তীর্থঙ্কর চক্রবর্তী-এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে তীর্থঙ্কর চক্রবর্তী-এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:7d185313-565e-4d50-be79-02a6df9502c9;id=222024-03-29T07:42:53Zhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/eucalyptus-written-by-thirthankar-chakraborty/ইউক্যালিপ্টাস2022-02-27T07:01:25-05:002024-01-27T06:07:21-05:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আমি ইউক্যালিপ্টাস হতে চাই ।<br />তুমি হরিয়াল যদি হও- <br />ঠোকর কেটো ঠারে-ঠোরে ।<br />গোড়ায় খানিক অভিমান ছিটিও ।<br />এ গাছ যদি শেকড় ছড়ায়,<br />মগডালে হবে ভালোবাসার ইমারত ।<br />এ শুধু তোমার, একান্ত আপন ।</p>
<br /><p>চাইলে এফোঁড়-ওফোঁড় করো এই গাছ-<br />দোহাই ! কুপিয়ে আড়াল হয়ো না ।<br />আমি ইউক্যালিপ্টাস হতে চাই ।<br />ভালোবেসে খোঁড়া করো না ।</p>
<br /><p>যে শুশ্রুষায়, বসন্তে নামে অশীতিপর সন্ধ্যা-<br />তার চাইতে অনেক ভালো বিদ্যুতস্পৃষ্ট ভোর;<br />বড়ে গোলাম আলীর তোড়ি <br />আর আমার...<br />নৈঃশব্দ্যের মেহফিল ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/krantilipi-written-by-thirthankar-chakraborty/ক্রান্তিলিপি2021-11-03T15:48:25-04:002023-06-27T03:24:28-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>কতদিন আকাশ দেখিনি।<br />মেঘ এক্কে মেঘ, মেঘ দু'গুণে দুই-<br />কত নামতা পড়া বিকেল<br />খোকনের ঠোঁট ছুঁয়ে <br />বাউল হয়েছে জানালার পাশ দিয়ে।<br />বিশ্বাস করো, আমি উঁকি দিইনি।<br />উঁকি দিইনি আলোয়,<br />কোনও শব্দে;<br />চোখ রাখিনি ফুলে,<br />নিষেধ মাড়ানো অস্তপাখির ডানায়,<br />ইচ্ছেনদীর সালঙ্কারা ঢেউয়ে।<br />জানো, নিঃশ্বাস অবিশ্বাসী হলে <br />সাহস বুড়ো সন্ন্যাসী হয়। <br />শুধু চিৎকার করে বলেছি<br />রবিঠাকুর, রবিঠাকুর ফিরিয়ে দাও<br />তোমার 'মধু-গন্ধে ভরা' পৃথিবীর আজন্ম অধিকার।</p>
<br /><p>একটা বদ্ধঘর, <br />কত বড় পাঠশালা হতে পারে জীবনের...<br />তার দেয়াল জুড়ে দেখেছি<br />মহাজীবনের কত অজানা সঙ্কেত।<br />রাত্রি গভীর হলে<br />সময় শুশ্রূষা মাগে জীবনের কাছে।<br />আমিও মেগেছি, ভোরের কাছে আলোর প্রতিশ্রুতি।<br />কথার কাছে কবিতার,<br />সুরের কাছে আকণ্ঠ সমর্পণের।<br />উচ্ছুত বলে কী হৃদয় বিকিয়ে দিয়েছি!</p>
<br /><p>অভাবের অভিধানে হায়<br />চোখ খুইয়ে জেনেছি-<br />পৃথিবীর প্রাচুর্যের একটাই নাম- মা।<br />স্তব্ধতার প্রতিস্পর্ধী এক আদিগন্ত ভালোবাসা।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/brishti-namun-written-by-thirthankar-chakraborty/বৃষ্টি নামুক...2021-08-13T18:53:56-04:002023-06-26T17:24:32-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>১<br />আর কোথায় বৃষ্টি ঝরে বলো!<br />এ তো আকাশের ভালোবাসা<br />সবুজের আলপথে ইনিয়ে-বিনিয়ে,<br />মাটির স্পর্শ পেয়ে সাবালক হলো।<br />কোথায় বৃষ্টি ঝরে বলো!<br /> ২<br />বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি চেয়ে ছন্নছাড়া হন্যে।<br />এই শ্রাবণে বৃষ্টি নামুক<br />হাজার ফতুর ফুটপাতিয়ার জন্যে।<br /> ৩<br />শহরের ভিড়ে ফোসকা পায়ে পাথর ভাঙা।<br />ছেঁড়া ফতুয়ায় সূর্য-সায়র মৃত্যুরাঙা।<br />অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামুক সেই আগুনে।<br />পংক্তিভাঙা চিঠির বাঁকে ঘোর ফাগুনে।<br /> ৪<br />ওরা সোহাগ করে শস্য ফলায় স্বপ্ন-পিষে।<br />সূর্যের সাথে পাঞ্জা লড়ে ক্ষুধার-বিষে।<br />মেঘমুলুকের ভরসা নামুক ব্যথার খেলায়,<br />ভাঁড়ার-জোড়া কান্না থামুক অস্তবেলায় ।<br /> ৫<br />এই ভুবনেই ভুবন মাঝি রাতবিরেতে বাস্তু হারায়,<br />তুমুলবেগে বর্ষা নামুক বর্ণচোরা বিচারধারায়।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/bekub-by-thirthankar-chakraborty/বেকুব2021-07-20T19:05:06-04:002023-06-26T17:24:27-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>বারবার ছুঁয়ে দেখি<br />আমিও কি বেঁচে আছি মানুষে !</p>
<br /><p>নাকি মানুষের মতো করে<br />মানুষ ভুলেছি আমি<br />নোঙর বেঁধেছি উড়ো ফানুসে !</p>
<br /><p>আমিও কি বেঁচে আছি মানুষে !</p>
<br /><p>নগর গুছিয়ে যারা<br />হৃদয় ভেঙেছে দ্রুত আনুশে-</p>
<br /><p>আমিও তাদের ভিড়ে<br />শহর পেরিয়ে গেছি<br />সময় গুনেছি শুধু মানুষে ?</p>
<br /><p>আমিও বেঁধেছি 'আমি' ফানুসে ?</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/dhatribhumi-written-by-thirthankar-chakraborty/ধাত্রীভূমি2021-05-20T06:35:25-04:002023-06-26T17:24:34-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ঠায় দাঁড়িয়ে আছি, একা একটি তীরে ।<br />জীবনের আকণ্ঠ জল,<br />তবুও তৃষ্ণা মোহনায় ।<br />ঢেউয়ের পরবে ঈশ্বর<br />এতিম হয়ে ফেরে ।<br />তবুও মধুকৃষ্ণা আসে<br />আগুনের আখর পেরিয়ে<br />গোধূলির সীমান্ত ধুতে কবিতায় ।</p>
<br /><p>ঠায় দাঁড়িয়ে আছি, একা একটি তীরে ।<br />যে ভূগোল ইতিহাস হলো<br />ভাষায় ভালোবাসায়;<br />নামেনি নিলামে,<br />লিখেনি নৈঃশব্দ্য-দাসখত;<br />যেখানে জবান এখনও জাগে<br />ভৈরবী কৃষ্ণচূড়ায়,<br />আমি তার ভগ্নাংশ ।</p>
<br /><p>দু'হাত বাড়িয়ে<br />ঠায় দাঁড়িয়ে আছি একা, একটি তীরে ।<br />এ তো তীর, তীরন্দাজ নয় ।<br />তেমাথায় দাঁড়িয়ে থাকা, বেঁচে থাকা নয় ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/he-arogya-written-by-thirthankar-chakraborty/হে আরোগ্য2021-05-07T04:35:38-04:002023-06-27T17:31:05-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>হে আরোগ্য, অভিমান ভোলো ।<br />এসো আলিঙ্গন করো<br />জোরে, আরও জোরে, দ্রুত<br />উদ্বাহু পৃথ্বীর আষ্টেপৃষ্ঠে; এসো<br />ধ্বস্ত সময়ের নিষিক্ত দ্রাঘিমায় ।</p>
<br /><p>তুমি সমুদ্রে ছড়িয়ে যাও ।<br />ছড়িয়ে যাও পৃথিবীর স্তব্ধ অলিন্দে,<br />মৃত্যুর অনন্তশয্যায়,<br />শূন্যের অরণ্য গভীরে ।</p>
<br /><p>এসো, আলিঙ্গন করো, তীব্র অক্লেশে ।</p>
<br /><p>যে আগুন নেভেনি প্রভূত ক্ষমায়,<br />তুমুল প্রভঞ্জনে বিদ্ধ করো তুমি<br />হে আরোগ্য ।<br />আয়ুষ্য ঝড় হয়ে আছড়ে পড়ো <br />মরণের মানচিত্রে; <br />উদগ্র অসূয়ায় ।<br />আগামীর প্রতিশ্রুতি হয়ে ঝরো<br />পৃথিবীর আনখ অহংকারে ।</p>
<br /><p>তুমি ধন্বন্তরি হলে, হে আরোগ্য <br />ভবিষ্য রামধনু ছোঁবে, অচিরে একদিন ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/beghore-written-by-thirthankar-chakraborty/বেঘোরে2021-04-28T06:50:40-04:002023-06-26T17:24:27-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>দলে দলে কত দলাদলি হলো<br />কানাঘুসো ভিড়ভাট্টায়,<br />কত কোলাকুলি, সুদিনের বুলি<br />অঙ্গার হলো হাট্টায় ।<br />কেঁদে কেঁদে ফেরে, ছানাপোনা-ধেড়ে<br />হাওয়া মাগে হৃৎপিণ্ড,<br />হাঁড়ি পুড়ে ছাই, আগুনের খাঁই<br />স্বপ্নের ভিত-ছিণ্ড ।<br />হাঁটি ভয়ে ভয়ে, ক্ষয় ছুঁয়ে ছুঁয়ে<br />বোবাতুর হাড়মজ্জা ।<br />মারি ঝরা তোড়, দংশিত ভোর<br />রাষ্ট্র না শরশয্যা !<br />কোজাগরী পথ, কারফিউবৎ<br />বসুধার কোলে ক্রান্তি ।<br />জারি-জুরি কল, মৃত্যু-অচল<br />বৈদ্য ভুলেছে শ্রান্তি ।<br />ভুল ভাঙে চুপে, স্বজনের ধুপে<br />গালভরা ছেঁদো কনফেস ।<br />চিতা রোষ জ্বলে, চুপিসারে বলে ?<br />বিজেপি না তুমি কংগ্রেস !</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/byektigoto-written-by-thirthankar-chakraborty/ব্যক্তিগত2021-02-01T19:50:53-05:002023-06-26T17:24:32-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>বিনা যুদ্ধে জয়ী রাজা<br />কাঁদছ কেন রাতের খাদে,<br />সব পেরোনোর ফন্দি তাতায় ?<br />ভীষণ সুখের অবসাদে ।</p>
<br /><p>সব ওড়া নয় মাড়িয়ে যাওয়া,<br />সব লালে নেই ভাষার ক্ষত, <br />সবটা কেন আলোর তোড়ে...<br />থাক না খানিক ব্যক্তিগত ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/medhar-jonmodin-written-by-thirthankar-chakraborty/মেধার জন্মদিন2020-08-07T14:30:19-04:002023-06-26T17:24:47-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>২২ শে শ্রাবণ,<br />কোনও মৌনী অমাবস্যা নয় ।<br />আলোকবর্ষ পথ হেঁটে আসা <br />একটি ঊর্দ্ধশ্বাস<br />জিরিয়ে নেওয়া স্বস্তির মতো<br />খানিকটা আগুন মেখে <br />অক্ষয়স্নান সেরেছে সন্তর্পণে ।<br />২২ শে শ্রাবণ,<br />দেহান্তরিত মেধার জন্মদিন ।</p>
<br /><p>বিলাসী শোকের গাঁথা মালায়,<br />শতাব্দীর জন্মান্তর ব্যথা<br />ঢাকা পড়ে উচ্ছিন্ন নীরবতায় ।<br />চেতনার শতচ্ছিন্ন গিটে<br />কতকাল ভোর নামেনি;<br />বাজ পড়েনি আষাঢ় বেলায় ।<br />সে কি তবে অসার হলো কবি ?<br />তুমি রশ্মি ছুঁড়ে দাও ।<br />বর্ষাতি হও, অকাল বিস্ময়ে ।</p>
<br /><p>প্রগলভ সময় <br />পায়ে পায়ে মৃত্যু নিয়ে ফেরে ।<br />তোমার জীবনদেবতার চোখে জল ।<br />সমুদ্র-ক্ষুধায় ভেজানো নির্মোক<br />ভবিতব্যের মানচিত্রে দেশান্তরী হয় ।</p>
<br /><p>ধূপের ধোঁয়ায় আজ বড় ক্ষোভ ।<br />পৃথিবী অশৌচ হলে <br />চন্দন ফিরিয়ে নেয় আকণ্ঠ প্রতিশ্রুতি ।<br />২২ শে শ্রাবণ,<br />ফুলের বদলে ভুলগুলো দিলাম ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/fourth-saturday-o-maa-written-by-thirthankar-chakraborty/ফোর্থ স্যাটার্ডে ও মা2020-06-26T19:00:13-04:002023-06-26T17:24:40-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>তোমার অফিসে যাওয়া <br />আমার কোনও কালেই পছন্দ ছিল না মা ।<br />একঘর লোকের মধ্যেও<br />কেমন খালি খালি লাগত ।<br />বড়বেলায় এসেও তো কত অনুরোধ করেছি মা,<br />যেও না ।<br />আমার এই চাওয়া, কোনও কালেই <br />তোমার স্নেহের স্পর্শ পায়নি ।</p>
<br /><p>তোমার মনে পড়ে মা, <br />ছোটবেলায় কত করে পথ আটকেছি !<br />পিঠের বাঁপাশের চিহ্নটা মিলেয়ে গেছে অনেকদিন ।<br />চৌকাঠে, পাশের দেয়ালেও কি নেই, একটুও !<br />পথ আটকেছি,<br />তোমায় পারিনি ।<br />তোর মা যমের অফিসে চাকরী করে,<br />না গেলে চলবে না !<br />সেই তো একই সংলাপ<br />আমার শৈশব থেকে তারুণ্যের ভাঙা গড়ায়,<br />স্বপ্নের নবান্নে <br />ইলশেগুঁড়ি সান্ত্বনার ব্যর্থ প্রলাপ হয়ে ফিরেছে ।</p>
