একটি নক্ষত্রের বুকে তোমার নাম লিখলেই হয়ে যেতো
একটি নদীর স্রোতে ভেসে যেতে যদি তুমি
আমি স্রোত কুড়াতাম
কাগজের ভেলায় সাহসী নাবিকের বেশে।
তুমি শত শত পদ্মফুল হাতে ইশারায় ডাকতে
গ্রহ-উপগ্রহ,সব ছায়াপথে লুকিয়ে রেখে নিজেকে....
আমি জোনাকি হতাম
চাঁদের হিংসুটে জোছনা হতাম।
সন্ধ্যাপ্রদীপে সাঝঁবেলা আলোকিত হতেই পারে
স্মৃতির বৃষ্টিতে রামধনু স্নান করলেও হতো
আমি বিহঙ্গরুপে ভিঁজে যেতাম
একলা শালিক হয়ে জোড়া শালিকের দেশে।
তুমি সমুদ্র-সফেন হয়ে শুভ্র মেঘের গল্প লিখতে
লাল কাকড়ার দলে হারিয়ে ফেলতে নিজেকে
আমি জলজ শৈবাল হতাম
সমুদ্রতটে গলে যাওয়া বরফের মতো।
কবিরুপ কল্পনার দেয়াল ভেদ করা সূর্যালোক
হাজার লোকের ভিড়ে সদা হাস্যোজ্জ্বল একলা যুবক।
ধূসর বর্ণের ছুটে চলা মেঘের ভেলায় খেয়াল-পালকি
জলে ডুব দেয়া ছন্নছাড়া লাজুক পানকৌড়ি।
জীবনানন্দের "বনলতা সেন"
নির্মলেন্দু গুণের" এবারই প্রথম তুমি"
সব না হয় আড়ষ্ট কন্ঠে শোনাতাম
তুমি অপলক দৃষ্টিতে বিমূর্ত হয়ে দাঁড়িয়ে সমুদ্রতীরে
আমাকে অন্বেষণে ছুটোছুটি করতে হাজার লোকের ভিড়ে।
আমি স্রোত কুড়াতাম
কাগজের ভেলায় সাহসী নাবিকের বেশে,
তুমি জাহাজের নোঙর ফেলে
শাড়িরজমিন বিছিয়ে দিতে আমার একলা দেশে।
চাইলেই এই বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যে তোমার
তোমাকে ভেবে ঘুমিয়ে পড়া রাত্রিগুলো
হৃদয় বাগিচায় যত হাসনাহেনা,রক্তজবা
সব তোমার, সব তোমার।
এক খন্ড অবসর, দুপুরের ভাতঘুম
প্রভাতের শিশিরবিন্দু, মাঝরাত্রির জাগ্রত স্বপ্ন;
চাইলেই তুমি মালিকানা নিয়ে নিতে পারো
দখল দিতে পারো যা কিছু আমার
সব তোমার,সব তোমার।
এই বুঝি তুমি এলে, দুপুরের ডাল-ভাত আগলে রেখেছি
এখুনি বুঝি কড়া নাড়লে আমার দুয়ারে
এই বুঝি তুমি এলে,এই বুঝি তুমি এলে।
এভাবেই দিবারাত্রির আবর্তনে
তুমি মিশে আছো গভীর যত্নে
শিরা-ধমনীর ছুটে চলা ক্লান্তিহীন পথে...
এভাবেই........
আমি স্রোত কুড়াতাম
কাগজের ভেলায় সাহসী নাবিকের বেশে,
তুমি জাহাজের নোঙর ফেলে
শাড়িরজমিন বিছিয়ে দিতে আমার একলা দেশে।