কথপোকথন
-------------------
সদ্য:
আমার বুকের ভেতর একটা নদী আছে, নদীর পাশে একটা সবুজ পাহাড়, পাহাড়ের মেঠো পথ ধরে হেটে যায় মেঘ বালিকা, আকাশ গঙ্গার পথে। আমি শুধু তার ছায়া দেখি। মেঘবালিকা তুমি কি আমার সাথে পদ্ম দীঘির শুনশান ঘাটে বসে রাত দুপুরে চাঁদের আলোয় পা ডুবিয়ে  পুকুর ঘাটে বসে একটা গান শোনাবে?
মেঘ :
কতদিন লাগলো তোমার, জড়তার চাদর খুলে আবডাল থেকে সামনে আসতে?তোমার গল্পের শিরোনামে আমি জুড়ে আছি অগোচরে,  তুমি বুঝতে পারোনি কিংবা বুঝতে চাওনি।
সদ্য:
বুঝতে পেরেও হয়তোবা গল্পটা লিখেছি শিরোনামহীন কারন আমার গল্প জুড়ে তোমারই বসবাস। যে গল্পে তুমি নেই সেই গল্পটা আমার না, জানো তুমি সেই গল্পটা।
মেঘ:
আমি এতোটাও ছোট গল্প  না,  যত তাড়াতাড়ি পড়ে শেষ করতে চাইছো আমায়। আমাকে পড়তে হবে জীবনভর....
সদ্য:
তুমি গল্প না, তুমি আসলে কবিতা, নিটোল প্রেমের অনবদ্য এক ভালোবাসার কবিতা, আদ্দোপান্ত মুখস্ত এক কবিতার নাম তুমি। না বলা কথার মালা, মুক্তোদানা প্রেমের মতো, ভোরের বকুল আর ঝরা শিউলীর মোহনীয় সুগন্ধ মাখা এক কবিতার নাম তুমি।
মেঘ:
তুমি যদি কবি হও তবে আমি কষ্ট পাবো,  কবি কখনো একজনের একান্ত সম্পত্তি হয়না। আমি চাই তুমি শুধু আমার হয়েই থাকো। বাঁধা থাকো আমার কনিষ্ঠ আঙুলে অদৃশ্য সুতোয়।
সদ্য:
সুতোয় বাঁধা রংঙিন ফুলের মতো একজন্মের প্রেম আমার বুকের গহীনে, অলীক মুর্ছনার যে প্রচ্ছদ তুমি এঁকেছো সেতো এক জীবনের গল্প। সকলেই কবি নয় কেউ কেউ কবি, আমি কবি হতে পারবোনা।
অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা এক জীবনের গল্পে ভরে উঠুক তোমার অনামিকা কেবল কনিষ্ঠায় কেনো দিতে চাও ঠাঁই?
মেঘ:
কারণ কনিষ্ঠার অগ্রভাগ ছুঁইয়ে আমি প্রতিদিন চোখে কাজল পরি। যে দুচোখ তোমায় ভালোবেসে হয়ে গেছে সমুদ্র। সেই সমুদ্রের কিনারায় তোমাকে প্রতিদিন একবার করে নিতে চাই হাত ধরে।