অস্থিমজ্জা অন্তর পরান থাকে ভাবনাতে
     সে আমারে দেয়না আমার হতে
     আমার মাঝে আমি বিলীন শুধু
দিবা রাতে আপ্রান চেষ্টা ভালো রাখিতে


আদর সোহাগ স্নেহ মায়ায় রাখতে মহাসুখে
     সে কি ক্ষুধার্ত নাকি পিপাসিত
     চিন্তা চেতনায় ধ্যান ধারনা শুধু
কি করে বুঝি উপলব্দি করি বন্ধ দুইচোখে
    
সুস্থ সবল দেহ গঠনে আহার নিন্দ্রা তার
      সেবা যত্নের চরন দাসী হয়ে
      হাসি আনন্দে মুখোরিত করে
নিত্য দু:খ কষ্টের মাঝেও সময় করি পার


শত ব্যস্ততার মাঝেও রাখিতে তারে স্বরন
      দায়িত্ব কর্তব্য পালনের তাগিদে
      বাঁচার অনুপ্রেরনা যোগাই প্রানে
আঘাত অপমান সব ভুলে টানি বুকের গহন


জ্বালা যন্ত্রনায় ক্ষত বিক্ষত হৃদয়টাতে সে
      কৌশলে করে মানসিক আঘাত  
      শাস্তি দিতে উদ্যোত শক্তিতে
নিরব অভিমানে সই থাকতে চিরদিন পাশে


যত ক্ষমা করি ততই বেপরোয়া রাগ জিদ
      নিতেই পারিনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত
      শান্তনার ছলে হই কুকর্মে লিপ্ত
শ্রেষ্ট মর্যাদার আসনে বসাতে আসেনা নিদ
      
প্রতিশোধের ক্রোধানলে আমি অসহায় দুর্বল
      আস্তে আস্তে প্রতিবাদের ভাষায়
      আত্মরক্ষার্থে দেই কথার খোটা
কঠিন শাস্তি ভোগে শুধু টলমল আঁখি যুগল


নির্মম নিষ্ঠুর পাষুন্ড বর্বর বিরক্তের অজুহাতে
      কথায় কথায় চোখ রাঙায় সে
      লম্পট চরিত্রের কলঙ্ক রচিতে
আমার জীবন ধ্বংস করার কঠিন প্রতিজ্ঞাতে


দিয়েছি যা নিয়েছিলও সে কোন অধিকারে
      আমার উপরে দোষ চাপিয়ে
      আপন চরিত্রের গর্বিত বুকে
ন্যায় নীতির দন্ডাদেশে মৃত্যু শাস্তির বিচারে


হে বিধাতা তোামার আমানত রক্ষার্থে যাকে
      নষ্ট করেছি ইহকাল পরকাল
     ভন্ড প্রতারকের পাতানো ফাঁদ
বাঁচার অধিকারে চিরমুক্তি চাই পৃথিবীর বুকে