শুনশান রাজপথে সেলাম ঠুকছে স্ট্রিটলাইট।
ঢলে পড়া চোখে তখন সোমত্ত-স্বপ্নের মিছিল।
তবু বিষ-কালো অন্ধকার তার চোখে-মুখে,
বুকে-পেটে বিদেশি-লাল জলোচ্ছাস আর
মোরগের আদ্যশ্রাদ্ধের গলা পিণ্ড-
কতই-না সোহাগ করে গিলিয়েছে সৌরিক বঁধুয়া।


বাস বইতে নারাজ হাজার হাতির ভার,
নৈশ-পাইলট রক্তচোখে চাবকে চালায়।
বেসামাল হাত বিয়োগের অঙ্ক কষে পলে পলে,
পথের বাঁকে জীবন ঝুলে খাদের বুকে।


রক্তের খাদে সংখ্যায় বাড়ে ফসিল,
ঝিঝির গানে স্তব্ধতা যায় ছেয়ে,
ব্যবহৃতরা দেয় আত্মার পরিচয়, খোঁজ ঠিকানার-
সম্পৃক্ত জীবনে বিঁধে নিশাত বিশিখ।


জীবনের আঘাতে জীবনে বসে মৃত্যুর মেহফিল,
সাগ্নিক সময়ের দীর্ঘশ্বাস কফিন-বন্দি হয়,
রুদ্ধশ্বাসে কাঁদে আজো বোবা জয়ন্তিয়া,
প্রমাণ তার শরীরের ভাঁজে রক্তধারায়।