চৈতালী কুঞ্জে
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


       চৈতালী চাঁদনী নিশি
এত অপরুপ জোছনায় মাখা,
      পুষ্পবনে অঞ্জলী মেলা
মালা গাঁথিতে আসেনি প্রাণ সখা।


      বাতায়ন খুলে আনমনে
দখিণা পবনে করি সুখের সন্ধান,
      উত্তরা কালবৈখাশী
হৃদয় সন্নিকটে বহে ঝড় তুফান।


     তন্দ্রাহারা নয়ন দৃষ্টি
মাধবী লতায় পড়ল গিয়ে যবে,
     দেখি কুহেলিকা একা,
বিরহ অভিমানের সুর কলরবে।


        ও হে পাপিয়া তুই
বিজন রজণীতে বিঁষাধ গান ধরে,
       আমার পাশে আসিলি
দোসর ব্যথার রাগিণী লুকিয়ে অন্তরে।


         ওগো বুলুবুল তুমি
নেচে নেচে কেঁদে গাও কোন গান,
        আমার মতই প্রিয়া হীন
নেই আনন্দ কোলাহলে জোছনায় স্নান।


            উত্তপ্ত প্রখর রৌদ্দে
মৃত্তিকার ছাতি তৃষ্ণায় ফেটে চৌচির
           চকোরিণীর প্রতীক্ষা
পিয়াসা মিটাতে একবিন্দু শীতল বৃষ্টির।


           সবুজ বনে জোনাকী
পুষ্পের কোমল পাঁপড়ির গায়ে মিটি মিটি,
            নীল গগণের তারা
ভূ-স্বর্গে লুন্ঠিত যেন জ্বলছে লক্ষ কোটি।


             চৈত্রের খড়া আমার বুকে
প্রকৃতির প্রেমে বিরহ গাঁথা কাব্য রচনা,
             চৈতালী কুঞ্জে একাকী
নির্জন নিস্তব্ধ কাহার লাগি উদাসী ভাবনা।।