ক্ষণিক
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


ভ্রমর হয়ে ফুলের মধু করবে যেজন হরণ,
তাকে যদি বন্ধু ভাবি হবে যে আমার মরণ।
ফুল বসে আলিঙ্গনে অলি যেমন সুখ পায়,
মধু গ্রহণে প্রাণ ভ্রমরা অন্য ফুলে চলে যায়।


চাই না পুষ্পকলি কাননে ফোটি ভোর বেলা,
বিলিয়ে সুভাষ গন্ধ বিকালে পাই অবহেলা।
ফুলদানিতে যত্ন করে সাজাবে সকাল বেলা,
বাসী বলে আবর্জনায় ফেলিবে সন্ধ্যা বেলা।


ক্ষণিক ভাবে রত্ম আমায় হীরা মণি মুক্তা,
অমূল্য ধন মানিক রতন স্বার্থলোভী ভোক্তা।
সাজিয়ে মাথার মুকুট উচ্চাসনের অধিপতি,
জীবনের আঁধার পথে ভাবে আলোর জ্যোতি।


চাইনা এমন প্রদীপ জ্বলি অন্ধকারের বাতি,
নিজেকে পুড়ে আলো পেয়ে ভাবেনি যে সাথি।
মশাল হাতের নিত্য সঙ্গী সাহস সঞ্চয় বুকে,
গন্তব্য শেষে আমার কদর বুঝেনি যে লোকে।


ললাটে আঁকে চণ্দণ টিপ পবিত্র এক মনে,
দোসর খুঁজে বাসর সাজায় প্রিয়জনের সনে।
পাপের হাতে আনন্দে পরায় কলঙ্কের কালি,
হাসি তামাশায় ভাবছে যেজন শুধু পথের ধূলি।


চাইনা আমি বিশ্বাসে আকড়ে ধরে ক্ষণিক,
সন্দেহের তীর নিক্ষেপে আঘাত হানে দৈনিক।
উলট পালট লন্ড ভন্ড অবিশ্বাসের যে পবন,
বাঁচা মরা যুদ্ধে পরাজিত অস্থিত্বের বিসর্জন।


চাই যে আমি চিরদিনের সাত পাকের প্রণয়,
যুগ যুগান্ত কালব্যপী ভালবাসে যে হৃদয়।
চাইযে আমি বন্ধু হতে অনন্তকালের বাঁধন,
অমর অক্ষয় সম্পর্কে আমায় করবে আপন।