দেখেছি,বোতাম ছেঁড়া রক্ত গায়ে
শ্রমিক আমার কাঁদছে।
নর্দমার বুকে হামলে পড়েছে ছন্নছাড়া কুকুর-বেড়াল,
আর নি:স্ব রাজার সন্ততিরা।
বস্তা-পচা গন্ধ মেখে পথের ধারে দাঁড়িয়ে আছে মৃত্যু।
জানান দিচ্ছে বৈভবীদের শারদ অর্ঘ্য সমাপ্ত।
'রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি।'


আমার মূর্খ শ্রমিক,ভিখিরি শ্রমিক,
রূপ-যশহীন কাঙাল শ্রমিক দোষ করেছে!
আদেশ মেনে সাহেব ঘরের এঠো থালা
ফেলে দিয়েছে পথের ধারে।
চোখের পলকে স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্নচারিরা ছুট্টে এসেছে!
শিক্ষিতদের সম্ভাষণে উপচে পড়েছে শারদ-প্রীতি!
'এখানে ফেললি কেন কুত্তার বাচ্চা?ফেললি কেন বল?'
ভরিয়ে দিয়েছে তাকে!
ক্ষমতার আস্ফালনে,
বুক-পিঠ-গালে কালশিটে ভরা রক্তরাগে।
সে বলতে পারেনি,সাহেব বলেছে ফেলতে ওখানে!
বলতে পারেনি ভয়ে!
নাকি সে জানত!
দীন-ভিখিরির সত্য-ভাষণে মিথ্যুকেরা
অবিশ্বাসের বর্শা হানে!


নির্বিচারে বধির সময় কেটেছে!
সত্যের নির্মোকে ক্ষমতা ঢেলেছে বীরদর্পে কেরোসিন,
মুচকি হাসিতে মিথ্যা জ্বেলেছে বারুদ,
আর ক্ষমতাহীনের আর্তনাদে জুতো ছুঁড়েছে
সমাজপতি শক্তিমানেরা।


ক্ষমতা,আমিও তোমায় ভরিয়ে দেবো!
নাও,সবটুকু বিষ নিঙড়ে দিলাম,
ইচ্ছে মতো কুড়িয়ে নিও!
কয়েক ফোঁটা মুখে দিয়ে
যমের ঘরে অমর হয়ো!


'আসছে বছর আবার হবে' তৈরি থেকো!
ভিখিরি হয়ে নামবো নাহয়
প্রতিস্পর্ধী রণাঙ্গনে।