে থাকে,
তাই ভয় হয় আদুরে গলায় সোনা বলা ওই  ডাকে
সোনা মানে সে তো বড্ড যত্ন , কচ্চিৎ ছোঁয়া পাওয়া
আমি চাই হতে তোমার ফুলের গাছে দোল দেওয়া হাওয়া।’


“ন্যাকামো তোমার অনেক দেখেছি এখনো দেখবো কত
উদ্ভট সব কথা আর কাজে জীবন ওষ্ঠাগত।
কতদিন পরে শীতের বিকেলে আলগোছে ডাকি সোনা,
বুড়ো হয়ে গেছো, আদরের ডাকে ফেলে দিলে গোরুচোনা।”


‘আসলে বিকেলে মলে ঘুরপাক খেতে খেতে সোনা ডেকেছো
অভিজ্ঞতায় জেনে গেছি প্রিয়ে দামী কোনো শাড়ি দেখেছো।
গেলো বার এই সোনা বলে ডাকে বেশ পড়েছিনু গাড্ডায়,
ক্ষতগুলো তার আজও সারেনি বেচারি ক্রেডিট কার্ডটায়।’


“তোমার মতন বেরসিক নিয়ে কিভাবে যে ঘর করি!
রোমান্টিকের ছিটেফোঁটা নেই , খালি বোঝো থোড় বড়ি।
নিজের বউয়ের আদরের ডাকে ভয় পাওয়া কাপুরুষ,
বিয়ের আগেই কেন যে বুঝিনি এতটা মক্ষীচুষ!”


‘বিয়ের আগে তো সোনা বলে ডাকে ভরা ছিলো যত চুমো
নতুন বিয়েতে ওই একই ডাকে রাত কত নির্ঘুমও
বয়েসের সাথে বুঝেছো গিন্নি বদলে গিয়েছে অংক,
সোনা শোনবার সাথে সাথে জাগে খরচার আতঙ্ক।’


“অমন বললে ভারী পাপ হবে , দেখছেন ভগবান,
মশাই কি তবে সম্বৎসরে কেবলই নিদ্রা যান?
তখন তো বেশ সোনা বলে বাপু গুটিশুটি মেরে আসো,
এখন সোনায় আপত্তি কেন ভালো করে ঝেড়ে কাশো!”


‘আপত্তি কই, তোমার আমার জীবনের গাঁটছড়া,
খুব কষে বাঁধা, ওটাকে যাবেনা সহজে আলগা করা।
তবুও তোমার পেছনে লাগার এমন সুযোগ ছাড়ি?
চলো গিয়ে দেখি তোমাকে সাজাতে উন্মুখ কোন শাড়ি।’


আর্যতীর্থ