নিজ নিজ কাজের ফর্দ মেটাতে
ইউ এস বাংলা বিমানে পাড়ি দিয়েছিল
কাঠমান্ডুর উদ্দেশ্যে বেশ কিছু যাত্রী
তার মাঝে কো-পাইলট পৃথুলা রসিদ
বাবাকে কথা দিয়েছিলো আজ ফিরতে হবেনা রাত্রি।
পৃথুলাকে কথা রাখতে দেইনি ভাগ্য
পরপারে গমন করলো সবাইকে করে নিঃসঙ্গ।
পৃথুলা কেন প্রধান পাইলট থেকে কোন যাত্রী
ভাগ্যের কাছে হার মেনে কারো কথা রাখেনি।
স্বজন হারানের বুকফাটা আর্তনাদের ধ্বনি
বিশ্ব মানবতার বুক হতে সমবেদনা শুনি।
সামান্য ভুলের মাশুল
মৃত্যুতেই পূরণ হল তার উশুল।
পৃথুলা নই কেবল নারী
সে আজ বিশ্ব মানবতাকে বাঁচানোর মূল কাণ্ডারি।
পৃথুলা নিজেকে সরিয়ে মৃত্যুর মিছিলকে
অনায়াসে করতে পারতো ভারী
অপরের প্রাণ রক্ষা করে
নিজ দেহ দিয়ে সাজিয়েছে মৃত্যুর সারি।
পৃথুলা কেবল বাংলাদেশের প্রথম নই কোপাইলট নাম ধারি
বাংলাদেশের গর্ব, নারীর বিজয় কেতনধারী।
আমি অধম পামর হয়েও সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি
পৃথুলার মতো বাংলার প্রতি ঘরে যেন
যুগ যুগ জন্ম গ্রহণ করে স্বর্গীয় নারী।।
(কৃষ্ণপুর, বৈষ্ণবনগর,মালদহ)
( নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউ এস বাংলার বিমান দুর্ঘটনার নিহত প্রধান পাইলট আবিদ সুলতান এবং কো-পাইলট পৃথুলা রসিদ আমার ফেসবুক বন্ধু ছিলো।আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি, তারা যেন পরপারে সুখে থাকেন। আমার এই কবিতাটি নিহত বন্ধু পৃথুলা রসিদকে উৎসর্গ করলাম।)