কঠিন দিনে
তোফায়েল আহমেদ টুটুল


রোজ হাশর কঠিন বিচারে রাব্বুল আলামিন,
অহেদুল কাহ্হার বিচারক সাজিবেন হাকিম।
থাকবেনা তাঁর দয়ামায়া রহমতের স্নেহ মমতা,
কেউ হবেনা কারো জন্য মুক্তির জামিনদাতা।
ইয়া নাফছি আহাজারিতে উঠবে চিৎকার ধ্বনি,
পিপাসায় ফাটিবে ছাতি মগজ গলে হবে পানি।
কাঁদিয়া বেহুশ হইবে তখন আদমের আওলাদ,
জানাইতে থাকিবে তাদের আকুল ফরিয়াদ।


আদমের নিকটে সবাই দৌড়ে করবে গমন,
উদ্ধার জামিনের আশায় আহাজারির ক্রন্দন।
আদম বলবে সৃষ্টি করে জান্নাতে দিল স্হান,
গন্ধম খাওয়া হারাম বলে আদেশ ফরমান।
অমান্য করে গন্ধম খাই শয়তানের ধোকাতে,
নিচু মাথায় দাড়িয়ে আমি অসহায় লজ্জাতে।


নূহ নবীর নিকটে এবার সকলে দিবেন দর্শণ,
আপনি জানি করবেন উদ্ধার পাপী তাপীগন।
কেঁদে তখন সবার দ্বারে বলবেন পয়গাম্বর,
দ্বীন প্রচার করতে নবী হলাম দুনিয়ার ভিতর।
পিতা হয়ে ছেলেকে পারিনি দ্বীন করাতে কবুল,
আল্লাহর সাথে দুশমনি ছিল কেনানের ভুল।


আবার সবাই ছুটে যাবে ইব্রাহিম নবীর নিকট,
মুসলিম জাতির পিতা ইসলাম ধর্মের মুকুট।
আপনি মোদের জামিনদাতা করিবেন উদ্ধার,
ইব্রাহিম বলবে তখন আমি অধম গুনাহগার।
তিন বার আমি মিথ্যা বলছি দুনিয়ার ভিতরে,
কি জবাব দিব আমায় যদি জিজ্ঞাসা করে।


দৌড়াইয়া মুসার কাছে যাবে সবাই যখন,
মুসা বলবে দুনিয়াতে নবী হয়ে করেছি খুন।
পাগলের মত ছুটবে আবার ঈসা নবীর কাছে,
ঈসা বলবে তোমরা সবাই আশা করছ মিছে।
খোদার বেটা বলছে লোকে ইহুদীদের দল,
ভয়ানক বিপদে আমি উদ্ধারের নাই সম্বল।


সর্বশেষে যাবে সবাই রহমাতাল্লিলের কাছে,
দয়ার নবী মুহাম্মদ তখন সেজদায় পড়ে আছে।
আল্লাহ বলবেন ওগো বন্ধু দোস্ত আমার প্রানের,
আজকে কেন কান্না কাটি আনন্দ স্বাক্ষাতের।
আমার উম্মতের নাজাত চাই যত গুনাহগার,
বিচার কার্যে জামিনের ক্ষমতা সম্পূর্ণ আপনার।
একমাত্র সুপারিশকারী হযরত মুহাম্মদ বীনে,
দরদী কোন বান্ধব নেই কঠিন হাশর দিনে।