। তিমিঙ্গিল।


নীলতিমি গেম খেলে তিনটি কিশোর দিলো উঁচু থেকে ঝাঁপ
স্বভাবত দেশ জুড়ে গেলো গেলো রব, কোথা থেকে এলো এই পাপ,
এমনকি সরকারও নড়েচড়ে বসলেন( সূর্যগ্রহণের মতো এমন ঘটনা বড় দুর্লভ দেখা)
নাস্তিনির্দেশ গেলো গুগলের কাছে। আজকাল কৈশোর বন্ধুবিহীন হয়ে বাঁচে একা একা,
তারই প্রকোপে নাকি মনস্তত্ব আজ আরো গোলমেলে,
তাই নিয়ে সভা চলে চ্যানেলে চ্যানেলে।
সত্যি বলতে, ব্লু হোয়েলের কথা জীববিদ্যার বাইরে আর কয়জন জানতাম?
আজ সোস্যাল মিডিয়ায় নীলতিমি চুম্বকী আত্মসমর্পণের বিভীষিকার আরেক নাম।
প্রায় একই সাথে, ভেতরের পাতায় ছোটো ছোটো খবর ছিলো দুটো।
এক ইংরাজী এম এ বি এড আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলো বাঁচবার খড়কুটো,
শেষ অবধি একটা ঝাড়ুদারের চাকরী জুটেছিলো এক বেসরকারী সংস্থায়,
শিক্ষার অপমান যুবক জুড়িয়ে নিলো অভিমানী আত্মহত্যায়।
আর এক বোকা, ইন্জিনিয়ারিং পাশ করে পেয়েছিলো বন্দরে কুলীর কাজ।
এ পোড়ার দেশে, দুর্নীতি পলি পড়ে আটকে গিয়েছে কত বিদ্যে জাহাজ,
আর এ তো সামান্য ইঞ্জিনিয়ার! অনলাইন চ্যালেঞ্জ ছাড়াই
ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো ধাবমান লরির সামনে।
শিক্ষা নামক প্রহসনের এ যুগে যে কোনো দাম নেই,
এই দুই গোবেচারা বুঝতে পারেনি। বুঝতে না পেরে এই জ্বলন্ত সত্যকে,
সাল প্রতি পয়তাল্লিশ হাজার বেকার যুবক জীবনের কাছে ঠকে মৃত্যুতে শেষ করে জীবিকার খোঁজ,
তিমি নয় ,আরো কোনো বড় তিমিঙ্গিলের তারা রোজকার ভোজ।
অথচ মজাটা দেখো, নড়েনি চড়েনি আজও সরকার কোনো,
তিমিঙ্গিল ওই খেলবার ডাক দেয়, যুবক ও যুবতীরা শোনো...


আর্যতীর্থ