। শ্রোতা।


সন্ধেটা ভালোই জমেছে, ঠুংঠাং টুংটাং পেয়ালা আওয়াজে,
সফেন বিয়ার ,অভিজাত হুইস্কি আর ভ্রাম্যমান কাবাবের প্লেট,
গুজগুজ ফুসফুস নানান টেবিলে, কিছু মাথা মুঠোফোনে হেঁট,
এর মাঝে, অনাহুত অতিথির মতো, মৃদুস্বরে বেহালাটা বাজে।


হলটার এককোণে, যেন প্রায় ভুলে গিয়ে, ফুটউঁচু মঞ্চ বানানো,
আঁধারে লেপ্টে বসে এক আসবাব হয়ে বেহালাবাদক ছড় টানে
এরকম পার্টিতে শচীন বা সলিলকে কেউ শুনবেনা সেটা জানে,
তবুও বাজাতে আসে ,কিছুটা নেশাই বটে, রয়েছে পেটের কিছু টানও।


দু একটা রবিগান বাজিয়েছে অভ্যাসে, জনতা গপ্পো করে খালি.
এইবার ধরলো সে ' অজীব দস্তাঁ ইয়ে' , বড় প্রিয় গান তার এটা,
চোখ বুজে ডুবে গিয়ে সুর তাল লয়ে দেয় পারলে নিংড়ে কলজেটা,
অন্তরা শেষ করে শেষ টান দিলো ছড়ে, তখনই, হঠাৎ...হাততালি!


কোণের টেবিলে বসা সদ্যপ্রবীণ এক, দৃষ্টি তখনও তার দিকে,
তালে তাল দিচ্ছেন আঙুলে, মাথা দোলে, মুগ্ধ দু চোখ,
মুছে যায় হলঘর, মুঠোফোনী দাসদাসী, যাবতীয় অরসিক লোক,
বেহালা বাজতে থাকে তন্নিষ্ঠ প্রেমিকের মতো, ভোলাতে একক শ্রোতাটিকে।


আর্যতীর্থ