গতিহীন জীবন
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


আসিলাম মাতৃগর্ভে করিলাম জন্মগ্রহণ,
ভূমিষ্ট হয়ে দেখলাম পিতা মাতাই ভূবন।
ক্ষুধা তৃষ্ণার আহার ছিল শুধু মাতৃদুগ্ধ,
নির্ভেজাল খাবারে হয়েছে জীবন মুগ্ধ।


ধীরে ধীরে শিশুকালে বর্ধিত এই জগতে,
শস্যদানা ফলমূল আহার করি দিবা রাতে।
মাছ মাংস দুধ কলায় হয়না ক্ষুধা নিবারণ,
খাদ্য দ্রব্য যতই পাই ততই করেছি ভোজন।


কিশোর বেলা  উদর ভরে বাহিরে ছুটা ছুটি,
দুরন্ত উদ্দীপনায় বাধা বিঘ্ন যত দিয়েছি টুঁটি।
স্বপ্ন আশায় বিভোর হলাম বাঁচার স্বাধ নতুন,
রাজকুমার মহা রাজা করিতে রাজ্য শাসণ।


যৌবনে পদার্পণে খোলে বিবেক বুদ্ধির জ্ঞান,
কামের রাজ্যের হাত ইশারায় ভাঙ্গিল ধ্যান।
ভাল মন্দ না ভাবিয়া অবুঝের ন্যায় আচরণ,
মঙ্গল কল্যাণে জীবন করে দিলাম বিসর্জন।


লোভ লালসা স্বার্থের পিছে ছুটে লাগামহীন,
হিতাহীত জ্ঞান শূণ্য জগতে মানবতা বিলীন।
ষড় রিপুর প্রতারণায় ধোকার শিকল পায়ে,
জঘণ্য অপকর্মে লিপ্ত পাপে ডুবি অন্ধ হয়ে।


নাম যশ খ্যাতির লড়াই অবিরাম ধরে বাজী,
রণাঙ্গণে বীর সৈনিক জীবন যুদ্ধে নিত্য রাজি।
সন্তানের জনক হয়ে বিশ্ব এনে দিলাম হাতে,
মাথা উঁচু করবে সবাই গৌরবে মর্যদা পেতে।


বার্ধক্যেে নেই সম্বল নীতি আদর্শ পুঁজি মূলধন,
চালানের দেনাদার প্রজন্ম করবে অনুসরণ।
আবহমান জীবন গতি চলছে তার গতি পথে,
অজানা গন্তব্য পাড়ি দিতে চড়েছি মরণ রথে।


ভাবনার অন্তরালে ইচ্ছা ছিল অমর চিরজ্ঞীব,
রঙিন পৃথিবীতে থাকব সদা সতেজ সজীব।
করিলাম সাধন ভজন জীবনের গতি থামাতে,
গতিহীন জীবন কভু থাকেনি সেই অপেক্ষাতে।