<br /><p>আমাদের ছোটবেলায়<br />জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সেরে<br />তুমি অফিসে দৌঁড়তে ।<br />এ বাড়িতে এসে তুমি হাঁটতে ভুলে গিয়েছিলে মা ।<br />তুমি যখন বুকে পাথর চেপে <br />আমার হাত ছাড়িয়ে,<br />যা হোক কিছু একটা পরে<br />অফিসে চলে যেতে,<br />আমি তোমার ঘেমো শাড়িটা বুকে জড়িয়ে<br />খুব কাঁদতাম মা<br />আর গন্ধ শুঁকে শুঁকে জানালার দিকে তাকিয়ে<br />তোমায় খুঁজতাম ।<br />কতবার প্রতিজ্ঞা করেছি<br />আর কথা বলবো না তোমার সঙ্গে ।<br />কিন্তু আমার নৈঃশব্দ্য, সমস্ত মৌনতা, স্তুপীকৃত প্রতিজ্ঞা<br />তোমার ঘরে ফেরার গানে <br />অভিমানের রোয়াক পেরিয়ে <br />দাঁড়িয়ে পড়ত এক শব্দনীল সমঝোতায়;<br />বাধ্য পোষ্যের চলনে ফিরত-<br />ঠিক সন্ধ্যা নামার আগে ।<br />নির্লজ্জ বেড়াল ছানার মতো <br />ঘুরঘুর ঘুরঘুর করতো,<br />সমস্ত শক্তি দিয়ে <br />তোমার গলা জড়িয়ে ধরে<br />ওই পাহাড়-ছেঁচা কাঁধে স্বর্গ খুঁজবে বলে ।</p>
<br /><p>তখন ফোর্থ স্যাটার্ডে, স্যাকেণ্ড স্যাটার্ডের<br />হিসেব বুঝতাম না ।<br />শুক্রবার এলেই ভাই আর আমি <br />বারবার করে জানতে চাইতাম<br />আর তুমি শুধু শুধু বিরক্ত হতে ।<br />ও কথা বলতে তোমার এতো বিরক্তির <br />কারণটাও বুঝেছি অনেক পরে ।<br />রান্নার পিসি তোমার অফিস ছুটির বার্তায়<br />মনে মনে কেয়াবাত কেয়াবাত বলে <br />কেটে পড়ত যথাসময়ে ।<br />তোমার ছুটির পরোয়া করেনি কেউ,<br />করোনি তুমিও ।<br />তোমার গোড়ালি ফাটা পা, যতটা পথ হেঁটেছে-<br />পৃথিবীতে সত্যিই কি এতো পথ জন্ম নিয়েছে মা ?</p>
<br /><p>রামায়ণ দেখতে বসে আমাদের লঙ্কাকাণ্ড, <br />শাড়ি পেঁঁচিয়ে শক্তিমান সাজার মহড়া,<br />সব সামলিয়ে<br />আমাদের মহাস্নান পর্বে <br />বাড়িময় চোর পুলিশ খেলা ।<br />ক্লান্ত হতে না তুমি ?<br />সত্যিই হতে না, একটুও !</p>
<br /><p>পড়াতে বসে সে আর এক বিশ্বযুদ্ধ ।<br />পাটির তলায় ধারাপাতের আত্মগোপন,<br />ভোল পাল্টানো মানচিত্রে শুদ্ধ চিহ্নের মোড়লগিরি- <br />এমন অনেক জটিল রহস্য<br />গোয়েন্দার মতো ভেদ করতে তুমি ।<br />থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার থেকে<br />গুড, বেটার, বেস্ট এর সিঁড়িবদল কিংবা<br />'অন্ধজনে দেহ আলো'র সহজপাঠ---<br />ফোর্থ স্যাটার্ডের ক্যানভাস জুড়ে <br />আজও সেই তুমি<br />আর তোমায় ছুঁয়ে আমি ।<br />স্বপ্নের আশিয়ানায়,<br />কার্নিশ থেকে কালিম্পং-এ<br />তোমার শেখানো বুলিই জীবনের রং তুলি, মা ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/ekhane-ontokhoron-written-by-thirthankar-chakraborty/...এখানে অন্তক্ষরণ2020-06-21T04:25:14-04:002023-06-26T17:24:37-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>গ্রহণ লাগা চোখে <br />তুমি আমায় নতুন করে <br />কোন গ্রহণ দেখার আর্জি করো, নীহারিকা !<br />সেই তো আলো ছায়ার খেলা,<br />একই কক্ষপথ জুড়ে<br />বাধ্য কিশোরের মতো চাঁদমামার ইতস্তত বিচরণ,<br />আর ক্লান্ত পথিকের পায়ে <br />পথ বেহিসেবী হলে<br />আড়ালে আলোর উচ্চারণ ।<br />এই তো রং-ফিকে পৃথিবীর সূর্যগ্রহণ ।</p>
<br /><p>এই কালো ছায়া <br />সময়ের ঘষা লেগে গায়েব হয়েছে চিরকাল ।<br />মাটির পৃথিবী বড় অদ্ভুত ।<br />এমন এক সরলরেখায়<br />অসময় উঁকি দিয়ে <br />আঁখরটা ফেলে রেখে চলে যায় ।<br />পড়ে থাকে সাঁকো, মিথের আড়ালে কুঁজো হয়ে ।</p>
<br /><p>নীহারিকা,<br />তোমার উদাসী দাওয়ায়<br />ছায়ার আড়াল, কত লুকোচুরি-<br />সময় পেরিয়ে মুছে যায় ।<br />এ শহরে ছায়া নেমে এলে-<br />ছায়া থেকে যায়,<br />দূরত্বে ধার বাড়ে,<br />জেগে থাকে জীবনের অন্তক্ষরণ ।</p>
<br /><p>নীহারিকা,<br />তুমি জেগে থেকো স্বপ্নের টেলিস্কোপে ।<br />জেগে থেকো, <br />পরিযায়ী হৃদয়ের বর্ণমালায়-<br />আস্থার শ্লোকের মতন ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/bisher-dauaay-chiyattor-written-by-thirthankar-chakraborty/বিশের দাওয়ায় ছিয়াত্তর2020-05-30T19:10:05-04:002023-06-26T17:24:29-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>বৈকুণ্ঠ-লক্ষীর পদচিহ্নে মিশে আছে<br />ডাক্তার কত্তার নাবালক চোখ রাঙানি,<br />অবগুণ্ঠিতা ঠাম্মার অজস্র কালঘাম ।<br />কেঁচোর গর্ত খোঁড়া দাওয়ায়<br />যেন রোজকার উৎসব ।<br />ডাক্তার দাদুর হেঁড়ে গলার ভাঙা বন্দিশে<br />ঠাম্মার চিবুক বেয়ে সোহাগ নেমেছে যে ভিটেয়-<br />মোহন মাঝি, রমজান চাচারা বেহায়া সেজেছে বহুবার ।</p>
<br /><p>সবই এখন নিখোঁজ, নিথর, ডুবন্ত এক আধেয়ায় ।<br />জ্বর, কাশি, গাঁটের ব্যথার দাওয়াই নিতে<br />দাদুর ছোটলোকের বাচ্চারা<br />আজ আর দাওয়ায় ভিড়ে না ।<br />শুধু ঘোমটার ইশারায়<br />মুড়ি মুড়কি ফলের হাত বদলের ইতিহাসে <br />নাম লিখিয়েছিল যারা-<br />কত্তার গালভরা বকুনিতে<br />গা ভাসাবার আমোদ তাদের নেই ।</p>
<br /><p>আকাশভাঙা বৃষ্টি আর<br />কেঁচোর রিহাং নৃত্যের গুমোট আলাপচারিতায়<br />কত্তার দেয়ালে ঠেকা পিঠ যেন হৃদয়কে বলে,<br />'মরবা গো মরবা, তোমার লক্ষীপণা ভাত পাইব না ।'</p>
<br /><p>রমজান আলী যেদিন নীলকণ্ঠ ভোরে<br />স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল একাকার করে<br />কত্তা কত্তা বলে ফিরেছিল দাওয়ায়-<br />ভাঁড়ার-রক্ষীর বুকে সেদিন <br />বাজি জেতার সুখ ।</p>
<br /><p>আহ্ রমজান ! তোর পোলার কান্না থামা ।<br />এই দুই পুরিন্দা ওষুধ দিলাম ।<br />বুকের ব্যথা সাইরা যাইব ।</p>
<br /><p>ও ওষুধ লাগব না কত্তা ।<br />একবেলা খাওন দিয়েন ।<br />একবেলা খাওন দিয়া দুইডা লাত্থি দিয়েন ।<br />ও কত্তা, একটু বাসি ভাত, ডাইল যা আসে...</p>
<br /><p>ঠাম্মা ঝড়ের বেগে ভাঁড়ার মুখো হলেন,<br />হলেন তো হলেন; হলেনই ।<br />অন্নপূর্ণার দাওয়ায় এখন <br />খসে পড়া পাতার মজলিশ আর<br />কেঁচোর মোচ্ছোব ।<br />বুকের ব্যথা যে কখন<br />পেটের আগুনে গুছিয়ে নিয়েছে নিজেকে<br />তার হদিশ পেলো না ভাঁড়ার,<br />গমগমে দাওয়া,<br />বাক্সের একধারে মাথা নত বিশল্যকরণী ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/third-theater-written-by-thirthankar-chakraborty/থার্ড থিয়েটার2020-05-03T19:49:56-04:002023-06-26T17:25:04-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>স্রোতের প্রতিলোমে ভাসতে গিয়ে দেখলে<br />শুধু তোমার তরীটাই ডুবছে ।<br />আমিও দেখলাম, <br />শুধু তোমার, তোমার তরীটা-ই ডুবছে ।</p>
<br /><p>তুমি একটু একটু করে <br />পৃথিবীকে চিনতে পারছো যখন,<br />যখন বুঝতে শিখছো-<br />জীবনের, জলের, প্রতিশ্রুতির ভর-ওজনে<br />গুলিয়ে ফেলা তফাতটা কত গভীর-<br />কত তাজ্জব গোঁজামিলে মিলে আছে<br />যাপনের না-মেলা অঙ্কের আশ্চর্য খতিয়ান-<br />ঠিক তখনই তুমি ডুবলে ।</p>
<br /><p>আমি সাপুড়ের মতো চেয়ে দেখলাম-<br />পাড়-ভাঙা সুরে- সেই একই চিত্রনাট্য ।<br />নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে<br />হাজার হাজার শিলাজিৎ <br />ঠিক যেন সারির মতো গেয়ে গেল-<br />আমার আর মাঝি সাজা হলো না !</p>
<br /><p>এভাবেই ডুবে যেতে হয়- মাঝি-ভরা মাঝ গঙ্গায় ।<br />এভাবেই দেখে যেতে হয়- জীবনের থার্ড থিয়েটার ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/proshno-ek-o-otohpor-written-by-thirthankar-chakraborty/প্রশ্ন এক ও অতঃপর2020-04-22T18:50:13-04:002023-06-26T17:25:00-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আমি তো কঠিন হতে চাই ।<br />তোমরাই তো সহজ করে তোলো ।<br />দেখার যত জ্বালা, না দেখারও ঠিক ততটাই !</p>
<br /><p>ও বাড়ির নুয়ে পড়া জবা ফুলের দিকে তাকালে<br />আমি কেমন মিশতে চাওয়ার ইশারা খুঁজে পাই ।<br />সব লালেই কি আর রক্ত লেগে থাকে !</p>
<br /><p>আকাশে বিদ্যুৎ কেঁপে কেঁপে <br />উধাও হয়ে যায় ।<br />আমি কোনো এক<br />ছিনতাই করা বালকের<br />সব ভেঙে চুরে ঘরে ফেরার কান্না শুনি ।</p>
<br /><p>কেমন পাগল পাগল মনে হয় !<br />মানুষ আসলে যা চায়, আসলে কি তা-ই চায় ?</p>
<br /><p>ঘর !<br />ঘর আছে ।<br />যেমন করে ঘর থাকে<br />কিংবা থাকতে হয় !<br />চাইলেই কি ঘরে ফেরা যায় ?<br />ফিরলেই কি বেঁচে যাওয়া যায়, বলো !<br />কত ঘরেই তো ঘরভর্তি মানুষ দেখি,<br />জীবন দেখি না কেন !<br />কত মোটা মোটা দড়ি <br />অবহেলা বেঁধে রাখে সযত্নে ।<br />দেখি না তো ! বেঁধে রাখার স্বপ্নে<br />এগিয়েছে দুটো হাত কিংবা একটা হৃদয়-<br />হৃদয়ের কাছাকাছি নিঃশর্তে !</p>
<br /><p>এই যে আলো নিয়ে এত কাড়াকাড়ি,<br />এত হইচই,<br />তবু চায়ের চুমুকে সন্ধ্যায় ডোবা চাই ।<br />মানুষ আড়াল খুঁজে খুঁজে <br />বেঘোরে হারিয়ে গেলে<br />দোষী হয় অন্ধকার, কালো বলে ।<br />অথচ কিছু অন্ধকার, এখনও আড়ালে<br />আলোর প্রশ্রয়ে<br />সোনালি স্বপ্নের আশ্রয় হয়ে বাঁচে ।<br />পৃথিবীর সব অন্ধকার <br />বনলতা সেনের চুলের নিশায়, বিদিশায়<br />নিলাম হয়ে যায়নি এখনও ।</p>
<br /><p>তোমরা আসলে যা চাও, আসলে কি তা-ই চাও ?<br />একবার বলে যেও,<br />একবার বলে যেও<br />কথা ফুরিয়ে গেলে, কেন কলঙ্ক রটিয়ে দাও !</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/akashganga-o-ekti-janmantor-written-by-thirthankar-chakraborty/আকাশগঙ্গা ও একটি জন্মান্তর2020-04-01T07:00:07-04:002023-06-26T17:24:25-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>মেঘ, তুমি স্রোতস্বিনী হও ।<br />পৃথিবীর মারণব্যাধি একবার ধুইয়ে দাও <br />তোমার শ্বেতশুদ্ধ জলে ।<br />জগতসুদ্ধ লোক তোমায় <br />আকাশগঙ্গা নামে জানুক- <br />এই হোক তোমার নতুন আত্মপরিচয় ।<br />কাগজের ইতিহাসে সংশয় থেকে যায় ।<br />তুমি পৃথিবীর ভালোবাসায় <br />হৃদয়ের ইতিহাস হবে ।<br />এই আমি প্রতিশ্রুতি দিলাম ।</p>
<br /><p>না না অমৃত নয়, শুধু আরোগ্যটুকুই দাও-<br />তুমিই হও পৃথিবীর- সেই অ-দেখা ঈশ্বর ।<br />কথা দিলাম মেঘ-<br />আমার আগামী শরতের সুস্থতায় হবে <br />তোমার আধিপত্য ।</p>
<br /><p>যে সদ্যোজাত <br />জীবনের লক্ষণরেখা পেরিয়ে ছুঁতে পারল না <br />ব্যাধিগ্রস্থ মায়ের স্তনাগ্র-<br />তার চোখের জলে<br />আমার বসন্ত ভেসে গেছে সাহারায় ।</p>
<br /><p>স্বপ্নের কারাগারে হৃদয় বেদুইন হলে-<br />অমন করে মানুষ মৃত্যুর অভিসারে যায় ।</p>
<br /><p>ফিরে দেখার সময় আমার নেই ।<br />শুধু পৃথিবীকে সারিয়ে দাও ।<br />আগুনের টুঁটি টিপে ধরে <br />আরো একবার মৃত্যুর গায়ে<br />জীবনের স্পন্দন হয়ে ঝরো ।</p>
