। সুখ নেই ।


সুখ বড় কমে গেছে সবার ঝুলিতে ।
যতই বাঁধুক বাসা নেতার বুলিতে,
যাপনে ধুলোই কিছু লেগে থাকে হাতে,
মধু সব পড়ে গেছে আর কারো পাতে,
সুখের স্বপ্নগুলো ডানা মেলে ওড়ে শুধু কল্পনাতেই,
কিসের অভাব এত? কেন সুখ কোনোখানে নেই?
চাহিদা ও জোগানের এ ফারাক চলছে তো আজন্মকাল,
তবে কেন বিষাদের ভয়াল কুমীরে ভরা সময়ের খাল?


কাকে সুখ বলে ভাবো জীবনপথিক?
ভাবনারা হঠাৎই যে বদলেছে দিক,
আরো চাই আরো চাই জপে যায় সব্বাই অজপার মতো,
পৃথিবী অধীনে এলে তবে ভালো হতো।
পেট ভরে খোরাকিতে সুখ নেই আর,
ওই দেখো অন্য লোকের পাতে দারুণ খাবার!


গাড়িবাড়ি , ভাবআড়ি, মিলন বা ছাড়াছাড়ি,
হতে থাকে হুটহাট নিজের নিয়মে,
যা কিছু প্রাপ্তি হয়, কিছুতে তৃপ্তি নয়,
না পাওয়ার অভিযোগ ঢিবি হয়ে জমে।
এভাবে ভাবলে পরে সুখ পাওয়া যায়?
আয়না নিজেকে দেখে ভুরু কুঁচকায়,
বলে দ্যাখ আশেপাশে,
কত কম খাটনিতে পড়শীর বঁড়শিতে সুখ উঠে আসে।
স্বভাবে অভাব লেগে যেটুকু রয়েছে তাকে করে দেয় ফিকে,
পাওনার খাতা ছিঁড়ে মানুষ সমানে চায় ওপরের দিকে।


অথচ আকাশে চাঁদ, রোজ ভোর হওয়া দিন,
বাগানে রূপসী ফুল, গাছালির রঙ্গীন,
প্রেয়সীর চুম্বন, বাবা মা’র স্নেহহাত,
হো হো হি হি আড্ডায় কেটে যাওয়া সারারাত,
ছেলেমেয়ের দুষ্টুমি, নানাবিধ খ্যাপামি,
বিপদে কারোর বলা ‘ এসে গেছি দ্যাখ আমি’
ক্লান্ত দিনের শেষে ঘামমোছা সাথীটি,
চারহাতে আগলানো নিভু নিভু বাতিটি,
এরা সব, আরো কত ঘটছে ও ঘটবেই,
তবুও বলবে লোকে , কোনোখানে সুখ নেই...


আসলে যেখানে সুখ, সেইদিকে মুখ নেই...


আর্যতীর্থ