তোকে নিয়ে কি ভাবতাম জানিস
শুধু এটুকু চিন্তা করতাম
তোর রাগ যখন থাকবে না
নিশ্চয় আমাকে প্রয়োজন হবে
আমার আত্ম মর্যাদা নিয়ে
সম্মান রক্ষার্থে যদি
চুপচাপ দুরে সরে যেতাম
তবে আর কোনদিন তুই
আমাকে দেখবি না


একটু যখন অসুস্থ হতি তুই
দেখতাম সবাইকে বলিস
মাথা ব্যথা পেট ব্যথা কত কি
কেন বলতি তুই ভালো জানিস
কিন্তু আমি দেখতাম তোর অসহায়ত্ব
বুঝতাম তুই আপন প্রিয়জনের
সেবা যত্নের শান্তির পরশ চাস
তাই নিজের বয়সের কথা না ভেবে
আদর সোহাগ স্নেহ দিয়েছি


তুই যখন প্রচুর টেনশন করতি
নিরব হয়ে একাকী চুপসে যেতি
কোন কিছু তোর ভালো লাগত না
সব কিছুতেই যেন বিরক্ত হতি
জানিস আমার অন্তর উপলব্দি করত
তুই একে বারে হতাশাগ্রস্ত
তোর পাশে গিয়ে আবেগে জড়িয়ে
ভরসার শক্তি যোগাতাম আমি
কখনো বিরক্ত করতে নয়


তুই যখন খুব রাগ করতি
যখন তোর জেদ ক্রমাগত বাড়ত
তখন আবোল তাবোল বকতি
অশ্লীল কথায় প্রতিশোধ নিতি
শাস্তি দেয়ার জন্য হাত তুলতি
আমি শুধু এটুকু ভাবতাম
তোর রাগ জেদ নিয়ন্ত্রন হোক
তা না হলে জীবন থেকে
আপন প্রিয়জনকে হারাবি


তোর সকল ভুলগুলো যখন
আমার সামনে প্রকাশিত হল
তোকে বেধে রাখার উপায় খুজতাম
আমি হয়তো তোকে শাসন করেছি
কিন্তু তুই সবসময় শাস্তি দিতে চাইতি
এখন তুই আমাকে খুন করতে
একটুও দ্বিদ্ধা করবি না জানি
বাঁচার অধিকারে ভালোবাসার দাবী
কঠিন পরীক্ষা আর নয়


কেন এলি আমার জীবনে
কেন বললি জীবনের সব কথা
চাসনি অন্ন বস্ত্র বাসস্হান
আদর স্নেহ সেবা যত্নের পরশ
আমি এখন তোর জীবনে অপ্রয়োজনীয়
জোর করে আমি আর কি দিব তোকে
তোর প্রয়োজনে যতটুকু ব্যবহার হয়েছি
গুরুত্ব হারিয়ে আজ শাস্তি ভোগ করার
পলাতক অপরাধী হয়ে বেঁচে আছি