ক্ষুধার আর্তনাদ
তোফায়েল আহমেদ টুটুল

হালাল হারাম উপার্জনে সদা করি অনুসন্ধান,
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবীর বুকে রাখিব কি মান?
দেহের শক্তি বিলুপ্ত প্রায় ঠায় দাড়িয়ে নিথর,
পথ চলিতে কষ্ট হয় বড় কেন যে দিলে উদর।
অন্ন না পেলে কামড়ে ধরে কলিজা আত্মা,
কি নিধারণ তীব্র যন্ত্রণায় সর্বাঙ্গে শুধু ব্যথা।
দিবা নিশি ক্ষুধার জ্বালা কাটে সকাল দুপুর,
নিদ্রাহীন আঁখি রাত্রি জাগি হয়ে যায় ভোর।

ঘরে আছে চির দুঃখী অনাহারী মা জননী,
ক্ষুধায় কাতর ভাই বোনেরা করুণ চাহুনি।
ছেলে মেয়ে অবুঝ শিশুরা অন্নের অভাবে,
হাড্ডিসার দেহ মলিন চেহারা রুগ্ন স্বভাবে।
ইচ্ছে হয় সবার মুখে ফোটাই সুখের হাসি,
শান্তির নীড়ে স্বর্গ গড়ে বউকে ভালবাসি।
পথে আমি নেমেছি আজ ক্ষুধার জ্বালায়,
কেউ বুঝেনা কারো ব্যথা এই যে দুনিয়ায়।

দয়া ভিক্ষার মালিক আল্লাহ কৃপা কর মোরে,
শূণ্য ঝোলা কাঁদে নিয়ে দাড়িয়েছি দরবারে।
মুখ ফিরিয়ে পর করিবা এই কি বল রীতি,
তোমার হাতে ভাগ্য লিখন কপালের দুর্গতি।
জীবন দিলা বাঁচার জন্য করে সুন্দর সৃজন,
ক্ষুধার বিষাক্ত ছোঁবলে প্রতিনিয়তই দংশন।
ধনী মহাজন মাওলা ভিক্ষা দানে বিদায় কর,
ক্ষুধায় ভিখারী মরলে কলঙ্ক জানি যে তোর।