বাঁচার দুয়ার খোলে জীবনের আনন্দ
মিলেনা কারো সাথেই বাঁধে শুধু দ্বন্ধ
আপন হৃদয়ে আছে প্রেম ভালোবাসা
তবুও ভিখারীর মতোই পাওয়ার নেশা
মম চিত্তের সৌন্দয্য বিকশিত না করে
আপন অধিকার বাঁধে মিছে মায়া ডুরে
ভোগের অন্তপুরে সুখ শান্তি দিবে তুমি
ত্যগের মহিমায় নি:স্ব কেন হব আমি


আমারও দুটি হাত দুটি চোখ দুটি কান
দুটি পা সবার মাঝে আছে সমান সমান
ক্ষুধা তৃষ্ণার জ্বালা অনুভুতিতে সবার এক
ব্যথা বেদনা যন্ত্রনায় কাতর সবার বিবেক
তবে কেন উপলব্দি করতে পারিনা অন্যকে
কথা কর্ম ব্যবহারে আঘাত করি যখন যাকে
সবাই কি শুধু পাওয়ার লোভে বাড়ায় দুহাত
কে চায় কি দোষ দিতে খুজি যত অজুহাত


হায়রে মানুষ তুমিতো অন্তরযামী নও ধরায়
দেখে শুনে কি করে বুঝবে নিশ্চয়তা কোথায়
প্রকাশ করিতে দাও তাকে আপন ইচ্ছার বুলি
ধৈর্য্যধরে শুনলে হয়তো যাবে নিজেকেই ভুলি
তোমারওতো প্রকাশ করিতে আছে কত বাকি
কেন মিছে ভয় শংকোচে নিজেকে দিবে ফাঁকি
আপন ঘরেই মানুষ নিজের ভাবনা চিন্তা করে
জনম ভরে কি খুজিতে যায় মানুষের দ্বারে দ্বারে


কে দিবে তোমাকে চির সুখ শান্তির নিশ্চয়তা
অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের স্থায়ীত্বের মাঝে মানবতা
ভালো মন্দ উপাদানে সৃষ্টি বিধাতার নিয়মনীতি
কার ভালো কার মন্দ ন্যায় অন্যায়ে লাভ ক্ষতি
ভিন্ন দেহের ভিন্ন সত্তা পছন্দ অপছন্দে ব্যবধান
প্রেম প্রীতি ভালোবাসার মাঝেই সঠিক সমাধান
কেউতো জানেনা কখন বলে জীবনের শেষ কথা
সত্য ত্যাগে কেন মিথ্যা ভাবে মানুষ আশ্রয়দাতা