(কোন ধর্মকে অবমাননা করা আমার সাধ্য নেই। তার পরেও যদি আমার লেখায় কোন প্রকার অবমূল্যায়ন হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি এবং ভুল ধরিে শোধরানোর সুযোগ করে দিলে বড় উপকৃত হইব।)
জন্মসুত্র
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


শাস্ত্রবিদ কেবল নাকি হবে বাহ্মণের সন্তান,
জগতজুড়ে প্রচলিত সনাতন ধর্মের বিধান।
শাস্ত্রে যদি এমন নীতি লিখে সয়ং ভগবান,
মালীর ঘরে বন্ধ করতেন সন্তানের জন্মদান।
জাত বিচারে সনাতনে মানুষকে রাখে বঞ্চিত,
পুজার অর্চণায় মন্ত্র পাঠক কেবল পুরোহিত।
মন্দিরে দেব দেবীকে স্পর্শ করলে নীচু জাত,
বৈষ্ণব বলে তাতে নাকি হবে বড় মহা পাপ।
ধর্মগ্রন্থ পড়া নিষেধ এটা তাদের কর্ম নয়,
ঠাকুরবাড়ীর নষ্ট ছেলে উচ্চ বাহ্মণ জাত হয়।


পীর সাহেবের খেলাফতি ছেলে করে মুরিদ,
আহলে বায়াত দাবী অবুঝকে পারায় নিদ।
কুরআন হাদিসের জ্ঞান নেই ভন্ড প্রতারক,
নামাজ রোজা ছেড়ে দিয়ে সাজিল সাধক।
মসজিদ মাদ্রাসার পরিবর্তে দরবারে নরক,
আল্লাহ কভু করবেননা ক্ষমা গুনাহ শিরক।
ইব্রাহিম নবীর পিতা দ্বীন মানেনি কোনদিন,
আল্লাহ তার পরিচয় দিলেন মুশরিক বেদ্বীন।
নূহ পুত্র কেনান আল্লাহর নাফরমান চিরদিন,
নবীর আওলাদ কাফের কুরআনে প্রমান নিন।


এলেম শিখে দ্বীন কায়েমের হয়না প্রয়োজন,
পিতার ঔরসে জন্মায়ে পেল সন্তান মুলধন।
জন্মের পরিচয় যদি দিত রাব্বুল আলামিন,
মুসলিম বৌদ্ধ হিন্দু খৃষ্টান কবে হত বিলীন।
কত সুন্দর নিয়ম ভবে মানুষ করছে পালন,
ধ্যানে জ্ঞানে বিশ্বাসে কে করেছে আয়োজন।
সৃষ্টির অধীনে চলে আইন প্রোয়োগের বিধান,
পিতা মাতা জ্ঞানহীন যত্নে পালন করে সন্তান।
সন্তান মোরা জন্মছি কেমন হিন্দু মুসলমান,
জন্মসুত্রে খুব সহজে প্রভু নির্ধারণ সমাধান।