<br /><p>আমি ঋণী হলাম আবার ।<br />জীবনের কাটাকুটি খেলায় তুমি হিসেব মিলিয়ে নিও ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/isolation-19-written-by-thirthankar-chakraborty/আইসোলেশন-192020-03-22T06:30:35-04:002023-06-26T17:24:43-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>সুখের জন্য ভাগ হয়ে যায়<br /> দেয়াল, ভাতের হাঁড়ি ।<br />বাঁচার দায়ে আজ কেন ভয়,<br /> আজ কেন মুখ ভারি !<br />বাঁচার দায়েই আইসোলেশন,<br /> পালিয়ে বাঁচাই দায় ।<br /> লজ্জা দিয়ে অসুখ ঢাকো<br /> বাঁচার অপেক্ষায় ?<br /> <br />আজ কেন ভাই নারাজ ভীষণ,<br /> একলা ঘরের কাচে ?<br />মানুষ কি আর মানুষ ছাড়া <br /> মানুষ হয়ে বাঁচে !</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/ekti-tsunami-o-maa-written-by-thirthankar-chakraborty/একটি সুনামি ও মা2020-03-20T09:35:09-04:002023-06-26T17:24:37-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ফের যদি মা জন্ম জাগে,<br />বারুদ পুরিস রক্তরাগে,<br />নির্ভয়া তুই অভয় মন্ত্রে<br />উদ্বোধিত হোস ।<br />এ'জন্ম তোর আগুন মাখা<br />জীবনটাই আফসোস ।</p>
<br /><p>ফাঁসির ভোরে কান্না শুনে,<br />আর পারি না প্রহর গুনে,<br />হাজার ভিড়ের চোয়াল ভেঙে<br />আসবি কবে তুই ।<br />ঘুম পাড়ানি আখর দিয়ে<br />তোর কপালে ছুঁই !</p>
<br /><p>এখন আমি হিসেব ছাড়া,<br />হাজার মেয়ের স্পর্শে কাড়া,<br />ওদের মাঝেই তোর ভয়াতুর<br />মুখটি যখন- হায় !<br />আয় না মেয়ে শিখিয়ে দেবো<br />বাঁচার অভিপ্রায় ।</p>
<br /><p>বৈরি যখন জন্ম দাগে,<br />বিষিয়ে রেখে অস্ত্র আগে,<br />শরীরখেকো হাঙর ঠোঁটের<br />লোভের বুকে বোস ।<br />আট কুঠুরির দরজা আঁটা<br />সেই মেয়ে তুই নোস ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/arshi-kotha-written-by-thirthankar-chakraborty/আরশি-কথা2020-03-11T16:20:35-04:002023-06-26T17:24:27-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আমায় প্রশ্ন করো-<br />কেন পাহাড় আমার এতো ভালো লাগে ।<br />কেন জাইলোফোনের চেয়েও আমি<br />হারমোনিয়ামে স্পর্শকাতর ।<br />কেন ক্যাপসিকামের চেয়েও আমার <br />বকফুল বড়া বেশি প্রিয় ।<br />কেন পঁচিশটা বসন্তের সঞ্চয় আমি<br />একটি মাত্র পঁচিশে বৈশাখে খরচ করে ফেলি ।<br />নিজেকে দেউলে করে বারবার কেন<br />পৃথিবীকে চিনে নিতে অস্থির হই ।</p>
<br /><p>আমায় প্রশ্ন করো-<br />কেন গন্ধকে আমি ভাগ করতে পারি না<br />নারী-পুরুষের স্বতন্ত্র অধিকারে ।<br />কেন আনপড়ের মতো রঙের গোত্রান্তরের<br />ইতিহাস খুঁজে বেড়াই ।<br />সময়ের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে কী এমন ভিক্ষা চাই<br />জন্মান্তরের শোধেও যে ঋণ অবশিষ্ট হয়েই রয় !</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/kobita-2-written-by-thirthankar-chakraborty/কবিতা- ২2020-01-20T18:02:50-05:002023-06-26T21:45:24-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>যে নিয়ত নি:স্ব করে, পূর্ণ করে<br />খেয়াল খুশি মতো-<br />ভালোবাসার আতুর ঘরে আগুন জ্বালে,<br />মেঘ-দুপুরে মন খারাপের বৃষ্টি ঢালে-<br />ভাবতে পারো ! তার রঙের বাহার কতো !</p>
<br /><p>সে আমার টেবিল জোড়া এক ফাঁলি রোদ,<br />দোয়াত খাগে শিখী ।<br />ঠাঁই মেলেনি যে রূপকথার শহর জুড়ে,<br />যে এপিটাফ হয়নি লেখা হৃদয়পুরে-<br />আরশি ভেঙে সব অভিমান শব্দপাতায় লিখি ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/chayasangi-written-by-thirthankar-chakraborty/ছায়াসঙ্গী2020-01-04T15:00:10-05:002023-06-26T17:24:34-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>১<br />দু:খ রে তুই ভাগ্যিস ছিলি কাছে !<br />তোর মতো নেই নাছোড়বান্দা<br />ঘুমকাতুরে শীতের ছাদে<br />বাস্তুহারা রোদের মতো <br />জাপটে ধরে আছে !<br />২<br />বাউন্ডুলের ফোসকা-দুপুর,<br />মেঘলা-রাতের হাপিত্যেশে,<br />খাবলে খাওয়া নিথর আলোয়,<br />স্বপ্নদোষের বদভ্যাসে ।<br />তুই জুড়ে রোস আনখ আমার-<br />নিত্য নতুন ফন্দি নিয়ে,<br />সুখপাখিটা দেমাক দেখায়<br />জাহান্নামে পালিয়ে গিয়ে ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/shahjadi-written-by-thirthankar-chakraborty/শাহজাদী2019-12-07T20:00:16-05:002023-06-26T17:25:00-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>বলার আগে বুঝতে যদি পারো<br />ঠোঁটের বাঁধে গোপন কথার ঢেউ-<br />ওই ডাগর চোখে আঁকতে যদি পারো<br />এই হৃদয়-খোঁড়া ভালোবাসার নদী-<br />বন্ধু হতে আপত্তি নেই আর ।<br />আপত্তি নেই<br />চেনা-জানা সর্বনাশে ওড়না হতে ।<br />আপত্তি নেই<br />অবিশ্বাসী লোডশেডিং এ ভরসা হতে ।<br />আপত্তি নেই<br />ইচ্ছে-স্রোতের আড়-ইশারায় নিষেধ মানার ।<br />আলাদিনের প্রদীপ যদি ঘষতে পারো-<br />দুপুর রোদে শহর ঢেকে সাজতে পারি,<br />সমাজ-ভীরু শাহজাদীর একলা পথের কেউ ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/priyo-prakashak-written-by-thirthankar-chakraborty/প্রিয় প্রকাশক2019-09-28T16:25:15-04:002023-06-26T17:24:58-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>প্রিয় প্রকাশক,<br />কপালের ভাঁজে আর শিড়দাঁড়ার উত্তপ্ত স্নায়ুতে<br />যে আগুন-ঝরা ভালোবাসা অবশিষ্ট রেখেছেন-<br />তার আঁচ এই অসহায় অস্তিত্বে প্রায়ই কাটাকুটি খেলে ।<br />কখনো বিঁধে থাকে- বিশিখের মতো ।<br />সময় পাল্টায়, কিন্তু নিরুপায় উত্তর<br />তার একরোখা ভিটের গণ্ডী পেরোয় না ।<br />অক্ষমতা যদি আস্পর্ধার নোলক পরে<br />কোনো ভ্রান্ত তারায়-<br />লিখিয়ে কী আর করতে পারে !</p>
<br /><p>প্রিয় প্রকাশক,<br />একথা আগেও বলেছি, হয়তো বলবো অনেকবার ।<br />আমি যে লিখি না ।<br />সময় আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় ।<br />এই নিয়ন্ত্রণের প্রতিস্পর্ধী হবার সাধ্যও আমার নেই,<br />স্বপ্নও আমার নেই ।</p>
<br /><p>যার শরীর আমার অব্যক্ত অনুভূতিকে ধারণ করে-<br />সে আমার দায় নয়, ভালোবাসা-<br />আমার প্রত্যয় ।<br />এখানে কোনো দরাদরি নেই ।<br />জুলুম এখানে বিবাগী হয়েছে বহুবার ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/ittefaq-written-by-thirthankar-chakraborty/ইত্তেফাক2019-09-10T10:45:11-04:002023-06-26T17:24:43-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ও ভালো-মানুষের মেয়ে<br />আমার খবর আমার কাছেই নিস ।<br />পড়শি কি আর সবটা জানে ?<br />খালি গপ্পো বেওয়ারিশ ।<br />আমার মতো মধ্য-মানের<br />সত্যটুকুই সার-<br />মিথ্যে কি আর মাপতে পারে-<br />আমার প্যারামিটার ?<br />চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেখতে পারিস<br />পৃথিবী সাক্ষী থাক ।<br />তুই যেভাবে অঙ্ক মেলাস<br />তার নাম যে ইত্তেফাক ।<br />অর্থটর্থ অমন মাথায়<br />ঢুকলে খবর দিস,<br />ও মেয়ে তুই আমার খবর<br />আমার কাছেই নিস ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/jodi-amar-prithibi-hoto-written-by-thirthankar-chakraborty/যদি আমার পৃথিবী হতো !2019-08-24T16:40:33-04:002023-06-26T17:24:45-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ইচ্ছে করে, যন্ত্রণার গায়ে জোর করে মাখিয়ে দিই<br />ভালোবাসার ইমালশন ।<br />ঘাড় ধরে চুবিয়ে আনি বাইপাসের ধারের পুকুরটায় ।<br />যেখানে প্রায় বিকেলে ভীনদেশি রংধনু স্নান করে<br />ভিজে শরীরে দিগন্ত ছুঁতে যায় ।<br />শুনেছি- ওখানে আকাশ দাঁড় বাইতে আসে<br />হাওয়া-নৌকায় ।<br />মেঘলা বোতাম আঁটা<br />আসমানী রঙের পাঞ্জাবীটা ছেড়ে<br />যেই না আকাশ-মাঝি স্রোতের ঠোঁটভাঙা ইশারায়<br />একটু অন্যমনস্ক হয়-<br />অমনি, মুখচোরা হাওয়ার গায়ে<br />ওঠে ওই নীল ।<br />সত্যিই তো ।<br />ভর ফাগুনে বিবর্ণ কি থাকতে আছে !<br />আমার পাড়া-বেড়ানো তোতাপাখিই এ খবর <br />জানিয়ে ছিল ।<br />জানিয়ে ছিল-<br />ওই সীমান্ত পারের পাড়া-গাঁয়ে<br />কোনো কাঁটা-তারের বেড়া নেই,<br />প্রহরী নেই,<br />কিচ্ছু নেই ।<br />এই না থাকার ভিড়ে রাজার মতো দাঁড়িয়ে আছে<br />এক ডাকঘর ।<br />লোকে নাকি শব্দের খামে সংলাপের আঠা এঁটে<br />নিশ্বাস-রুদ্ধ যন্ত্রণাকে পাঠায় ডাকবাক্সে ।<br />এরপর যে কখন ফিনিক্স দম্পতি<br />ও চিঠি নিয়ে যায়- <br />আর ভালোবাসার ওমে ভিজিয়ে<br />হাওয়ার পিঠে বেশ আচ্ছা করে শুকিয়ে<br />ফেরত দিয়ে যায়<br />সে কেবল তারাই জানে ।</p>
<br /><p>ওই পাড়াটাই যদি আমার পৃথিবী হতো !<br />ওখানে ভালোবাসা ভালোবাসার লাজুক আঁচে নীল হয়,<br />আমার ভুবনডাঙার নীলে মিছিল করে- দীর্ঘশ্বাস ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/chabi-written-by-thirthankar-chakraborty/চাবি2019-08-12T07:00:27-04:002023-06-26T17:24:32-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>তোর দেরাজ ভরা অধিকারের<br />হারিয়ে যাওয়া চাবি,<br />অভিমানের অস্ত-নীলে<br />হঠাৎ খুঁজে পাবি ।<br />ততক্ষণে পেরিয়ে যাবে<br />সময় রাজার দেশ,<br />ফিরতি পথে এক-সা হবি<br />মিলবে না ভাগ-শেষ ।<br />ফুরিয়ে এলেই যত্ন বাড়ে<br />নীরব ভালোবাসায়,<br />আড়াল কত রাত কেঁদেছে<br />আঁকড়ে ধরার আশায় ।</p>
<br /><p>ভালো থাকার খোঁজ জেনেছে<br />জীবন নদীর জল,<br />নির্বাসনের ভাষায় গড়া<br />আমার খাসমহল ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/kothar-kotha-written-by-thirthankar-chakraborty/কথার-কথা2019-07-31T09:25:17-04:002023-06-26T17:24:47-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>কথার-কথা কথাগুলোই<br />অ্যাসিড ছুঁড়ে যায়,<br />মানিয়ে নেওয়ার মোড়ক পুড়ে<br />ব্যথার যন্ত্রণায় ।<br />তোমার কাছে কথার-কথা,<br />সস্তা খুশির সার,<br />আমার দিন-যাপনের স্বস্তি কাড়ার<br />বিশিখ ইস্তাহার ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/kobita-street-written-by-thirthankar-chakraborty/কবিতা স্ট্রিট2019-07-26T10:40:40-04:002023-06-26T17:24:47-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>তোমার প্রত্যাশা যখন আমার ব্যথার কারণ-<br />আমি আশ্রয় খুঁজি কবিতা-স্ট্রিটের ফুটপাতে ।<br />ওই ফুটপাত গোত্রহীন স্বপ্নের একমাত্র ভালোবাসা,<br />গোঁজার সোজা হয়ে হাঁটার প্রশ্রয় ।<br />এর কোনো শাখা নেই ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/gaanwala-written-by-thirthankar-chakraborty/গানওয়ালা2019-07-13T19:50:23-04:002023-06-26T17:24:40-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ও গানওয়ালা, এমন একটা গান ধরতে পারিস ?<br />যাতে বুকের ব্যথা কান্না হয়ে ঝরে ।<br />আমার আছে এক পৃথিবীর, ছন্নছাড়া, দেদার আঘাত-কথা<br />চাস যদি তুই, শর্ত ছাড়াই দেবো উজাড় করে ।</p>
