কুরবাণীর দিনে
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


ঈদুল আযহার নামাজ পড়ে শুরু হল পশু জবাই,
গরু ছাগল মহিষ ভেড়া আনন্দের কোন সীমা নাই।
গোস্ত কাটতে ছুরি হাতে ধরিল যখন গরুর রান,
ভিক্ষার ঝোলা কাঁধে করে আসল গরীব পোলাপান।
কাতরে বিণয়ে সুধায় একটু গোস্ত দেন জনাব,
বাড়ির কর্তা ধমকে বলে এটাই তোদের স্বভাব।
দুর হয়ে যা আসিস পরে গোস্তগুলো কাটা হোক,
সহ্য হয়না পাগল সকল অসম্ভব বেসুবর লোক।
খানিক পড়ে গোস্তের দ্বারে এলো মিসকিনের দল,
কর্তা হাকে শেষ হয়ে গেছে অন্যদিকে যাবি চল।
শুক্কর আলী গত হল ছেলে মেয়েরা এতিম আজ,
গোস্তের আশায় ছুটল শেষে ভুলে সব দিদ্ধা লাজ।
ভয়ে ভয়ে দুই পায়ে সামনে এসে যখন হাজির,
কর্তার হল মাথা নষ্ট প্রলাপ বকল হয়ে অস্থির।
আল্লাহর দেয়া বিধান বলে মাংস হবে তিন ভাগ,
গরীব মিসকিন প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজন দুই
ভাগ।
বাকি একভাগ বৈধ তোমার শরীয়তের আইন ইহা,
নইলে এই কুরবাণীর গোস্ত নাজায়েজ হয় তাহা।
ফ্রিজে ভরে বছর ধরে গোস্ত খাওয়ার কুরবাণী,
আল্লাহ বলেন পূণ্যের বদলে হয়েছে পাপের খনি।