তোমার ছবিটি ঝুলছে দেয়ালে
তাকাতে পারিনা বড় কষ্ট লাগে।
সরাটা বাড়ী মাতিয়ে রাখতে কতনা কথার ছলে
ছেলেটাকে হাটা শিখাতে নানান অজুহাতে।
আজ কতদিন হয় দেখিনাতো, ফিরে আর এলে
শুধু একা আর নিশ্ব করেই গেলে।
দেখবেনা ছেলেটা আজ দাঁড়াতে পাড়ে অন্যকে ছেড়ে
কেন অভিমান করে দুরে সরে গেলে
কি এমন ক্ষতি হতো তোমার
যদি আর একটু সময় থাকতে আমাদের পাশে।
বয়সটাকি এতই হয়েছিল তোমার
কেন যেতে হলো পৃথিবীটা ছেড়ে
তোমার স্মৃতিগুলো আমাকে জ্বালায় পোড়ায় কতনা অজুহাতে
তবুও মেনে নেই অনেক কষ্ট করে কিসের জন্যে যানো
শুধু তোমার বুকের মানিক, সোনার ছেলেটাকে মানুষ করব বলে
বারং বার নানা কথার ছলে তোমার প্রসংগটায় টানে
ছেলেটাকে আশার বাণি অনেক শুনিয়েছি
লাভ হয়না সে অনেক অভিমানি।
একটু হলেও বোঝে তুমি থাকলেও আছো অনেক দুরে
ওগো তোমার ফ্রেমে বাঁধানো মিষ্টি হাসির ছলে
আজও আনমনা হই আমিও মাঝে মাঝে।
আসলেই কি তুমি নেই, নাকি লুকিয়ে আছো সীমানার ওপারে
অফুরন্ত ভাবনায় পরে যাই তুমি হীনা মায়াবী সংসারে।
আমি কি পারব জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে
নাকি হারিয়ে যাবো চিরতরে।
নাকি তোমার অনুপ্রেরনায় আমার চলার পথেয় হবে।
বেলা অবেলায় তোমার ছবি হাতে কত নাবলা কথা বলি
তুমি কি শুনেত পাও
নানা প্রশ্ন আজো আমার হৃদয়ে করছে আনাগোনা
কি করে তোমায় জানাব প্রিয়,
কি করে তোমায় শুনাব প্রিয়
আজো পাইনি কোন কিনারা।
এতো চিৎকার এতো হাহাকার আর এতো যে কান্না
এত কাছে থেকেও তুমি, কেন যে শুনছো না
আসলে তুমি কেমন মানুষ গো
আমি না হয় পর, কিন্তু তোমার বংশের প্রদীপ
তোমার অন্ধকার ঘরের একমাত্র আলো
যে নাকি তোমার হৃদয়ের হৃদয়
তাকেও ভুলে গেলে।
তুমি এত নিষ্ঠুর হয়োনা
কি নিয়ে বাঁচব আমি
আমি কাকে সাথী করে চলব আগামীর পথে।
তুমি ফিরে এসো ওগো তুমি ফিরে এসো
জোসনার আলোর মায়াবী রাতে।
পথ চেয়ে বসে থাকব তোমার আশে
বকুলের মালায় করব বরণ
আমি নিজ হাতে।