<br /><p>সুর বসাবি ? মল্লারে-মেঘ নামবে কথার বাঁকে ?<br />যা হোক করে একটু কাঁদা, এই মুখোশের ফাঁকে ।</p>
<br /><p>আষাঢ় ভাঙা শ্রাবণ- সে তো বানানো কথার শোক ।<br />বুক পকেটের বিপদ সীমায় ভীষণ বন্যা হোক ।</p>
<br /><p>ভাঙলে সময় কষ্ট যদি দেরাজ ঠেলে পালায়-<br />আরশি-মেঘের সঙ্গী হবো চাঁদের চৌ-চালায় ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/station-bondhugorh-written-by-thirthankar-chakraborty/স্টেশন বন্ধুগড়2019-05-23T08:05:18-04:002023-06-26T17:25:03-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>সব ভালোবাসা যদি,<br />প্রেমের কাব্য হতো-<br />পাঁজর আগলে রাখা<br />বন্ধুরা কোথা যেতো ?<br />জানে না শহর, তাও জানে না ।</p>
<br /><p>প্রেমের শরীরী সুখ, একরোখা ধুকপুক ।<br />নাছোড় রুটিনে মাপা- সে এক জীবন ।</p>
<br /><p>ঠোঁঠের চুমুক কাড়া,<br />বেদখল বাসা ভাড়া-<br />মাঝপথে হাত ছাড়া<br />রাতভোরে কড়া নাড়া<br />চোখাচোখি বিষঝারা<br />আদুরে বাক্যিহারা<br />হররোজ ভাঙা-গড়া<br />আর এক জীবন ।</p>
<br /><p>স্বপ্নের রেলগাড়ি এ রুটেতে<br />কোনো কালে থামে না ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/spondone-unish/স্পন্দনে ১৯2019-05-19T04:00:18-04:002023-06-26T17:25:03-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ক্ষমতার 'বিল' দম্ভ দেখায়,<br />রক্তে জাগে মার ।<br />অধিকারের নেশায় তখন-<br />'বরাক'ও তোলপাড় ।<br />তিন ভুবনে দ্রোহের আগুন-<br />'স্বীকৃতি' যার আশ ।<br />ট্রেনের ধারে বাংলা ভাষীর<br />জমাট রুদ্ধশ্বাস ।<br />গুলির তোড়ে স্টেশন রুটে <br />মৃতের মহোৎসব,<br />'এগারো'র প্রাণে মিশে আছে আজও<br />'বাংলা'র গৌরব ।</p>
<br /><p>ইতিহাসের জোয়ার-ভাঁটায়<br />নোঙর বাঁধে মন,<br />বর্ণমালার বুকেই বাঁচেন<br />আমার আপনজন ।<br />এই ভাষাতেই মায়ের খোকার<br />স্বপ্ন হাসে-কাঁদে ।<br />এই ভাষাতেই আঘাত ভীষণ<br />ফুরোয় আর্তনাদে ।<br />এই ভাষাতেই 'ভারততীর্থ'<br />'কাণ্ডারী হুশিয়ার' ।<br />এই ভাষাতেই 'কাস্তে' হাতে<br />জেগেছে 'ঘোড়সওয়ার' ।<br />এই ভাষাতেই বাস্তুহারার<br />ডায়েরি লেখেন কবি ।<br />এই ভাষাতেই সুরের খেয়ায়<br />শিল্পী আঁকেন ছবি ।</p>
<br /><p>এই ভাষাতেই বাউল দুপুর<br />ভুবনমাঝির গাঁয়,<br />আজ শহরপোড়া গন্ধ বেচে<br />হালকা হতে চায় ।</p>
<br /><p>জষ্টি এলেই ঘুমন্ত শোক<br />অগ্নিবীণায় গায় ।<br />যেন বছর জোড়া বেখেয়ালের<br />চূড়ান্ত এক দায় !<br />তাই আত্মপরিচয়ের হিসেব<br />ভাঁড়ার ঘরে বন্ধ ।<br />শেকড়বিহীন বাঙালি গড়ছে<br />এক-পৃথিবী অন্ধ ।</p>
<br /><p>বর্ণমালাই আকাশ আমার<br />উনিশ মাথার ছাদ-<br />কৃষ্ণচূড়ার আগুন পোড়াক<br />সকল বিসম্বাদ ।<br />একাকার হোক উনিশ একুশ<br />সব বাধা বন্ধন ।<br />বাংলাই হোক বাঙালির প্রাণে<br />যাপনের স্পন্দন ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/shanr-sonkhep-written-by-thirthankar-chakraborty/ষাঁড়-সংক্ষেপ2019-04-22T15:00:27-04:002023-06-26T17:25:00-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ছেলে-মেয়ে মেয়ে-ছেলে<br />দুয়ে-দুয়ে চার ।<br />'লাইনে' নামালে নয়-<br />ষাঁড়ের বিচার ।<br />বুড়ো ধুরো আনপড়<br />নানা ক্যাটাগরি-<br />মেধার অসুখে হায়<br />রসাতলে হরি !</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/amar-shovyata-khomotar-lampotye-nil-written-by-thirthankar-chakraborty/আমার সভ্যতা ক্ষমতার লাম্পট্যে নীল2019-03-30T09:25:17-04:002023-06-26T17:24:25-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আরও একটি স্বস্তি-বিস্রস্ত রাত<br />সূর্যের চিতা ধোয়া জলে<br />গড়িয়ে দিলে ।<br />হায় ! মেরুদণ্ডহীন সভ্যতা ।<br />জয় হোক তোমার মৌনতার;<br />স্পন্দনহীন পশমের সম্ভ্রান্ত বিনয়ের ।</p>
<br /><p>কোনও এক ঋষি যেন বলেছিলেন-<br />"সত্য ন জীর্যতি ন মমার ।"<br />তাঁর জানা ছিল না-<br />নৈ-ঋত নক্ষত্রের ক্রান্তিবেলায়<br />আমাদের জন্ম ।<br />লেহনে, তোষণে, মূর্খ-অবনতায়<br />ও অপ্রতিবাদে<br />আমাদের আজন্মের উত্তরাধিকার ।</p>
<br /><p>এখানে কোনও শঙ্খিনী নেই,<br />গাঙুর নেই, মনসাও নেই বিভীষিকার-<br />তবু বিষ সারেঙ্গী বাজায়-<br />পাপ- ডানা মেলে উড়ে অহরহ ।</p>
<br /><p>যে বৃত্তে বাসা বেঁধে আছি আমি-<br />লোকে তাকে 'সমাজ' বলে ।<br />এখানে ক্ষমতার লাম্পট্যে সন্ধ্যায় নামে ভোর,<br />সেজে ওঠে গোলামের স্বর্গ- মাতাল শুকরিয়ায়,<br />আর নৈ:শব্দ্যের মেহেরবানিতে ।</p>
<br /><p>ধার নেওয়া শব্দের আগ্নেয় নিরক্ষরতা<br />আর কতটাই বা আখরে আঁকবে তোমায় ?<br />হে যন্ত্রণা- <br />তোমাকে সেলাম ।<br />সেলাম- তোমার দুর্বার ক্ষমতাকে ।<br />মিথ পুরাণের ভাঙা-গড়ায়<br />কতবার পাল্টে গেছে <br />বিশ্বস্ত ভূগোলের মলাট লিখন-<br />শুধু তোমার ঠিকানায় ক্ষয় নেই ।<br />আজন্মের অমরত্ব তুমি গ্রাস করেছ ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/shabde-shit-bosonto-written-by-thirthankar-chakraborty/শব্দে সুখ-বসন্ত2019-01-27T06:45:44-05:002023-06-26T17:25:00-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>মৃত মুহূর্তেরা শব্দের বশ মানেনি নন্দিনী ।<br />নতুন করে লেখা হয়নি অনেক কিছু ।<br />সে বরং ভালোই হয়েছে ।<br />আজগুবি ঝড়, খরা, মরা, কান্নার মিছিলে <br />শব্দকে পণ্য করতে<br />আজ বড় গায়ে লাগে ।</p>
<br /><p>আমার শব্দ স্বপ্নের কথা বলুক,<br />সত্যের কথা বলুক,<br />সময়ের শরীর জুড়ে গড়ুক না এক<br />ভালোবাসার শব্দমহল ।<br />তার তোরণ পেরিয়ে<br />যদি কোনও ফিরতি ফাগুন<br />বেখেয়ালেই উড়ে আসে-<br />কোনও জোড়-ভাঙা শালিকের<br />চিবুক ছুঁয়ে যদি বলে-<br />এই বসন্তে শক্ত করে বাঁধব চলো-<br />আবির রঙের ভালো-'বাসা'...<br />আমি না হয় শব্দসুখের উষ্ণতা ছেকে নেবো ।<br />এতেই আমার ঢের ।<br />যখন জেনেই ফেলেছি-<br />সর্বনাশের আর এক নাম বসন্ত ।</p>
<br /><p>যে শব্দ আমার যন্ত্রণাকে ধারণ করে-<br />সে আমার দাস নয়,<br />সে আমার প্রেম, আমার ঈশ্বর । <br />তার বুকেও যে কত পার ভাঙা ঢেউ<br />দাসত্বের জ্বালায় বারুদ ছড়ায়<br />সে তো আমি জানি নন্দিনী ।</p>
<br /><p>কত মানবীর প্রেম উপেক্ষা করেছি-<br />শুধু শব্দ ছিল বলে ।<br />সে খবর কেউ না জানুক-<br />জানে আমার চৈতী নদীর ঢেউ,<br />তার অনাত্মীয় মোহনা,<br />চোরাচোখের চাঁদ,<br />আমার বেদুইন ভায়োলিন,<br />আর এক বিষণ্ণ বাইপাস ।</p>
<br /><p>হয়তো জানো তুমি, কিংবা<br />তোমার মতো অনেক তুমি ।<br />আমার মতো অনেক আমির <br />স্বপ্নবোনা শব্দ-জমিতে যাঁরা<br />আখরে আখরে<br />'চরৈবেতি' মন্ত্র ছড়ায় ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/jiboner-epar-opar-written-by-thirthankar-chakraborty/জীবনের এপার ওপার2018-12-11T14:00:19-05:002023-06-26T17:24:45-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>শব্দেরা ঘুমোলেই জীবনের ওপার দেখতে পাই ।<br />দেখি ভাঙার ভিড়ে জীবন গড়ছে নতুন ভাঙার ভিত ।<br />দারুণ অভিজ্ঞতায় শ্মশান মিশছে সমুদ্রে !<br />আর ডোমেরা পথ চেয়ে আছে উদভ্রান্তের মতো । <br />তবু জীবনের বেহায়াপনায় যতি পড়ে না ।<br />একসময় পরিমিত যশ, খ্যাতির শিয়রে<br />ডানা ঝাপটায় শকুন-<br />আক্রান্তের শিরদাঁড়া নুয়ে পড়ে অনিরুদ্ধ সত্যতায় ।</p>
<br /><p>ওপার জীবনের ইতিকথায় মৃত্যু নামে অবক্ষয়ে,<br />অসুস্থতায়...</p>
<br /><p>তাই এপার জীবনেই মৃত্যু নামুক ।<br />মৃত্যু নামুক ভালোবাসায়, ভাঙায়-গড়ায়,<br />উদযাপনের সহজ স্রোতে ।<br />জীবনভাষ্যে তার ব্যঞ্জনা হোক সুখের রেপারে মোড়া ।<br />অথবা ওপার জীবনের মৃত্যু-কবিতা ব্যর্থ হোক,<br />প্রত্যাখ্যাত হোক এপারের কাছে-<br />অমোঘ ভালোবাসায় ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/porokiya-written-by-thirthankar-chakraborty/পরকীয়া2018-09-29T07:15:13-04:002023-06-26T17:24:50-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>সময়ের ক্যানভাসে অসময়-শঙ্খিনী দুর্বার ।<br />ক্ষয়ে যাওয়া বসন্তে পরকীয়া জ্যৈষ্ঠের অভিসার<br />এক রিফিউজি দেশ গড়ে স্রোতের শিয়রে । </p>
<br /><p>জলহীন সরোবরে বেহিসেবি স্বপ্নেরা অপারগ ।<br />নীল চোখ অরণ্যে সঞ্চয়ী স্বপ্নের বিস্তার<br />চোখাচোখি হয় যেই দিগন্তে-<br />বিপন্ন দ্বিরালাপে সুর বাঁধে ব্যাভিচারী সুখ ।</p>
<br /><p>আকাশ যে চির-অসহায় ।<br />তবু ঘুড়ির ফোয়ারা ওড়ে তার বুক ছুঁয়ে,<br />মেঘের পালকে চাঁদ জোছনাতে দাঁড় বায়,<br />নীলেতে মেশে না তবু বেরং, ফারাক ।</p>
<br /><p>কবি তুমি বিরাট হৃদয়...<br />যত পারো শখ-সুখে শোক সয়ে যাও ।</p>
<br /><p>আমি ভালোবেসে মূক বেদুইন,<br />আগুন জ্বেলেছি আজ দিগন্তে...<br />দেখি, অনিকেত স্বপ্নেরা কার বুকে বাঁচে ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/biswas-written-by-thirthankar-chakraborty/বিশ্বাস2018-07-07T07:01:02-04:002023-06-26T17:24:29-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>অভিধান তন্ন তন্ন করে খুঁজেও<br />মিলল না 'বিশ্বাস' কথাটির অর্থ ।<br />অথচ 'ঘাতকতা' জুড়ে দিলে<br />জীবন হয়ে উঠে এক মস্ত অভিধান<br />বা তার চাইতেও বেশি কিছু ।<br />সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ--<br />উদাহরণের পরম্পরা এগোতে এগোতে<br />হঠাৎ ঝলসে উঠে আগুন ।<br />ধৈর্যহারা অন্তর্ঘাত বিস্ফোরিত হয় ।<br />শেষে মৃত্যুর অধিত্যকায়<br />নৈ:শব্দের অনাবিষ্কৃত লিপিতে<br />দৃশ্যমান হয় 'বিশ্বাস',<br />তার গূঢ়ার্থ প্রতিধ্বনিত হয়<br />প্রতারিতের দীর্ঘশ্বাসে ।</p>
<br /><p>আর এ ভাবেই গড়ে উঠে<br />বিশ্বাসের এক অবিশ্বাস্য অভিধান--<br />দিন থেকে দিনান্তে-- বর্গে, বর্ণে, পাথুরে সভ্যতায় ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/chiro-omlan-robi-written-by-thirthankar-chakraborty/চির-অম্লান রবি2018-05-09T14:45:18-04:002023-06-26T17:24:34-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>উৎসবেরই আকাশ জুড়ে <br />মন্দ্র-মেঘের হাঁক,<br />আমার কাল-বোশেখে বসন্ত যে<br />পঁচিশে বৈশাখ ।</p>
<br /><p>চিরনতুনের ছন্দে জাগে<br />আমার আশৈশব,<br />মুগ্ধ বোধে সিক্ত তোমার<br />সৃষ্টিরই বৈভব ।</p>
