মানুষ সৃষ্টি করিয়া প্রভু বুঝেনি মানুষের কষ্ট
ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর মানুষ জগতে হয় পথভ্রষ্ট
শূণ্য আকাশে তোমার আসন নিরাকারে বসা
তোমার দয়া করুনা যাচে মানুষের মনে আশা
ষড়রিপুর বড় যন্ত্রণা অস্থিরতায় রাখিলে মানুষ
কাম ক্রোধ শক্তি ক্ষমতা করলে তুমি আপোষ
তোমার ইচ্ছা আদেশ নিষেধ কঠোর সাবধান
এক অদ্বিতীয় তুমি বিশ্ব পরিচালনার সংবিধান


ভালোবেসে করিয়া সৃষ্টি দিলে কি আপন রুপ
তবে কেন অসহায় মানুষ জীবনের দায়ে চুপ
কারো যুদ্ধ বাঁচার কারো চেষ্টা মরে যাওয়ার
শুধুমাত্র এই ভেদাবেদের করবে কি সুবিচার
স্বাদ জাগিল পৃথিবীতে চাহিদা পূরণে অভাব
ভিক্ষার ঝুলি হাতে মানুষ দেখনি তুমি নবাব
মানুষকে যদি দেবার মত তোমার কিছু থাকে
সামনে এসেই দিয়ে যাও সকল হিসাব চুকে


রুপ যৌবনে উদ্ভাসিত নারী পুরুষে যৌনক্ষুধা
ভিন্ন দুটি দেহের মাঝে শান্তি সুখ দিলে আধা
আজব রহস্যের গঠনাকৃতি গোপনাঙ্গের জ্বালা
কত সাধনা আরাধনায় ডুবে নিত্য করে খেলা
নিকৃষ্ট কাজের পাপের শাস্তি যৌনমিলন নীতি
সৃষ্টির বংশ বৃদ্ধির মূল যদি তবে কিসের ক্ষতি
লোভ লালসার হিংসা বিদ্বেষ মানুষের অন্তরে
প্রয়োজন কি ছিল তোমার গড়তে সুন্দর করে


চাইছে পুরুষ লুটিতে নারী ভোগ্য বস্তুর মত
মুক্তির দাবী বন্দিনীর হৃদয়ে বাড়িয়েছে ক্ষত
জন্ম একা মৃত্যু একা চাইনা কেন একাকীত্ব
পাক পবিত্র দেহ ভোগে বিসর্জন হল সতীত্ব
জন্ম বুঝি আজন্ম পাপ নারী পুরুষ ভেদাবেদে
একা তুমি বিভক্ত হবে বল কার অনুরোধে
এ কোন ঋণের আবদ্ধতায় অনাদায়ী মানুষ
আমানতের খেয়ানতেই দোষী নারী পুরুষ


মানুষের নেই কোন উপায় ইচ্ছা কিন্তু আছে
জটিল সমস্যা সমাধানে যেতে তোমার কাছে
শুনবে তুমি কত আর্জি লাঞ্ছিত বঞ্চিত কত
মধুর সুরে ডাকছে মানুষ দিবানিশি অবিরত
সুপ্ত তুমি গুপ্ত হয়ে নিষ্ক্রীয় কেন শক্তি ক্ষমতা
রিক্ত মানুষ নি:স্ব হয়ে বাঁচতে চায় স্বাধীনতা
চাইনা আমি মানুষ হতে যদি কর অবহেলা
চাবি দিয়ে নাচিয়ে দেখ তুমি আমার খেলা