স্রষ্টা হয়ে যদি না বুঝিলে সৃষ্টির আকুতি
ভক্তি পুজার সেজদায় মানুষের মিনতি
গড়িলে যখন আপন ইচ্ছাতে অতি সুন্দর
সাজাইতে কেন ব্যর্থ সুনিপুন কাগিঘর
তোমার কাছে চাইবে সৃষ্টি এটাই নিয়ম
কাউকে তুমি বানালে অধম কাউকে উত্তম
কেউ পেল হাসি আনন্দ কেউ গাল মন্দ
কেউ ধনী কেউ গরীব মানুষের মাঝে দ্বন্দ


জানি এটা স্রষ্টার হাতে সৃষ্টির চাবি কাঠি
বিশ্বাসে ডাকি জীবন করে দিতে পরিপাটি
সৃজনশীল তুমি নিত্য নতুন সৃষ্টির উল্লাসে
ভুলে গেলে কেন পাঠাইলে যাকে বনবাসে
দুঃখ কষ্টের কাতর আর্তনাদে কাঁদে যে প্রান
হাসি আনন্দের শান্তি সুখ করনা কেন দান
কেউবা কালো কেউবা ধলো বিচিত্র বর্ণ গায়
কেউ মান মর্যাদার আসনে কেউবা অসহায়


এক হাতে গড়ে এক জাতিতে যদি ভিন্ন পরিচয়
কে তোমাকে কোন সাধনায় খুঁজবে জগতময়
একজন চায় আরেকজনকে বলতে তোমার নাম
কি শিখাইলে স্রষ্টা হয়ে সৃষ্টির যদি হয় বদনাম
কে ঘৃন্য জঘন্য পাপী কে তোমার অতি প্রিয়জন
কাউকে দানে মহান তুমি কারো বেলায় কৃপন
কেউ কাঁদে ক্ষুধা তৃষ্ণায় নির্মম নিষ্ঠুর নিশ্চয় তুমি
আত্মীয় স্বজন মায়ার বাঁধন তুমি হলে জগত স্বামী


জন্ম মৃত্যু বাঁচার মাঝে তোমার সঠিক সিদ্ধান্ত
জীবন যুদ্ধে কেন মানুষ দিক হারিয়ে হয় বিভ্রান্ত
যে যাহা চাইল ভবে তা যদি তুমি দিতে না পার
চাওয়াতে পরম আনন্দ অন্তরে কেন জাগ্রত করে
খেলাতে জুয়ার বাজী কেন তুমি ধরলে আমায়
জয় পরাজয় চাইনা আমি যদি না আমার ইচ্ছায়
মূল্য তুমি দিবে কবে আমার এ-ই কঠোর পরিশ্রম
সহজ সরল না হলে তুমি বৃথা যাবে মানব জনম


রাগ অভিমান মানাবে কি সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার বল
যেমনে নাচায় তেমনে নাচে দেখবে তুমি যদি চল
অচল হয়ে নিথর অসাড় তোমার যদি হয় অবস্থা
সচল রাখতে নিয়ম নীতি করে দিলে কি ব্যবস্থা
আদেশ নিষেধ দিলে বিধান পালনে মঙ্গল কল্যান
বিপদ আপদে উদ্ধারে নেই কেন তোমার পেরেশান
জোর যার মুল্লুক তার এটাই পৃথিবীর চরম বাস্তবতা
ন্যায় বিচারে শাস্তি দিয়ে হলে না কেন আশ্রয়দাতা