<br /><p>কোথাও তুমি 'বুড়োঠাকুর'<br />ছেলের বাউল ঘুড়ি,<br />তোমার বুকে সাঁতরে খুঁজি<br />জীবন বাঁধার নুড়ি ।</p>
<br /><p>তোমার খোঁজে হাঁটছি যত<br />দেখছি ততই দূর,<br />অনুধ্যানের মন্ত্র তুমি<br />ওহে আঁখির নুর ।</p>
<br /><p>তোমার মুক্তি আলোয় আলোয়<br />এই আকাশে হয়,<br />আমার মুক্তি জরায়, খরায়<br />বাঁধনে নিশ্চয় ।</p>
<br /><p>দিন-দহনে রবীন্দ্রনাথ<br />মানুষ অসহায়,<br />'অমল' হয়ে মুক্তি খোঁজে<br />তোমার শব্দছায় ।</p>
<br /><p>যাপনকথায় মেশাও তুমি<br />বাঁচার নতুন সুর,<br />স্তব্ধ শোকের মালায় গাঁথো<br />আনন্দ রোদ্দুর ।</p>
<br /><p>সময়স্রোতে সন্ধ্যা নামুক<br />উঠুক ভীষণ ঝড়,<br />আঁধার ভেঙে স্বপ্ন আঁকার<br />তুমিই কারিগর ।</p>
<br /><p>ক্রান্তিকালের অস্ত-গাথায়<br />যতই ভাঙুক লয়,<br />অম্লান রবে রবীন্দ্রনাথ<br />বিবিক্ত অক্ষয় ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/bharater-proshno-by-thirthankar-chakraborty/ভাড়াটের প্রশ্ন2018-05-01T03:55:08-04:002023-06-26T17:24:27-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আমার টিনের চালে বৃষ্টি-নূপুর<br />জল-পরীদের নাচ,<br />মিস্ত্রিগুলো ভাবছে মনে<br />বেশ হয়েছে আজ ।<br />ভীম-গরমে খুঁড়তে মাটি,<br />কাটতে লোহার পাত,<br />হাড় জ্বালানো করাত বুড়ো <br />দিচ্ছে না আজ সাথ ।<br />এর মধ্যেই বৃষ্টিরাণি<br />খোশ-খেয়ালে ঝরে,<br />মালিক বাবুর উচ্চচাপের<br />পারদ আরো চড়ে ।<br />না খাটিয়ে দিন-মজুরে<br />পয়সা দেওয়া যায় ?<br />বেআক্কেলে বৃষ্টিটা আজ<br />করল এ কী হায় !<br />বলতে পারো মালিক বাবু<br />গরিব হওয়া দোষ ?<br />ঘাম ঝরানো পরিশ্রমীর<br />উপর কেন রোষ ?<br />দুর্বল বলে শোষণ করো<br />জ্ঞানের দম্ভ ঝেড়ে,<br />'বাকহীন' ওই মানুষগুলোর<br />মুখের অন্ন কেড়ে ।<br />ওরাও তো স্বপ্ন দেখে<br />"ঘর, কাপড়া, খানা..."<br />গোত্রে-গরিব মানুষগুলোর<br />স্বপ্ন দেখাও মানা ?</p>
<br /><p>এদের তোমরা তাড়িয়ে খাটাও<br />দেখিয়ে ভয়ের থানা,<br />ভদ্দ বাড়ির আদলে গড়া<br />তোমার কষাইখানা ।<br />একশো তলায় বিহার করো<br />যতোই মাখো রং--<br />মন-কাঙালের লিস্টিতে যে<br />তুমি'ই প্রধান সঙ ।<br />তোমার মতো কুবেরগুলোই<br />মে দিবসের বক্তা,<br />ডাবর হানির অ্যাম্বাসেডর<br />আসলে নিরক্তা ।</p>
<br /><p>মূর্খগুলোর শ্রম ভাঙিয়েই<br />চলছে সোনার দেশ,<br />ফলছে ফসল, 'তৈরি', 'গড়া'<br />নির্বোধে নেই ক্লেশ ।</p>
<br /><p>তন্ত্র ছেড়ে বেরিয়ে এসো,<br />মানুষ হয়ে বাঁচো ,<br />মালিক-মার্কা শেওলা মনের<br />কোদাল দিয়ে চাঁছো ।<br />আজ যদি না মালিক বাবু<br />শোষণ করো রোধ,<br />পিঠ দেয়ালে ঠেকলে পরে<br />জ্বলবে শোধের ক্রোধ ।<br />পারবে সেদিন বাঁচতে তুমি ?<br />মুচকি যেমন হাসো ?<br />তাই রক্ত-চোষা স্বভাব ছেড়ে<br />একটু ভালোবাসো ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/sobi-ache-shab-hoye-by-thirthankar-chakraborty/সব-ই আছে শব হয়ে2018-04-25T09:06:01-04:002023-06-26T17:25:03-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>মোহনমাঝি, আমি ভালো আছি ।<br />পঁচিশটি বসন্ত পেরিয়ে আসা জীবনে<br />সব-ই আছে আমার ।<br />হালকা আলোর স্পটলাইট, স্তোক, স্তুতি, দ্রোহ,<br />বারবার জেগে ওঠা,<br />স্রোতকে প্রত্যাখ্যান করার এক অমোঘ আকর্ষণ-- সব ।</p>
<br /><p>আমি ভালো আছি ।<br />স্বজনের সুখে অসুখও আছে, আর<br />অসুখের শোকে গড়া এক ম্যানশন- ফসিল ।<br />আছি আমি, স্বজন-- আর বিদ্বেষ ।</p>
<br /><p>এভাবেই ভালো থাকে দেশ ।<br />ভালো থাকে ঈশ্বর-- অভিনয়ে ।</p>
<br /><p>সব-ই আছে, শান্তি-ই ভবঘুরে দীন ।<br />তাই সব-ই আছে শব হয়ে, ক্ষোভ মেখে ।</p>
<br /><p>সব নিয়ে ভালো থাকা সময় এ নয় ।<br />এ সময় বেপরোয়া স্পর্ধার ।</p>
<br /><p>জানি সময় পুষিয়ে নেবে শোক ।<br />শান্তিও ঘরমুখো হবে ।<br />আর,<br />শব্দের অস্তিত্ব খুঁজবে হাভাতের মতো-<br />আমার নৈশব্দের নীলে- অবেলায় ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/amar-a-bhalobasha-written-by-thirthankar-chakraborty/আমার এ ভালোবাসা2018-04-10T10:45:30-04:002023-06-26T17:24:25-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>যদি বৃষ্টিও মুছে দেয় তোমার পরশ,<br />আমি ছেড়েছি বৃষ্টিভেজা সে অনেকদিন-<br />ঝিমন্ত করিডোরে কালবেলা শুয়ে আছে,<br />ভালোবাসা আজ শুধু শব্দের ঋণ ।</p>
<br /><p>তবু...<br />ছেড়েছি বৃষ্টিভেজা সে অনেকদিন ।</p>
<br /><p>বেহিসেবী ক্ষত খুঁড়ে ভুলের কোরাস-<br />না-মেলা অঙ্ক মিলে শোক-তারা ওঠে ।<br />আমার এ ভালোবাসা শূন্য-বেসাত,<br />সে যে ভাগাড়েও ফুল হয়ে ফোটে ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/amaratwe-nobojonmo-written-by-thirthankar-chakraborty/অমরত্বে নবজন্ম2018-03-06T19:29:56-05:002023-06-26T17:24:25-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>শেষ কবে কেঁদেছিলাম মনে পড়ে না । <br />কিন্তু তোমার জন্যে কালিকা প্রসাদ...<br />থাক...<br />পুরো নিঃস্ব করেই ছাড়লে ।<br />দুমড়েমুচড়ে বিভীষিকায়ও মৃত্যু হলো না ।<br />বেঁচে রইলাম পুড়বো বলে-<br />পোড়াবার সবটুকু সুর বড় যত্ন করে বেঁধেছিলে<br />ওই দোতারায় ।</p>
<br /><p>এখন জলভরা মেঘের ওপারে তোমার বাস ।<br />ওখানেও নিশ্চয় মাটির গন্ধ খুঁজে ফিরছো, কালিকা প্রসাদ ?<br />অনেক বাউল, ফকির, শিল্পী বুঝি বন্ধু হয়েছে ?<br />একতারাটাও নিয়ে যেতে পারতে তুমি !<br />সঙ্গীহারা এই মাটির-দোসর সুর ভুলেছে কালিকা প্রসাদ-<br />মাটির-মানুষ বিনে সে যে কারো সঙ্গে কথা কয় না, কোনোদিন'ই-<br />এ তো তোমার অজানা ছিল না কালিকা প্রসাদ-<br />তবু চলে গেলে ।</p>
<br /><p>তোমার জ্ঞান-প্রজ্ঞায় শক্তি ছিল, সাধ্যও ছিল অতিক্রমের-<br />শুধু জাহির করার বিদ্যে ছিল না কালিকা প্রসাদ ।<br />তাই তো এতো ভালোবাসি তোমায় । <br />তোমার ঔদ্ধত্ববিহীন চলন-বলন,<br />একমুখ সেই সরল হাসি একতারাকে জাপটে ধরে,<br />আজ বড় নিথর করে কালিকা প্রসাদ-<br />আমি মুগ্ধতা খুঁজে শুধু স্তব্ধতা পাই, আর হাহাকার...<br />ভালোর চেয়েও ভালো বলেই বিধাতার বুঝি তর সইল না ।</p>
<br /><p>এই চৈত্রের ঝড়ে তোমায় ভীষণ মনে পড়ে কালিকা প্রসাদ ।<br />মৃত্যু বুঝি খুব করে ভালোবাসতে শেখায় ?<br />তবে মৃত্যু যদি বলো- আমি বলবো<br />জন্ম দিয়েছো নবচেতনার ।<br />আবার মাটির টানে, শেকড় খোঁজার যাত্রা হবে শুরু-<br />তুমি সেই জয়ধ্বজা কালিকা প্রসাদ ।<br />অব্যক্ত সব সম্ভাবনার কেন্দ্রে তুমি চিরজীবী ।</p>
<br /><p>কালিকা প্রসাদ, তোমায় ছুঁয়েই আকাশ মাটিতে মিশেছে ।<br />অমরত্বে জন্ম হয়েছে তোমার ।</p>
<br /><p>কবিতাটি প্রয়াত লোকসঙ্গীত শিল্পী কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর অভিপ্রায়ে ২০১৭ ইংরেজির এপ্রিল মাসে লেখা হয় । আজ ৭ ই মার্চ শিল্পীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কবিতাটি পুনর্বার প্রকাশিত হল ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/jibon-written-by-thirthankar-chakraborty/জীবন2018-02-20T10:00:04-05:002023-06-26T17:24:43-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আকাশ ভেঙে শ্রাবণ নেমেছিল-<br />শুধু সময় ভিজেনি মেঘে ।<br />আশার বুকে আঁধার কেঁদেছিল-<br />চাঁদ নামেনি এই উদ্বেগে ।</p>
<br /><p>ঝরের ঠোঁটে বাতাস পেয়েছিল-<br />বেঁচে চলার স্বপ্ন সুখ ।<br />বোতাম ছেঁড়া খাদও চেয়েছিল-<br />নীলে লাগুক প্রেমের ফুঁক ।</p>
<br /><p>আগুন চোখে ফাগুন দেখেছিল-<br />ঝিলে শালিক জোড়ের স্নান,<br />ছাদের কোণে মিছিল করেছিল- <br />বোবা চোখের অভিমান ।</p>
<br /><p>মোহন মাঝি সেদিন বুঝেছিল-<br />জলে জ্বলার আগুনও ভাসে,<br />মোহন মাঝি তবুও গিয়েছিল-<br />নাছোড় পোড়ার অভিলাষে ।</p>
<br /><p>আকাশ ভেঙে শ্রাবণ নেমেছিল-<br />তবু যাপনে বড্ড খরা ।<br />জীবন মানে যাপন'ই জেনেছিল-<br />সময়-অঙ্ক-হিসেবে ভরা ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/valentines-day-written-by-thirthankar-chakraborty/ভ্যালেন্টাইনস ডে2018-02-13T18:50:26-05:002023-06-26T17:25:04-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>কোণগুলো বড় দামী আজ ।<br />আর ঝোপঝাড়, গলিপথ, অরণ্য ।<br />উত্তপ্ত আবছায়া দুরন্ত সাহসের সাক্ষী,<br />শুধু চোখ বুজে সময়ের স্বরে ।<br />নিষেধের ফরমান আহত হরিণী হয়ে কাঁতরায়-<br />ডানপিটে ভালোবাসা সমুদ্র-রোদ্দুরে<br />আরক্ত বিদ্রোহে আরো আরো ভালোবেসে<br />বানভাসি হয় ।</p>
<br /><p>আজ অগোছালো সব ভালো লাগে ।<br />বেয়ারা সময় হাঁটে বেয়াদপ হয়ে-<br />তছরুপে শুধু ছুটে মন...</p>
<br /><p>...উদ্বৃত্তটুকু বাকি থাক আজ ।<br />ভালো থাক ভালোবাসা, ভালোবেসে-<br />ঠোঁট ছুঁয়ে যদি মেশে সেই মোহনায়,<br />যেন মন্থিত সুখ পায় সুস্থতা নাম ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/nandini-written-by-thirthankar-chakraborty/নন্দিনী2018-01-31T03:45:50-05:002024-01-27T06:13:39-05:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>শব্দের গায়ে শুভেচ্ছার আতর ঢেলে পাঠালাম ।<br />নন্দিনী, এই গন্ধ যদি তোমায় ছুঁয়ে যায়-<br />রিক্ত হাতে উপচে পড়বে সুখ,<br />থমকে থাকা শব্দতরী<br />অনুভবের উষ্ণ স্রোতে বাউল হয়ে ভাসবে ।</p>
<br /><p>তুমি রক্তকরবী জিইয়ে রেখো মনের সরোবরে ।<br />ক্লান্তির বুকে আবেশ ছড়িয় তার ।<br />ভালো থেকো তুমি থাকার মতন করে ।<br />বর্ণে, বিবিধে, শ্রাবণের শোকে খরায় ।<br />ভালো থেকো তুমি রামধনু মেখে<br />ব্যালকনি ঘেঁষা কৃষ্ণচূড়ায় ।</p>
<br /></p>
<br /><p>অনেকদিন পর 'নন্দিনী'র জন্মদিন উপলক্ষে লেখা, ২৬ জানুয়ারি (রাত্রি, ১১.৪৫) ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/bodhon-by-thirthankar-chakraborty/বোধন2017-09-19T07:55:55-04:002023-06-26T17:24:29-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>বোধন হোক তোর যন্ত্রণায়,<br />হোক বঞ্চিতের প্রতিবাদে-<br />হাজার চোখের স্বপ্নে নামিস,<br />কাল-শিকারীর ফাঁদে ।</p>
<br /><p>শয্যাশায়ীর শিয়রে জাগ্ তুই<br />পঙ্গু রাতের বুকে-<br />মৃত্যু যেখানে রোজ ভোরে এসে<br />জীবনে গন্ধ শুঁকে ।</p>
