।ত্বক।


কতটা পৃথুল হলে ত্বক, বীতশোক হয়ে সব সহ্য করা যাবে,
সে ব্যাপারে সরকারী আদমসুমারি করা হোক ।
তাহলেই চুকে যাবে ল্যাঠা, মুচড়ে উঠবেনা কলজেটা,
প্রতি শিশুধর্ষণ শুনে। পাশ ফিরে ঘুম দেওয়া যাবে ধর্মের নামে হওয়া খুনে।
ইদানিং ভালো থাকে তারা, যারা সব সয়ে নিতে পারে।শাসকের তালে তাল দেয়, পুতুলের মতো মাথা নাড়ে।
ঘরের দরজাগুলো এঁটে, সমকাল রাখছে পকেটে, কালো আস্তরণে মুড়ে লকারের এককোণে রেখে দেয় যুক্তিবিচার,
আখের গোছাতে গিয়ে মানুষেরা হয়ে পড়ে ক্রমে গণ্ডার।
বেড়ে যায় সহ্যসীমানা, পুরু চামে দ্রোহিতা অজানা,
তার কাছে জোলো লাগে গোরক্ষা খুন কিংবা কোথায় চাষী
মরে ফলিডলে,
কটা গ্র্যান্ডস্ল্যাম শেষে ফেডেরার জিতে নেবে তাই নিয়ে আলোচনা চলে।
যাবতীয় জীবনের দাবী, রোজকার সাজানো রেকাবি, ভরে থাকে নিজস্ব যাপন,
বেডরুম পার করে বারান্দার গ্রিল ,সেটুকুর পরেই পাঁচিল,
ভাবনারও কাজ সমাপন।
আজকাল চলছে এটাই, ভালোভাবে বেঁচে যেতে চাই ত্বকের চর্বি হওয়া মোটা,
ভুল হাওয়া যদি পড়ে ঢুকে, পোড়ো না হে দ্রোহের অসুখে,
বুঝোনা মোটেই গল্পটা।


আর্যতীর্থ