<br /><p>সব জড়তায়, অবক্ষয়ে মা<br />প্রাণ ঢেলে তুই দে,<br />দেবী 'নমস্তে জগত্তারিণী<br />ত্রাহি দুর্গে ।'</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/durnibar-written-by-thirthankar-chakraborty/দুর্নিবার2017-06-15T18:32:53-04:002023-06-26T17:24:37-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>কোনও স্বয়ম্বরা ঢেউ<br />যদি তৃষ্ণার বালুচরে,<br />'কিতকিত' বেলা শেষে<br />সবেগে আছড়ে পড়ে,<br />যদি সন্ধ্যাও ঘন হয়<br />তারারাও চোখ বুজে-<br />তবে চাতকও ডুবুরি হয়<br />মুক্তোয় ঠোঁট গুঁজে ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/prem-o-pratiswar-written-by-thirthankar-chakraborty/প্রেম ও প্রতিস্বর2017-04-22T15:45:26-04:002023-06-26T17:24:58-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আমার অধীরতায় সম্ভাব্য বৃষ্টির শিহরণ তুমি ।<br />তোমায় বেয়েই জিজ্ঞাসাগুলো তীব্রতর হয় ।<br />অজানা অদেখা অ-বলার মেঘ<br />তোমার বুকেই বৃষ্টি হয়ে ঝরে ।<br />রক্তাক্ত ভোর থেকে কূলভাঙা সন্ধ্যা, কিংবা<br />আসকের অন্তহীনতায় মুমূর্ষূ যাপন--<br />জীবন বাঁধে তোমার বালুচরে ।</p>
<br /><p>কত বার্নিশ করা চোখ,<br />ঝাড়পোঁছ করা গাল,<br />নাম না-জানার শোক,<br />অব্যক্ত বিক্ষোভে<br />তোমার ভাঁজে মৌন-মিছিলে হাঁটে ।</p>
<br /><p>কবিতা, ভাগ্যিস তুমি ছিলে ! তাই তো<br />আমি শব্দের গায়ে গন্ধ খুঁজে পাই;<br />গন্ধও হয় শব্দমুখর সুখ ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/bosonto-by-thirthankar-chakraborty/বসন্ত2017-03-10T22:00:57-05:002023-06-26T17:24:29-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>এক পাতা ঝরা বসন্তে আমি<br />শুনেছি তোমার দীর্ঘশ্বাস ।<br />সেকি ভালোবাসা ? নাকি অভিমান ?<br />নাকি বেপরোয়া ভুলের পূর্বাভাস ?</p>
<br /><p>তুমি অরণ্য রং মেখে<br />যদি বনান্তে বাঁধো ঘর,<br />আমি ইশারায় সারা হবো<br />খুঁড়ে সীমান্তে সরোবর ।<br />তুমি ফাগুনের স্নানে যেও<br />ঘন পলাশের পথে একা,<br />ধরো, অন্যমনস্ক পদক্ষেপে<br />হঠাৎ হয়তো দেখা !<br />যদি দখিণা তীব্র হয়<br />পঞ্চমে কুহু গায়,<br />যদি দারুণ রোষে মরিয়া সাগর<br />নদীতে মিশতে চায়--<br />সেকি অসম্ভবের গানে<br />শুধু নাকাল হবার'ই ক্ষণ ?<br />নাকি একটু বেঠিক, একটু ভুলের <br />অগোছালো আয়োজন !</p>
<br /><p>থাক্ ! স্বপ্ন মধুর ভাঁজেই--<br />এই কৃষ্ণচূড়ার আগুন ।<br />থাক্ বুক পকেটে বসন্ত <br />আর চোখের পাতায় ফাগুন।</p>
<br /><p>শুধু এইটুকুনই চাওয়া না-হয়<br />তোমায় ভালোবেসে,<br />যদি উতল হাওয়া নিথর করে<br />অরণ্য-স্নানে ঘেঁষে ।<br />এই বাউণ্ডুলের দিশায়<br />একটি রোকা দিও,<br />দেবো আগুনপাখির ভালোবাসা<br />উষ্ণতাটুকু নিও ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/ishadi-megh-stobdho-phinix-by-thirthankar-chakraborty/ইশাদি মেঘ স্তব্ধ ফিনিক্স2017-02-18T02:55:11-05:002023-06-26T17:24:43-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>গিটার বেয়ে নামছে যখন শ্রাবণ,<br />ফিনিক্স তখন বারুদ ছড়ায় প্রেমে ।<br />রাতের সূর্য স্নান করে ইঁদারায়,<br />বীত বসন্ত আটকে শহর জ্যামে ।<br />ট্রাফিক পুলিশ বোকা বাঁশি বাজায়,<br />ব্যস্ত চোখে চাঁদ ডুবে চুপিসারে ।<br />ওড়না হাওয়া ফিকে জীবন রাঙায়,<br />স্পর্শকাতর ! ঠোঁটের ইস্তাহারে ।<br />ল্যাপটপেতে স্বপ্নসিঁড়ি এঁকে,<br />সাঁঝবেলাতে আঙুলে জড়ায় কেশ ।<br />উষ্ণ-প্রহর চোরাপথে গুজরায়,<br />গিটারে আজ ঘোর-বসন্ত রেশ ।<br />রামধনু ঠোঁটে আলগোছে ছুঁয়ে যায়,<br />ইশাদি মেঘ মুচকি হাসি হাসে ।<br />সন্ত্রাসী-চাঁদ মুখ ভেঙিয়ে পালায়,<br />যখন নষ্ট সময় 'বেকার' হয়ে আসে ।</p>
<br /><p>ওই মুঠোফোন নাছোড় ঘুমে ঘুমোয়,<br />ঝোলা কাঁধে ফাগুন ঝলসে মরে ।<br />কুবের ছাড়া হয় কখনো প্রেম ?<br />স্তব্ধতায় আজ মেঘের চাদর সরে ।</p>
<br /><p>আজ; গিটার বেয়ে নামছে যখন শ্রাবণ,<br />ফিনিক্স তখন ব্যথার কবর খুঁড়ে ।<br />রাতের সূর্য মল্লারে তান গায়,<br />রাজবসন্ত স্মৃতির-অ্যাসিড ছুঁড়ে ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20170208054318/অসম্পূর্ণ2017-02-08T05:50:12-05:002023-06-26T17:24:58-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>মেধার গায়ে শিক্ষার প্রলেপ লাগেনি ।<br />ব্যাকরণের সংযম হাঁটেনি ঋজুপথে ।<br />অভিকর্ষের অহমিকায় অধরা যে অতীত,<br />তার গর্ভজাত বর্তমানও বোহেমিয়ান ।<br />অসন্তোষের অভিশপ্ত পদাবলীর বহনবিশ্বে<br />হোঁচট আসে নি:শব্দে বারবার ।<br />মুখ থুবড়ে পড়ার আয়োজন প্রতিপন্ন করে<br />এক অসম্পূর্ণ আমিত্ব,<br />অশিক্ষার অর্ণব চষা ক্লান্তের হাহাকার,<br />ঐতিহ্যবাহী স্তোকের সারাৎসার ।</p>
<br /><p>বৃত্তের বোধে পূর্ণতা যদি নামে,<br />কাঁধে যদি প্রত্যয় রাখে হাত,<br />সম্পূর্ণের অনুভবে ঈশ্বর হবে সেই ।</p>
<br /><p>জানি যাত্রা হবে শেষ ।<br />তবুও তো পূর্ণতায়...</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20161231120931/বিজয়িনী2016-12-31T01:10:38-05:002023-06-26T17:24:58-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>শান্তিনিকেতন থেকে মুঠো মুঠো শান্তি কুড়িয়ে <br />ঝোলা কাঁধে ফিরেছিল সে।<br />একই রকম প্রাণোচ্ছ্বলতা আর<br />অনেকটা প্রত্যাশা নিয়ে সেদিনই,<br />কুয়াশার দাপটে জড়সড় রাত্রি যখন<br />হাই তুলে পাশ ফিরে শোয়,<br />আমার মুঠোফোনে হঠাৎ এক বার্তা পেলাম তার-<br />"তোমার জন্যে রবিঠাকুরের পত্রাবলির গ্রন্থ এনেছি।"<br />আমি তখন বেজায় খুশি।<br />উত্তর লিখবো, এরই মধ্যে ঝড়ের বেগে বার্তা এল ধেয়ে-<br />"কবি, বইটি পড়ে আমার জন্য লিখতে হবে তোমায়।<br />কবিতা, হ্যাঁ হ্যাঁ লিখতেই হবে।<br />এটা আমার অনুরোধ।<br />তুমি লিখবে তো?" <br />বললাম, "চেষ্টা করে দেখতে পারি।<br />কবিতা যে তোমার ঠোঁটেই জীবন খুঁজে পায়।<br />তুমিও তো লিখতে পারো।<br />তোমার বিক্ষিপ্ত সব কথাগুলো<br />এক সুতোতে গাঁথলেই তো কবিতা হবে।"<br />বার্তা এলো-<br />"আমার কথা ! হাসালে... আমি কে?"<br />বলেছিলাম, "সময় তারিখ লিখে রেখো।<br />পত্রাবলি পড়েই নাহয় তোমার সংজ্ঞা বুঝিয়ে দেবো !"</p>
<br /><p>আজ বছর শেষে পত্রাবলি পড়া হলো।<br />মৃণালিনী ক্যামন যেন ! <br />তবে রবীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ'ই - নতুন করে খুঁজে পেলাম।<br />সংজ্ঞাও আজ স্পষ্ট হলো-<br />বলতে পারি মেঘহীন এক আকাশ তুমি।<br />উৎসাহ আর উদ্দীপনায় ভীষণ রকম রঙিন।<br />তুমি খুব সহজে মিশতে পারো পাহাড় চূড়ায়,নদীর স্রোতে।<br />কন্ঠে তোমার রাহাজানির বিদ্যে ভরা।<br />কাদম্বরীর দোসর তুমি।<br />নাছোড় স্নেহে লিখিয়ে নিচ্ছ কচি হাতে পাওনা তোমার।<br />আসল কথা-<br />বিজয় তোমার রক্তে লেখা।<br />তাই তো তুমি বিজয়িনী, সবার সেরা।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20161218070735/সাতকাহনে ঘেন্না ধরে2016-12-18T08:14:53-05:002023-06-26T17:24:56-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>জ্বলন্ত জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে<br />মৃতের মনস্তত্ত্ব খোঁজো তোমরা-<br />তোমরা বুদ্ধিজীবী।<br />নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দিন বদলের ভাষণ চড়াও !<br />নোংরামিতে বাদ পড়ে না <br />মাতৃভাষা,মাতৃভূমি,সীমান্তও।<br />লোক ঠকানো রাজনীতিতে <br />মানবপ্রীতির বন্যা এনে পয়সা ঝারো।<br />হ্যাঁ হ্যাঁ সোজা ভাষায়'ই বলছি-<br />মিটিং,মিছিল,বিচার,ব্যাখ্যা তো হয়েই চলে !<br />চলে কড়া পাহারা,প্রতিবাদ,প্রতিরোধ-<br />তবুও কেন 'নির্ভয়া'রা <br />বেজন্মাদের বিষ নজরে অহরহ ক্ষুধার শিকার ?<br />কেন বস্তাবন্দি সদ্যোজাত লক্ষ টাকায় বিদেশ পাচার ?<br />প্রশ্ন প্রশ্ন হাজার প্রশ্ন আকাশ ছোঁবে !</p>
<br /><p>ভুয়ো ধর্মের পিণ্ডি চটকে মৃত্যু মিছিল হাঁটতে থাকে...<br />শুধু মানুষ মরে,সে ইতর'ই হোক বা জ্ঞানপাপী !<br />আর ধর্ম হাসে অশিক্ষিতের আস্ফালনে।</p>
<br /><p>তোমাদের সাতকাহনে গা গুলিয়ে রক্ত চড়ে।<br />আমি শুধু ভাবতে থাকি,জঙ্গি কারা ?<br />কালোয় মোড়া ? নাকি ঝলসে ওঠা শ্বেত কাপড়ে ?</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20161128091918/ভেন্টিলেটার2016-11-28T09:22:01-05:002023-06-26T17:24:56-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>বিন্যস্ত সম্পর্কের সোমত্ত দালানে<br />কান পেতে শুনেছি-<br />ভেন্টিলেটার ও সূর্যের আলাপচারিতা।<br />দেখেছি জন্ম নিয়েছে ভোর<br />সময়ের বহু আগেই,নি:শব্দে।<br />চলন্ত পাখাগুলো ছেঁটে নিয়েছে রৌদ্রের ডানা,<br />অকারণেই?<br />সেই আহত সূর্যের চিলতে রোদে আজ<br />সদ্য-অতীতের গন্ধ-মাখা অগোছালো স্মৃতি সব<br />হয়ে ওঠে রক্তবীজ,<br />অন্যনামে তারা'ই বোধহয় সময়ের ভাষা - আয়ুষ্মান।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20161122091646/যাপনের ম্যাপে মেঘ2016-11-22T10:20:13-05:002023-06-26T17:24:56-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ট্রামের ধূলোয় যাপনের ম্যাপ আঁকছি যখন-<br />দেখি তোমার,শুধু তোমার বসত সরছে দূরে...</p>
<br /><p>অভিমানে?</p>
<br /><p>কৌতূহলের চোরাস্রোতে ভাসছি যখন-<br />নকশিকাঁথায় বুনছো তুমি কত কালের পাওনা-দেনা,<br />ভবিষ্যতের হিসেব নিকেশ,<br />সাম্প্রতিকের ইলাসট্রেশন।</p>
<br /><p>সমীকরণে মেঘ নেমেছে?<br />তাই কি তুমি পরবাসী?<br />পরবাসী...</p>
<br /><p>হিসেব করে সুখ নিয়েছো?<br />চিৎকারেতে বলতে পারো ভালো আছো,<br />সত্যি'ই তুমি ভালো আছো পরভূমে?</p>
<br /><p>আমি কিন্তু বলতে পারি,বেশ রেখেছো।<br />অসুখের গায়ে সুখ মেখেছি জুলুম করে।<br />মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে পড়ি নিরুদ্দেশে,বাউল হয়ে।<br />মাড়িয়ে চলি পথের ধূলো,স্বপ্ন নিশান, ঘাসের কুঁড়ি-<br />তখন তোমার...<br />না!আমি কিন্তু ভাবতে নারাজ,সত্যি জেনো।<br />তবু শুকনো পাতার ভাঙন আজো তোমার কথাই বলে।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20161104112801/দহন2016-11-04T11:31:08-04:002023-06-26T17:24:56-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আমার না-বলা কথারা দ্রোহদীপ জ্বেলে আজ--<br />বিভীষিকা আঁকে বৃষ্টি চুয়ানো ছাদে।<br />উর্ণনাভরা বেদখলে আনে বেপরোয়া বিপ্লব!<br />ঋত-ব্রতীরা হরতাল করে বাস্তুর কথা ভেবে।</p>
<br /><p>ভাবতে পারিনি আমি-ই শুধু - যুতসই বাজিখেলা।<br />ফৌত হয়ে তাই ঘরের ভেতর ঘরে-<br />হিসেব করছি এক জন্মের ভুল।<br />অঙ্কের যোগে ভুল।<br />পরিসর জ্ঞানে ভুল।<br />আর এক মস্ত ভুল করেছি শেষে,<br />ভালোলাগাকে ভালোবেসে।</p>
<br /><p>একাকীত্বের মোহনা খুঁজছি আমি।<br />চৌচির হয়ে ভাঙা মান্দাসে ভেসে...</p>
<br /><p>আজ আমার দহনে রাতের গর্ভে রাতের জন্ম হয়।<br />এলোপাথারি স্বপ্নেরা হয় নীরবে আত্মঘাতী।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20161025031353/শুধু ভালোবাসি বলে2016-10-25T03:40:57-04:002023-06-26T17:24:54-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ব্যাপক সেজেছিলে সেদিন।<br />সূর্যের ঝড় আছড়ে পড়েছিল কনীনিকায়।<br />এলো চুলে সন্ধ্যা নেমেছিল,<br />তুমি আকাশ মেখেছিলে গায়।</p>
<br /><p>সীমান্তে ছিল না কাঁটা-তারের বেড়া।<br />নি:শ্বাসে আর্দ্রতাও ছিল উধাও।<br />তুমি উজাড় হতে চেয়েছিলে,<br />আমি অসাড় হতে চেয়েছি ভালোবাসায়<br />শুধু ভালোবাসি বলে।</p>
<br /><p>আমার...<br />আমার নিরুত্তাপ কামনায়ও ভালোবাসা ছিল।<br />ভালোবাসায় ছিল না শুধু গর্ভ ছুঁয়ে ফেলার তীব্রতা।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20161013122039/ক্ষমতার আস্ফালনে2016-10-13T13:54:59-04:002023-06-26T17:24:54-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>দেখেছি,বোতাম ছেঁড়া রক্ত গায়ে<br />শ্রমিক আমার কাঁদছে।<br />নর্দমার বুকে হামলে পড়েছে ছন্নছাড়া কুকুর-বেড়াল,<br />আর নি:স্ব রাজার সন্ততিরা।<br />বস্তা-পচা গন্ধ মেখে পথের ধারে দাঁড়িয়ে আছে মৃত্যু।<br />জানান দিচ্ছে বৈভবীদের শারদ অর্ঘ্য সমাপ্ত।<br />'রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি।'</p>
<br /><p>আমার মূর্খ শ্রমিক,ভিখিরি শ্রমিক,<br />রূপ-যশহীন কাঙাল শ্রমিক দোষ করেছে!<br />আদেশ মেনে সাহেব ঘরের এঠো থালা<br />ফেলে দিয়েছে পথের ধারে।<br />চোখের পলকে স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্নচারিরা ছুট্টে এসেছে!<br />শিক্ষিতদের সম্ভাষণে উপচে পড়েছে শারদ-প্রীতি!<br />'এখানে ফেললি কেন কুত্তার বাচ্চা?ফেললি কেন বল?'<br />ভরিয়ে দিয়েছে তাকে!<br />ক্ষমতার আস্ফালনে,<br />বুক-পিঠ-গালে কালশিটে ভরা রক্তরাগে।<br />সে বলতে পারেনি,সাহেব বলেছে ফেলতে ওখানে!<br />বলতে পারেনি ভয়ে!<br />নাকি সে জানত!<br />দীন-ভিখিরির সত্য-ভাষণে মিথ্যুকেরা<br />অবিশ্বাসের বর্শা হানে!</p>
<br /><p>নির্বিচারে বধির সময় কেটেছে!<br />সত্যের নির্মোকে ক্ষমতা ঢেলেছে বীরদর্পে কেরোসিন,<br />মুচকি হাসিতে মিথ্যা জ্বেলেছে বারুদ,<br />আর ক্ষমতাহীনের আর্তনাদে জুতো ছুঁড়েছে<br />সমাজপতি শক্তিমানেরা।</p>
<br /><p>ক্ষমতা,আমিও তোমায় ভরিয়ে দেবো!<br />নাও,সবটুকু বিষ নিঙড়ে দিলাম,<br />ইচ্ছে মতো কুড়িয়ে নিও!<br />কয়েক ফোঁটা মুখে দিয়ে<br />যমের ঘরে অমর হয়ো!</p>
<br /><p>'আসছে বছর আবার হবে' তৈরি থেকো!<br />ভিখিরি হয়ে নামবো নাহয়<br />প্রতিস্পর্ধী রণাঙ্গনে।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/dugga-tumio-ghor-kholo-written-by-thirthankar-chakraborty/দুগ্গা তুমিও ঘর খোলো2016-09-28T02:01:22-04:002023-06-26T17:24:34-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>নিরুদ্দেশি বাপ যে আমার<br />মায়ের নেইকো ঠিক,<br />শরীর বেচে খাই আমি তাই<br />সমাজ দেয় গো ধিক।</p>
<br /><p>জন্ম আমার দাদুর ঘরে<br />এখন বেঁচে নেই,<br />বয়স আমার ষোল হতেই<br />হারিয়ে ফেলি খেই।</p>
<br /><p>সাঁঝবেলাতে ফিরছি যেদিন<br />রেশন নিয়ে ঘরে,<br />রকের মোড়ের কুকুরগুলো<br />শরীর কামড়ে ধরে।</p>
<br /><p>চিৎকারেতে জাগিয়ে পাড়া<br />পুলিশ এল হেঁকে,<br />কায়দা করে আড়চোখেতে<br />শরীর নিল চেখে।</p>
<br /><p>ভদ্দলোকের পাড়াতে আর<br />মিলল না যে ঠাঁই,<br />দুগ্গা হলাম 'হতচ্ছাড়ি'<br />'বেশ্যা' 'মাগি' 'বাই'।</p>
<br /><p>ঠোঁটরাঙা এক মাসি এসে<br />কারবারেতে ভিড়ায়,<br />ভাগ্য আমায় নগ্ন করে<br />জীবন মুখ ফিরায়।</p>
<br /><p>বুকের ভাঁজে পাথর গুঁজে<br />শরীর দিলাম ছেড়ে,<br />ভদ্দ-পোষাকি কুত্তারা সব<br />ছুট্টে এল তেড়ে।</p>
<br /><p>নাম-ডাকেতে ভরল পাড়া<br />খদ্দেরেতে বাণ,<br />রাত-বিরেতের রাজ্ঞী-ঘরে<br />মন্ত্রী মেহেমান।</p>
<br /><p>বছর সাতেক পেরিয়ে বয়স<br />শরীর ভাঁজে ভাসে,<br />থুবড়ে পড়া স্বপ্নেরা সব<br />লাল-বাতিতে হাসে।</p>
<br /><p>মা বলতো নারী মানেই<br />দুগ্গা মায়ের রূপ,<br />দশহাতি তুই কোথায় ছিলি<br />ছিঁড়ল যেদিন বুক?</p>
<br /><p>দুগ্গা মাগো কপাল ভালো<br />মূর্তিতে তোর বাস,<br />নইলে কি আর রক্ষা পেতিস<br />ছুটিয়ে মারত ত্রাস।</p>
<br /><p>সপ্তমীতে পুরুত ঠাকুর<br />আলতি যখন করে,<br />'দিনের সাধু' 'সাঁঝলি- বাবু'<br />শরীর চেপে ধরে।</p>
<br /><p>ধূপকাঠি তার গন্ধ ছড়ায়<br />ভক্তেরা গায় গান,<br />কালী সেজে তখন করি<br />লাল-মদেতে স্নান।</p>
<br /><p>আঁধার আমার যাপন সঙ্গী<br />বিছানা সুখের চাবি,<br />অফার দিচ্ছি দুগ্গা আমি<br />আয় কত আজ খাবি!</p>
<br /><p>পরতে পরতে বিষ মেখেছি<br />কামড়ে ধরে খা,<br />আয় শালারা,গোলাম- গাধা<br />ভদ্দলোকের ছা।</p>
<br /><p>মৃত্যুও আজ ঘেন্না ছুঁড়ে<br />পালায় বেকিয়ে মুখ,<br />ঢের দিয়েছো দুগ্গা মাগো<br />জিয়নে মরণ-সুখ।</p>
<br /><p>এই পাড়াতে তুইও নাহয়<br />ঘর খুলে মা বস,<br />বুঝবি তখন দুগ্গা আমার<br />আভূমি দু:খ-যশ।</p>
<br /><p>দশহাতে তো অস্ত্র ভোঁতা<br />তিন চোখ-ই কি কানা?<br />বুক ফুলিয়ে সন্ত্রাসী সব<br />দিচ্ছে দেশে হানা।</p>
<br /><p>বেশ্যা আমি মরছি ভেবে<br />দেশের কথা কত!<br />আমায় নাহয় মেরে বাঁচা<br />মায়ের দুগ্গা যত।</p>
<br /><p>শূণ্য হবে বিশ্বে যেদিন<br />ধর্ষণেরই হার,<br />বুঝবো সেদিন দুগ্গা তোমার <br />শক্তি চমৎকার।</p>
<br /><p>লাগবে না যবে তোর পুজোতে<br />বেশ্যা-দোরের মাটি,<br />ফেউ-পুরুষেরা জব্দ হবে<br />মা হবি তুই খাঁটি।</p>
<br /><p>নইলে মাগো তোর দোহাই-এ<br />সমাজ বেশ্যা পোষে,<br />আর অস্ত হতেই খোলস ছেড়ে<br />বেড়ায় দেহ চষে।</p>
<br /><p>পারিস যদি মান বাঁচাতে<br />তবেই জন্ম দিস,<br />নইলে দেবী জুটবে না তোর<br />সেলাম কুর্নিশ।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/sharater-swapnajwale/শরতের স্বপ্নজালে2016-09-27T01:50:44-04:002023-06-26T17:25:03-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আমার স্বপ্নের গায়ে আবির মাখিয়ে শরৎ এসেছে সেজে-<br />ওরসা মেঘে নীলকন্ঠ উজাড় করেছে রং,<br />ঘাসের কুঁড়িতে কুয়াশা এনেছে উচ্ছ্বলতার ঢেউ,<br />ধূলোর শহরে ক্লান্ত কায়ায় জীবন ছেয়েছে,<br />হিমেল হাওয়া পরিয়ে দিয়েছে খুশির আস্তরণ।<br />ফিকে সন্ধ্যায় জানলার কাচে শরৎ লিখেছে<br />কচি হাতে এক নাম...<br />নিমেষের ঝড়ে তেতো কফিতে চিনির বিস্ফোরণ!<br />অচেনা মোরক তখনো রেখেছে ঢেকে-<br />আমি কতনা খুঁজেছি তোমায়!<br />বেধড়ক ঘুম ঘাম হয়ে ঝরে গেছে-<br />ভাঙা ল্যাম্প পোস্ট জানলায় ঘেঁষে মুখিয়ে দেখেছে<br />এক ফতুরের বেনজির মাঝরাত!<br />অবচেতনার সাজঘরে তুমি এলে,<br />কস্তাপেরেতে চিরচেনা কাশফুল!<br />আধো-উন্মাদে উষ্ণতা ছুঁড়ে দিলে,<br />শিউলির বুকে গোড়ালি ছুঁইয়ে রূপে এনে দিলে মুক্তো,<br />বোধনের সুরে আলাপ জমালে বাঁধনের।<br />ঠিক তখনই!তখনই তোমায় কাড়বে বলে<br />সকাল পাঠাল সময়ের চিরকুট।<br />যদি আবার কখনও পথ ভোলা কোনও ভোরে<br />শিউলি কুড়িয়ে কার্নিস ছুঁয়ে যাও-<br />যদি অবচেতনায় চেতনা জড়িয়ে থাকে,<br />যদি সকাল তোমায় আড়চোখে ফিরে দেখে,<br />তুমি মুখ ফিরিয়ে নিও!<br />শুধু পদ্মপাতায় লিখে যেও তোমার ঠিকানা।<br />ফুরসতে আমি খুঁজে নেবো ঠিক যাপনের সুখটুকু।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20160825015540/মণিহার2016-08-25T02:10:18-04:002023-06-26T17:24:54-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>রক্তহারে সূর্যমুখী<br />আবার তোকে চাই,<br />তুই না এলে চোখের কোণে <br />উড়বে চিতার ছাই।</p>
<br /><p>ইচ্ছেপাখির ডানায় চেপে<br />আয় চলে আয় তুই,<br />তোরই আশায় প্রতিটি রাত <br />স্বপ্নসুখে শুই।</p>
<br /><p>নীল আকাশের ক্যানভাসেতে<br />হঠাৎ জাগে ভয়,<br />ঝড়ো হাওয়ায় স্বপ্ন আমার<br />ফসিল-না হয়!</p>
<br /><p>শ্রী-রূপে তুই আগুন ধরাস <br />হাজার রাহি বুকে,<br />কোন জহুরি না-পেতে চায়<br />আকাশ-জোষণ সুখে!</p>
<br /><p>তোর তো আবার বড্ড বেশি<br />রূপের অহংকার,<br />ইচ্ছে হলেই করতে পারিস<br />স্বপ্নকে চুরমার।</p>
<br /><p>তুই চলে এলে প্রতিষ্ঠাও<br />হয়তো কাছে আসবে,<br />ভণ্ড সমাজ কুঁচকে ভুরু<br />একটু ভালোবাসবে!</p>
<br /><p>শ্রম যদি তোর দিতে পারে<br />আসার পথের ভাড়া,<br />ইনামে তুই টিকিট কাটিস<br />চিন্তা হবে সারা।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20160812114035/কফিনবন্দি স্বাধীনতা2016-08-13T00:36:54-04:002023-06-26T17:24:54-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>স্বাধীনতা আজ ছুরির ডগায় মুচকি হাসি হাসে,<br />স্বাধীনতা আজ কুড়ির ব্লাউজে দানবীয় সন্ত্রাসে।<br />স্বাধীনতা আজ বেকার যুবার স্বাধীন চিতার আগুন,<br />স্বাধীনতা আজ নেতার মুখের বাতেলায় ভরা ফাগুন।<br />স্বাধীনতা আজ সংখ্যাগুরুর নির্যাতনের চাবুক,<br />স্বাধীনতায় আজ ভণ্ড-সাধুরা হয়েছে ঋষি-ভাবুক।<br />স্বাধীনতা আজ হুমকির স্রোতে,জবাই-এর ভয়ে জব্দ,<br />স্বাধীনতা আজ মৃত্যু-মিছিলেও শুনেছে গুলির শব্দ।<br />স্বাধীনতা আজ কাচের বোতলে,রুমালের ভাঁজে বন্দি,<br />স্বাধীনতায় আজ বাঘে-হরিণে করেছে চুরির সন্ধি।<br />স্বাধীনতা আজ কিশোর মুখের সিগারেট ধোঁয়ায় কালো,<br />স্বাধীনতায় আজ কালোবাজারির ব্যবসা জমকালো।<br />স্বাধীনতায় আজ গাধার কুকুর বিরিয়ানি বসে খায়,<br />স্বাধীনতায় আজ ভুখা কৃষক ডুবে মরতে যায়।<br />স্বাধীনতা আজ অ্যাসিড ছুঁড়ে যে অবাধ্য মেয়ের মুখে,<br />স্বাধীনতা আজ মঞ্চে-মাইকে,চোরের চরম সুখে।<br />স্বাধীনতা কত মায়ের চোখেতে এনেছে বিষের ঢেউ,<br />স্বাধীনতায় কত নষ্ট-ভ্রষ্ট মানুষ হয়েছে ফেউ।<br />স্বাধীনতায় জ্বলে সিরিয়া,মথুরা,সাধের বাংলাদেশ,<br />আজ স্বেচ্ছাচারের কফিনে বন্দি স্বরাজ আমার বেশ!</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/ek-mutho-bristi-chai-by-thirthankar-chakraborty/এক মুঠো বৃষ্টি চাই2016-08-04T08:05:13-04:002023-06-26T17:24:37-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>অবয়বে ফিলহাল জীবন হয়েছে নিখোঁজ !<br />চূড়ান্ত দহনের মহড়ায় বেসুড়ে সময়<br />অতিথি করে আনে খাক করা অগ্নিকায় ।<br />সাহারাহীন যাপনে ঘর বাঁধে দিনের সাহারা ।<br />কমরেড ! আমি রাতের সাহারা চাই -<br />নৈ:শব্দ্যের-হিম গায়ে-মেখে যে তন্দ্রা ছড়ায় ক্রন্দসীতে ।</p>
<br /><p>শুধু এক মুঠো বৃষ্টি চাই, বৃষ্টি -<br />হাজার হাজার ফতুর ফুটপাতিয়ার জন্যে,<br />হাড় ভাঙা ঘামে যারা ঊষর ভূমিতে শস্য ফলায়,<br />যারা কারেন্ট-খুঁটিতে সূর্যের সাথে পাঞ্জা লড়ে<br />নেমকহারামের স্বর্গপুরীতে আরাম যোগায় ।<br />যারা আগুনে পুড়ে এসি-ওয়ালাদের কাপড় কাচে, বাসন ধোয় -<br />বৃষ্টি নামুক সেই শ্রমের মোহনায় ।<br />শহরের ভিড়ে ফোসকা পায়ে পাথর ভেঙেও<br />যাদের ছেঁড়া ফতুয়ায় সূর্য আঁকে মৃত্যুর পরোয়ানা-<br />অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামুক সেই আগুনে পোড়া আধপেটা সমকালে;<br />বৃষ্টি নামুক সভ্য সমাজের <br />রক্তক্ষয়ী ধারক-বাহকের পরতে পরতে।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20160729055611/কুহকিনী2016-07-29T07:45:26-04:002023-06-26T17:24:52-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>তোমার এলিয়ে পড়া চুলে-<br />সিগন্যাল ভেঙে মত্ত গাড়ি কৃষ্ণচূড়ায় মেশে।<br />রাত-বিরেতে রুমাল মুখে সূর্য নেমে আসে,<br />ঝিমিয়ে পড়া চাঁদের গায়ে আলতো চুমু খায়,<br />তারার মিছিল ফিসফিসিয়ে হাজার গালি পাড়ে,<br />আলো হতেই পুরুষ সেজে সূয্যি আকাশ চড়ে।</p>
<br /><p>বেলকনির ওই বাঁকা চোখের চাওয়ায়-<br />ব্রহ্মচারীও আর একটিবার ভাবে!<br />মাতাল তখন ওই বোতলের সমুদ্দুরে ডুবে।<br />বাধ্য খোকা চুলকে মাথা লেজ গুটিয়ে পালায়,<br />বয়স আশি ঘাড় ঘোরাতেই হোঁচট খেয়ে মরে,<br />তোমার গন্ধেই যেন কোন যাদুকর চুটিয়ে মন্ত্র পড়ে।</p>
<br /><p>তোমার নি:শ্বাসে যে আগুনপাখির বাস!<br />ও যে শবের গায়ে ফাগুন ছেটায়,ঘটায় সর্বনাশ!</p>
<br /><p>তাই মরণ-চিতার উল্মুকও গায় শহর চিরে সাঁঝবেলাতে<br />গাঁয়ের পথের ধুলোয়মাখা জীবন ছোঁয়া গান।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/bosonto-tumi-acho-bolei-written-by-thirthankar-chakraborty/বসন্ত তুমি আছো বলেই2016-07-23T08:01:59-04:002023-06-26T17:24:32-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>আমার স্বপ্নীল চোখ,রাতজাগা ভোরে<br />আজও খুঁজে ফেরে বসন্ত তোমায়।</p>
<br /><p>অনুভবের করহীন দেশে তুমি রাজাধীরাজ,<br />বিবর্ণ জীবনে সাতরঙা রামধনু।<br />ধূ ধূ মরু প্রান্তরে তুমি রিক্ত ধলেশ্বরী,<br />অতীত-অধুনার আলিঙ্গনে স্মৃতির রংমশাল।</p>
<br /><p>তুমি আছো বলেই মূক মুখে কথার নির্ঝরিণী,<br />কালা কানে শব্দের অথৈ বন্যা,<br />ধূসর চোখে স্বপ্নেরা বানভাসি,<br />গণ্ডুষে নীলাকাশ।</p>
<br /><p>তুমি আছো বলেই গিটারের তারে সুনামি আসে,<br />নি:স্ব বাউলের বিশ্বে জাগে প্রত্যাশার ফাগুন।<br />অ্যাসিড সিক্ত রুক্ষ ঘরে প্রেমের হাওয়ায় নাছোড় রোমান্স,<br />বৃষ্টিভেজা বনপাখি চায় খড়কুটোতে বাঁধতে বাসা।</p>
<br /><p>তুমি আছো বলেই পাথর চিরে রস নিঙড়ে আনা,<br />অমানিশায় সূর্য খুঁজে ফেরা,<br />তুমি আছো বলেই তত্ত্ব,তথ্য,বিজ্ঞান অকূলে ভাসে,<br />ভোঁতা কলম হোঁচট খেয়েও চলে।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20160714111032/প্রহর গুনছে প্রত্যয়2016-07-15T03:20:28-04:002023-06-26T17:24:52-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>দুয়ার এঁটে ঠাণ্ডা ঘরে<br />আয়োজন চলছে<br />অধুনাকে অতীত করার।<br />নাম হবে তার ইতিহাস।<br />বুক পকেটে আহত আকাশ<br />অঝোরে তাই কাঁদছে।<br />কান্নাভেজা আঙুলে গুনছে<br />প্রত্যাশা-লাল প্রহর।<br />মন্দ নয়,যদি মক্তো ছড়ায়<br />ক্রান্তিকালের গায়ে।</p>
<br /><p>ক্লান্তির কোলাজে ঝটিকা সফরে<br />সুখপাখি আসে চুপিসাড়ে।<br />উসকে দেয় নীল ছুঁই ছুঁই ত্রাস,<br />স্মৃতির ক্যানভাসে রৌশন আকাঙ্ক্ষা<br />ফ্ল্যাশব্যাকে আঁকে সময়ের সন্ত্রাস।</p>
<br /><p>সে এক গপ্পই বটে...<br />এক অবয়বহীন যন্ত্রনার।<br />মুখ-মুখোশের কানামাছির,<br />চামড়া চিরে চুমু খাওয়ার,<br />স্বপ্নজালে অ্যাসিড ছোঁড়ার,আর<br />এক সমুদ্র প্রত্যাশার।<br />আসছে বর্ষা হয়তো লিখবে উপসংহার।<br />হয়তো জোটবে<br />ইনসাফে ঈক্ষিত ইনাম!</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20160705013724/মুগ্ধতার আর এক নাম শনবিল2016-07-05T14:08:57-04:002023-06-26T17:24:52-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>তার মাস্কারা কিংবা ফেয়ার অ্যাণ্ড লাভলির প্রয়োজন পড়েনা।<br />বিদেশি গন্ধও মাখতে হয়না আদিগন্ত দেহে-<br />তবু অসীম আকাশ নির্নিমিখ দৃষ্টিতে চেয়ে রয়,<br />সন্ধ্যা তারারা তার বুক চিরে স্নান সেরে<br />পরিপাটি করে চুল বাঁধে হিজল ছায়ায়।<br />তার হার্দিক বিশালতায়<br />অন্ন জোটে ভুবনমাঝি,শিবুকাকার মুখে।<br />আবরণই তার আভরণের ঋতভাষ্য,<br />তাই অস্তবেলার রামধনু রং ছুঁয়ে গেলে,<br />প্রত্যাশী মেঘ গায়ে ধেয়ে এলে,<br />মুচকি হেসে শনবিল-ই হয় ষোড়শী অনন্যা।</p>
<br /><p>কালীকীর্তনের সুর যখন নূপুর বাঁধে তার আলতো পায়ে,<br />তখন স্রোত-বিভঙ্গে পাথরের বুকে রসের ধারা বয়।</p>
<br /><p>মাতাল বর্ষা বুক ভাসিয়ে দিলে<br />প্রতিঘাতে সে মেঘকে ফোঁসে দারুণ তীব্রতায়।<br />কূল ভেঙে দিয়ে অনন্যা নেয় শ্মশানকলীর রূপ,<br />স্বপনজেলের স্বপ্নেরা সব বাস্তুহারা হয়,<br />মাঝিকয়েক নাও বেয়ে যায় মুক্তোর সন্ধানে।</p>
<br /><p>শহর যখন তার মোহনায় সেলফি-মুখর হয়,<br />সময় তখন অবাধ্য স্রোতে মিশে!<br />নাছোড় রোমান্স পিয়াসি বুকে<br />অপলকে চেয়ে শনবিল দেখে<br />অনাবিল মুগ্ধতায়।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20160702014629/ফকিররাজ2016-07-03T01:54:11-04:002023-06-26T17:24:52-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>বৃষ্টি যখন গায়ে মাখতে চায়,<br />যখন আকাশ তোমার আভূমি চেয়ে দেখে,<br />তখন তুমি আড়চোখে কি চাও?<br />সব দিয়ে যে ফকির হয়েছে আজ,<br />নিষেধ বোধহয় তারই পাওনা থাকে।<br />তারই জন্য কপালের ভাঁজে মেঘের আনাগোনা,<br />বিরক্তি আর বিষাদের ঝড় বয়,<br />ঝাপসা আজও তোমার কাছে আমার পরিচয়।</p>
<br /><p>এগজামফর্ম তুলতে আমায় চাই,<br />চাই আলতো খোঁপায় গাঁদার হাহাকরে;<br />বাজারের ব্যাগ বইতে আমায় চাই,<br />চাই ভিড়ঠেলা ওই ট্রেনের কাউন্টারে।</p>
<br /><p>বাধ্য তখন আপন আমার কত!<br />আদিখ্যেতা আবেশে আকাশ ছোঁয়,<br />জানি,কাজ ফুরোলেই পাজি আমার উল্টোপথে বয়।</p>
<br /><p>ভিড়ের থেকে আলাদা নও তুমি,<br />ভিড়ই তোমায় আলাদা করে রচে,<br />তবু হতচ্ছাড়া স্বপ্ন আমার তোমায় ঘিরেই বাঁচে।</p>
<br /><p>যদি দেখতে তুমি এসে,আমার অভিমান-ই<br />দীর্ঘশ্বাসে মেঘ চিরে আনে বৃষ্টি তোমার বুকে,<br />আমায় তুমি তোমায় জড়াও অজানা এক সুখে।<br />তাই তো আমি ফকির হয়েছি রাজা,তোমায় ভালোবেসে।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/khade-mrittyur-mahfil-written-by-thirthankar-chakraborty/খাদে মৃত্যুর মেহফিল2016-07-02T03:00:09-04:002023-06-26T17:24:45-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>শুনশান রাজপথে সেলাম ঠুকছে স্ট্রিটলাইট।<br />ঢলে পড়া চোখে তখন সোমত্ত-স্বপ্নের মিছিল।<br />তবু বিষ-কালো অন্ধকার তার চোখে-মুখে,<br />বুকে-পেটে বিদেশি-লাল জলোচ্ছাস আর<br />মোরগের আদ্যশ্রাদ্ধের গলা পিণ্ড-<br />কতই-না সোহাগ করে গিলিয়েছে সৌরিক বঁধুয়া।</p>
<br /><p>বাস বইতে নারাজ হাজার হাতির ভার,<br />নৈশ-পাইলট রক্তচোখে চাবকে চালায়।<br />বেসামাল হাত বিয়োগের অঙ্ক কষে পলে পলে,<br />পথের বাঁকে জীবন ঝুলে খাদের বুকে।</p>
<br /><p>রক্তের খাদে সংখ্যায় বাড়ে ফসিল,<br />ঝিঝির গানে স্তব্ধতা যায় ছেয়ে,<br />ব্যবহৃতরা দেয় আত্মার পরিচয়, খোঁজ ঠিকানার-<br />সম্পৃক্ত জীবনে বিঁধে নিশাত বিশিখ।</p>
<br /><p>জীবনের আঘাতে জীবনে বসে মৃত্যুর মেহফিল,<br />সাগ্নিক সময়ের দীর্ঘশ্বাস কফিন-বন্দি হয়,<br />রুদ্ধশ্বাসে কাঁদে আজো বোবা জয়ন্তিয়া,<br />প্রমাণ তার শরীরের ভাঁজে রক্তধারায়।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20160630044441/ধর্ষিত মানবিকতা2016-06-30T05:30:03-04:002023-06-26T17:24:50-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>সেদিন গণ্ডুষে ধরতেই প্রহর কেটেছিল।<br />আজ কত শান্ত!<br />তোমার প্রতিবেদনহীন অপ্রকাশ্য ধর্ষণের খবর কেউ কি রাখে?<br />নদীর কান্না কে-ই বা শোনে বলো,কুশিয়ারা!<br />নির্ব্যাজ আকাশ-তারাদের দৃষ্টি আজ তোমার বুকে,<br />তোমার স্তব্ধতা কি আকাশ ছুঁয়েছে,কুশিয়ারা?<br />তোমার স্রোত যে আজ প্রতিলোমে বইছে,<br />বুকে আজ সজীব রক্তের মিছিল,<br />বালুচরে হৃদপিণ্ডগুলির হাহুতাশ,<br />প্রশ্বাসে ভিটে-মাটির সোঁদা গন্ধ,<br />প্রতিবাদের প্রতিস্বরকে টুঁটি চেপে ধরেছে স্বেচ্ছাচার।<br />পরদেশী রাজনীতির আকাশে আজ লালের জোষণ<br />প্রতিবিম্বিত হচ্ছে তোমারই বুকে-<br />তাই কি তুমি গুমরে মরছো,কুশিয়ারা?</p>
<br /><p>ভাগ্যিস তোমার জাত-পাত-ধর্ম নেই।<br />জানো তো কুশিয়ারা,আমরা মানুষ।<br />না,মানে মানুষের মতো আর কি!<br />সম্প্রীতি আমাদের মঞ্চে-সভায়-মাইকেই।</p>
<br /><p>"হিন্দু না ওরা মুসলিম্?ওই জিঞ্জাসে কোন্ জন?<br />কাণ্ডারী!বল ডুবিছে মানুষ,সন্তান মোর মার।"<br />কবি তোমার অগ্নিবীণায় আজ এ সুর বড়ো অচল।<br />আজ যে রক্ত চেখে দেখতে হয়!<br />ছাত্র-শিক্ষক-অধ্যাপক,পীর-ফকির-বাউল,<br />মা-মাদার-সিস্টার কারো রক্ষে নেই।</p>
<br /><p>"সবার উপরে মানুষ সত্য" যে আজ মিথ্যার জোয়ারে ভেসেছে।<br />আজ রক্ত দিয়েই ফ্যাকাশে মানচিত্র নতুন করে আঁকা হয়,<br />রক্তের তুলিতে টানা হয় স্বদেশের সীমারেখা।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/post20160629024830/প্রচ্ছন্ন প্রত্যাশা2016-06-29T15:15:54-04:002023-06-26T17:24:50-04:00তীর্থঙ্কর চক্রবর্তীhttps://www.bangla-kobita.com/tirtha1234/<p>ভালোলাগাকে ভালোবাসতে পারিনি।<br />কত বসন্ত বন্ধ খামে এসে ফিরে গেছে।<br />আমার উদ্বাস্তু পৃথিবী ঠিকানা করতে চায়নি হিসেবী মন।<br />ফাগুনের আলতো ছোঁয়া মরুভূমিতে সুনামি এনেছে,<br />আর নিথর দেহ ঠোঁটে চেয়েছে বৃষ্টিভেজা আগুন।<br />ঘন বিকেলে প্রত্যাশার গায়ে কুয়াশা ছেয়েছে,আর<br />আমার অভিমানী একলা আকাশ <br />মেঘের চাদরে মুখ ঢেকেছে;<br />ঢেকেছে বিবর্ণ জীবনের ব্যঞ্জিত শূন্যতা।<br />মাস্কারামাখা সন্ধানী চোখে সে যে শ্মশান দেখেছে,<br />জীবনের ভাষা দেখেনি।</p>@ 2024 - তীর্থঙ্কর চক্রবর্তী